বন্ধু বদলে বদলে হেঁটে যাচ্ছে গোধূলির দিকে
ফিরে তাকাচ্ছে না তোমার অভিমান।
পুরনো প্রেমের দিকে, নতুন ওমের দিকে হেঁটে যাচ্ছে দীর্ঘ ছায়া নিয়ে –
ফোন করছে না, ঘ্যানঘ্যান করছে না,
একটু গহন করে কাজল লেপেছি বলে হিংসুটি করে উঠছে না।
পুরনো গলির মধ্যে চুড়ির দোকানির দিকে কটাক্ষ করে উঠছে না।
পড়ে আসা শীতের রোদ্দুর কাঁধে ফেলে
হেঁটে যাচ্ছে না কলেজ পাড়ার রাস্তায় – হাত টেনে ধ’রে।
বালিগঞ্জ ফাঁড়ির মোড় ভোর হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে,
বিষাদ-বালিকার কপালে আলতো ঠোঁটের চুমু স্নেহ এঁকে দেবে –
কিন্তু অমন দৃশ্য ছবিওয়ালা একবারই আঁকে।
তারপর রঙ চাপতে চাপতে ক্যানভাসে রোদ্দুর পড়ে আসে।
ছবির বদল দেখতে দেখতে হেঁটে যাচ্ছে গোধূলির দিকে
ফিরে তাকাচ্ছে না আমারও অভিমান –
অথচ আমরা জানতাম, কী উপায়ে মান ভাঙাতে হয়।
সঙ্গীতজ্ঞ মানস চক্রবর্তীর সুযোগ্যা কন্যা শ্রীদর্শিনী উত্তর ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন এক্কেবারে শিশুবয়স থেকে। সঙ্গীত তাঁর শিরা-ধমনীতে। টাইমস মিউজিক থেকে বেরিয়েছে গানের সিডিও। মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান আইডল অ্যাকাডেমিতে মেন্টরের ভূমিকা পালন করেন শ্রীদর্শিনী। লেখালিখিও তাঁর পছন্দের বিষয়।তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'শীতের অব্যর্থ ডুয়ার্স', 'এসো বৃষ্টি এসো নুন', 'রাজা সাজা হল না যাদের' এবং 'জ্বর-জ্বর ইচ্ছেগুলো' পাঠকমহলে সমাদৃত।
আহা বড় ভাল লেখা।
খুব ভাল লেখা শ্রী