আগের পর্বের লিংক: খলিল জিব্রানের দ্য প্রফেট-এর অনুবাদ: [কথামুখ] [প্রেম] [বিবাহ] [সন্ততি] [দান ও দাক্ষিণ্য] [পান-ভোজন] [কাজ-কারবার] [দুঃখ ও সুখ] [ঘর-বসত] [পরিধেয়]
এক ব্যবসায়ী এবার বলল, বিকিকিনি সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন।
এবং তিনি বললেন:
তুমি শুধু এটুকুই জানো যে পৃথিবী তার ফসল ফলায়, কিন্তু সেগুলি তুমি যদি পেতে না চাও, তো এও জানতে পারবে না যে, সেই ফসলে তোমার হাত দু’টি কী করে ভরাবে।
পৃথিবী প্রদত্ত এই উপহারের আদানপ্রদানের মধ্যে দিয়েই তো, তুমি যেমন প্রাচুর্য খুঁজে পাবে, তেমনই সেইসঙ্গে পাবে তৃপ্তিও।
কিন্তু এই দেওয়া নেওয়া যদি ভালবাসা এবং করুণার সুবিচারে পূর্ণ না থাকে, তখনই একপক্ষকে তা এগিয়ে দেয় লোভে, আর অন্য পক্ষকে ক্ষুধায়।
তোমরা যারা এই সমুদ্র, শস্যখেত ও আঙুরখেতের শ্রমিক, বাজারে এসে যখন তাঁতি, কুমোর এবং মশলা সংগ্রহকারীদের দেখা পাও—
তখনও তো তাদের মধ্যে জাগিয়ে তোল, পৃথিবীর সেই নিজস্ব আত্মাটিকে, যাতে সেটি তোমাদের মধ্যেও প্রবেশ করে এবং একইসঙ্গে এমনভাবে পবিত্র করে ওই দাঁড়িপাল্লাটিকেও, যাতে হিসাব বরাবর মূল্যের পরিবর্তে, ওই মূল্যেরই যথার্থ নির্ণয় হয়।
দুর্ভোগ যেন না হয়, তোমার বিকিকিনিতে যোগ দিতে আসা শূন্য-হাত ওই মানুষগুলির, যারা তোমার পরিশ্রমের মূল্যেই তাদের প্রতিজ্ঞা বেচবে।
এই মানুষগুলির জন্যেই তোমার বলা উচিত:
আমাদের সঙ্গে শস্যখেতে এস, অথবা আমাদের ভাইদের সঙ্গে চলে যাও সমুদ্রে এবং জাল ফেল সেখানে।
“কারণ এই মাটি এবং জল যেমন তোমার কাছে, তেমনই আমাদের কাছেও প্রাচুর্যে পরিপূর্ণই থাকবে।”
আর সেখানে যদি এসে পড়ে কোনও নর্তক, গাইয়ে বা বাদক, তো সেই উপহারও তুমি কিনে নিও।
কারণ তারাও তো ফল, গুগগুল বা ধুনো– এইসবের সংগ্রাহক; আর যা তারা এনেছে যদিও সেসব স্বপ্নে বোনা, তবুও তা তোমার অন্তরাত্মার খাবার এবং অঙ্গ-বাস।
এবং কেনাবেচা সেরে, বাজার চত্বর ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে, ভাল করে লক্ষ করে দেখ, যেন একজনও শূন্য হাতে ফিরে না যায়।
পৃথিবীর সর্বোত্তম আত্মার বাতাসে জুড়িয়ে, শান্তিতে ঘুমোতে পারবে না, যদি একজনও অতৃপ্ত থাকে এই বেসাতিতে।
আড্ডা আর একা থাকা,দুটোই খুব ভাল লাগে।
লিখতে লিখতে শেখা আর ভাবতে ভাবতেই খেই হারানো।ভালোবাসি পদ্য গান আর পিছুটান।
ও হ্যাঁ আর মনের মতো সাজ,অবশ্যই খোঁপায় একটা সতেজ ফুল।