অন্তিম গাছটা; অনন্ত মরুদ্যান রূখে দাঁড়িয়ে আছে;
বুড়িয়েছে কবিতার শহর, প্রাচীন অরণ্য ফুরিয়েছে।
কবিতার আকাশেও মেঘ নেই, চড়ে শুধু ধোয়া
শেষ কবিতারও তাই শেষ গাছে এই চিঠি দেওয়া। 

হে মহীরুহ;
তোমার প্রশাখা জুড়ে যে প্রাণেরা বাসা বেঁধেছিল,
তোমার ছায়ায় শুয়ে যে কবিরা রাত্রি জেগেছে,
তোমার শেকড় জুড়ে যে ধরণী প্রসবিনী হল
তাদের দোহাই তুমি থামাও অন্তর্জলী,
তাদের জন্য ফের কবিতাকে ভরো গাছে গাছে!
পৃথিবী কবিতার, সবুজের, মানুষ তো অনুজীবী,
অপত্য, অপক্ক মনে, বীজ বোনে শুধু  ক্ষমতার।
তুমি তো আকাশমনা, বাৎসল্যে মেনে নাও সবই,
ওরা বোঝেনি শেষের কথা, বৃক্ষকবিতা সমতার।
রুক্ষ কুঠারাঘাতে, এক একটা যুদ্ধ মেয়াদে,
কেড়েছে তোমার বন, পুড়িয়েছে নিজ নিজ গৃ্‌হ,
মানুষ পূর্ণতা পাক; ভালবাসা, প্রেম, অনুভবে;
শাসনে শুদ্ধ কর, বেঁচে ওঠো শেষ মহীরুহ 

*ছবি সৌজন্য: Pixabay

Rupak bardhan Roy

ড. রূপক বর্ধন রায় GE Healthcare-এ বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত। ফ্রান্সের নিস শহরে থাকেন। তুরস্কের সাবাঞ্চি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছেন। বৈজ্ঞানিক হিসেবে কর্মসূত্রে যাতায়াত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। লেখালিখির স্বভাব বহুদিনের। মূলত লেখেন বিজ্ঞান, ইতিহাস, ঘোরাঘুরি নিয়েই। এ ছাড়াও গানবাজনা, নোটাফিলি, নিউমিসম্যাটিক্সের মত একাধিক বিষয়ে আগ্রহ অসীম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *