সেই দিনটা মনে আছে বেশ… রমজান মাসের কোনও এক বুধবার। সন্ধ্যেয় কারখানা থেকে বাড়ি ফিরে বসে বাবা চা খাচ্ছে, সেদিন ইউনিয়নের মিটিংয়ে বাবা যায়নি, একটু শরীরটা ম্যাজম্যাজে। ওদিকে বাইরের গেট খোলার আওয়াজ। বাড়িতে কেউ বেড়াতে আসছে ভাবলেই মনটা খুশি হয়ে উঠত। সেদিনও তাই। গেট খুলেই বেশ তড়িঘড়ি পায়ে ঢুকলো আবদুলকাকু। এসেই হাঁক,
– বৌঠান কই গো, কী খাবার আছে দাও দিকি। মিটিং সারতে সারতে কিছু খাওয়াই হয়নি…
সেই কোন ভোরে সেহরি, তারপর সারাদিন কারখানা আর সন্ধ্যেয় মিটিং সেরে ইফতার। মা চট করে দুটো গোবিন্দভোগ চালের পোলাও বসিয়ে দিল কুকারে আর বাবা থলি হাতে পাশেই আশিস মার্কেটে। রোববার ছাড়াও, বুধবার রাতে পোলাও আর মাংস, ভাবতেই পারি না! যদিও একদম হালকা করে রান্না। কাকুকে নিয়ে আমরা সবাই বসে গেলাম ডিনারে… এ আমাদের দুর্গাপুর শিল্পনগরীর খন্ডচিত্র! নানা জায়গা থেকে আসা নানা ভাষা, ধর্ম আর জাতির মানুষ, কেউ মা বাবা, ছেলেমেয়ে নিয়ে, কেউ বা আবদুলকাকুর মতো একা, সবাই মিলে একটাই পরিবার। জাতপাতধর্ম নিয়ে ভাবার চেয়েও বৃহত্তর স্বার্থ আর দাবি নিয়ে মানুষ তখন ব্যস্ত! তেলের দাম বাড়ুক বা প্রয়োজনীয় জিনিসের, প্রতিবাদ সবাই একসঙ্গে, উন্মাদনার সে সব দিন…!
ইফতার চলছে, আজ হঠাৎ মনে পড়ল পুরনো সব কথা। পুরনো স্মৃতির ওপরে নতুন স্মৃতি জমেছে। শিল্পাঞ্চল ছেড়ে এসেছি বহু বছর, নতুন শহরে নতুন বন্ধু হয়েছিল আফিয়াত, সেও এখন চলে গেছে চেন্নাইতে… বড়ো মনে পড়ে ইফতারের সন্ধ্যেয় ওর বাবার হাতের ছোলা-আলু মাখা, সঙ্গে দুটো খেজুর আর এক গ্লাস তরমুজের শরবত, এ সময় সন্ধ্যেবেলায় গেলেই কাকু ধরিয়ে দিতেন হাতে। বলতেন,
– বেটি, ইফতারের আক্ষরিক মানে সূর্যাস্তের পর উপোস ভাঙা। সারাদিন খাবার আর জল না খেয়ে যখন পেটে প্রবল খিদে আর তেষ্টা, তখন আমরা বুঝি, এই জল আর খাবারের মাহাত্ম্য। এই পেটভরা খাবারের জন্যে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোই হল ইফতার। প্রার্থনা আর অধ্যাত্মিক জাগরণ হলো রোজার মাহাত্ম্য। তাই খুব অসাধারণ, দামি বা অনেক কিছু খাবার না-হলেও হয়, পেট ভরানো আর মনের শুদ্ধি হলেই হল। আর পারলে গরিবদের পেট ভরার ব্যবস্থা করা। ব্যাস এইটুকুই তো…
দিন বদলেছে। ইফতারের খাবার এখন জাকারিয়া স্ট্রিটের কার্নিভাল। আদম’স-এর সুতা কাবাব আর ইসলামিয়ার হালিম, কিম্বা তাসকিনের ফালুদা আর হাজি আলাউদ্দিনের বত্তিশি হালুয়া। তবে আজকের দিনে, ধর্মের নামে অতি সংবেদনশীল আর অসহিষ্ণু দেশে, এই খাবারের সুবাদে ধর্ম ভুলে নানান মানুষের যে ভিড় সেখানে, তাই-ই কম কী!
যাই হোক, আমার কাজ খাবারের গল্প বলা, তাতে ফিরি আবার। এই ইফতার টেবিলের খাবারের বৈচিত্র্য কিন্তু নজরকাড়া। প্রত্যেক প্রদেশের ইফতারের কিছু সিগনেচার ডিশ তাদের ঐতিহ্য পরম্পরার গল্প বয়ে নিয়ে চলে। গোয়া বা মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণী মুসলিমদের ইফতার অসম্পূর্ণ, ‘সানদন’ ছাড়া। চালের গুঁড়ি, নারকেল কোরা, চিনি নুন দিয়ে ভাপিয়ে, চিকেন কিম্বা মালাই আর ড্রাই ফ্রুট দিয়ে খাওয়া। ওদিকে গুজরাতের কচ্ছের মেমনদের সিগনেচার ডিশ যেমন, ‘বাজরে কি কাবাব’, আর মাটন ও বাজরার ডামপ্লিং দিয়ে তৈরি ‘ধোকরে’। সেরকমই, দুধে তরমুজ আর ক্রিম আর ড্রাই ফ্রুট দিয়ে তৈরি, ‘মহব্বত কা শরবত’ আর ‘গুলাবি জলেবি’ মানেই আমরা পৌঁছে গেছি হায়দ্রাবাদ! আবার বোহরা মুসলিম, যারা ইয়েমেন থেকে গুজরাতে এসে বসবাস শুরু করে, তাদের পরম্পরা হল একসঙ্গে অনেকে বসে বড়ো ‘থাল’ নিয়ে খাওয়া। তাতে ‘কারি চাওয়ল’, ‘দাল চাওয়াল পালিদু’, আরও কত রকমারি খাবার!
তবে একদম আকর্ষণীয়ভাবে অন্যরকম খাবার মালাবারি মুসলিমদের ইফতারের। সেই গল্প আর তার রেসিপি পরেরবার। আজ পাড়ি দিই দেশ ছেড়ে বিদেশে। আজকের ইফতারের মেনুতে থাকল:
মিশরের কাতায়েফ আর হাওয়াওসি
ইন্দোনেশিয়ার কোলাক
মরক্কোর হারিরা
শ্রীলঙ্কার নমবু কাঞ্জি
নাইজেরিয়ার জলোফ রাইস
কাতায়েফ
এটা নাকি বহু বহু বছর আগের রান্না, ফতিমিদ রাজবংশের আমলের। আরবের ঘরে ঘরে রমাদানের সময় খাওয়া হয়। এতে লাগবে:
প্যান কেকের জন্যে:
এক কাপ ময়দা
এক কাপ সুজি
ইস্ট এক চামচ
বেকিং সোডা এক চামচ
চিনি এক চামচ আর অল্প নুন
স্টাফিংয়ের জন্যে:
কর্নফ্লাওয়ার, দুধ, চিজ, অল্প চিনি, ক্রিম, গোলাপ বা লেবুর ফ্লেভার, পেস্তা কুচি

প্রণালী:
প্যানকেকের গোলাটা একটু বেশি তরল করে সবকিছু দিয়ে গুলে নিতে হবে। প্যানকেকের চেয়ে বেশি তরল হবে কিন্তু। তারপর ৩০ মিনিট স্ট্যান্ডিং টাইম দিয়ে প্যান গরম করে দু’চামচ করে দিয়ে এক পিঠ সেঁকে নিতে হবে, উল্টানো যাবে না। সব সেঁকে ঢেকে রাখতে হবে, নরম থাকবে তাতে।
ওদিকে দুধ কর্নফ্লাওয়ার গুলে, কম আঁচে ফুটিয়ে নিতে হবে। সঙ্গে চিজ কোরা, অল্প চিনি আর ফ্লেভার। (আমি চিজ দিয়ে কাস্টার্ড বানিয়ে নিয়েছিলাম)। তারপর প্যানকেকের ভিতরে এই স্টাফিং তার দিয়ে দু’পাশ থেকে চেপে হাফ সার্কেল করে একটু ক্রিম আর পেস্তা দিয়ে সাজিয়ে খাওয়া।
হওয়াওশি
মিশরের নাম করা খাবার, এবং অদ্ভুত সুন্দর টেস্ট। একদম অতুলনীয়। আসল ব্যাপারটা পুরোটা ওভেনেও হয়। আমি গ্যাসের পদ্ধতি বলছি।
লাগবে:
পিটা ব্রেড গোটা চারেক, একটু মোটা মতন
বিফ কিমা ৫০০ গ্রাম
একচামচ ধনেগুঁড়ো
একচামচ জিরেগুঁড়া
একচামচ অল স্পাইস পাউডার
শুকনোলঙ্কা ফ্লেক্স এক চামচ
এলাচগুঁড়ো ১/৪ চামচ
দারচিনিগুঁড়ো ১/৪ চামচ
টমেটো দুটো পেস্ট
একটা বড় পেঁয়াজকুচি
দুটো রসুনকুচি
ধনেপাতাকুচি আধকাপ
নানা সবজি ডাইস করা আধকাপ
তেল চার চামচ

প্রণালী:
তেল গরম করে, তাতে পেঁয়াজ-রসুন ভেজে, টমেটো পেস্ট দিয়ে, গুঁড়োমশলা দিয়ে, তারপর কিমা ও বাকি সবজি, নুনটুন দিয়ে কম আঁচে নাড়তে হবে, দরকারে প্রেসারে সেদ্ধ করতে হবে। তারপর পিটা ব্রেড অর্ধেক করে ভিতরটা পকেটের মতো ফাঁক করে কিমা পুর ভরতে হবে। তাওয়ায় অল্প তেল বুলিয়ে এপিঠ ওপিঠ মুচমুচে করে ভেজে নিতে হবে। ব্যাস রেডি। সার্ভ হবে তাহিনি বা হুমুসের সঙ্গে, একটু সবজির আচার দিয়ে।
কোলাক পিসাং
ইন্দোনেশিয়ার খাবার। যদিও মিষ্টি, কিন্তু এটা ওদের ডেজার্ট ঠিক নয়। কোলাক-এ কলা মেশালে কোলাক পিসাং। নইলে অন্য ফল, বা কুমড়োও মেশানো যেতে পারে। অনেকরকম ভ্যারাইটি এর। আর এই পোলাও পাতা, বা পান্ডানুস পাতা ইন্দোনেশিয়ার খাবারে দেওয়া হয়, বিশেষত গন্ধ আনতে। বাড়ির কিচেন গার্ডেনে লাগিয়ে রাখলে মন্দ কি!

লাগবে:
নারকেলের দুধ দু’কাপ
গুড় তিন চামচ
দুটো পোলাও পাতা (পান্ডানুস লিফ)
একটা কলা
অল্প কুমড়োবীজ ভাজা
নারকেলের দুধে গুড় মিশিয়ে কম আঁচে ফুটিয়ে নিতে হবে, পোলাও পাতা দিয়ে। তারপর তাতে পাতলা করে কাটা কলা আর কুমড়োবীজ ভাজা দিয়ে পরিবেশন।

হারিরা
একে শেষ পর্যন্ত মনে হবে, হালিমের ভাই বোধ হয়। আসলে এক বোল হারিরাতে মিলবে সবরকম পুষ্টি আর টেস্টও।
লাগবে:
১০০ গ্রাম বিফ/ চিকেন/ ল্যাম্ব ছোট টুকরো করে কাটা (ভেজ করতে চাইলে এটা বাদ)
২০০ গ্রাম তড়কার গোটা ডাল, বেছে রাতভর ভিজিয়ে রাখা
একমুঠো কাবুলি ছোলা ভিজিয়ে রাখা
টমেটো তিনটে কুচনো আর এককাপ পিউরি
আদাবাটা এক চামচ
একটা পেঁয়াজ গ্রেট করা
ভাঙা নুডলস আধকাপ
দারচিনিগুঁড়ো হাফ চামচ
তেল তিন বড়ো চামচ
একবাটি ধনেপাতা কুচি
আমি লঙ্কা কুচিও দিয়েছি
স্টক চার কাপ
ময়দা দু’চামচ (জলে গুলে গাঢ় করার জন্যে)
প্রণালী:
একটা কুকারে তেল গরম করে, তাতে মাংসগুলো বাদামি করে ভাজতে ভাজতে, পেঁয়াজবাটা, আদাবাটা দিয়ে কষতে হবে। তারপর টমেটো পিউরি দিয়ে আবার কষানো। তারপর ডাল ভিজনো দিয়ে তাতে চিকেন বা মাংসের স্টক দিয়ে নুন দিয়ে, মোটা সেমাই বা নুডলস দিয়ে প্রেসারে বসিয়ে দেওয়া। প্রেসার এলে মিনিট ২০-৩০ মিডিয়াম আঁচে। শেষে প্রয়োজনমতো ময়দাগোলা দিয়ে ঘন করে নামানো।
নমবু কাঞ্জি
শ্রীলঙ্কার খাবার, এই প্রবল গরমের সময়ে পেটের পক্ষে খুব সুদিং। মশলা কম। মেথি দেওয়া মাস্ট। পেট ঠান্ডা করে। কেউ কেউ ডাঁটা দেয়, কিংবা নানান সবজি। একদম এক বাটি পুষ্টি!
লাগবে:
মুগডাল ১/৪ কাপ
চাল ১/২ কাপ (ভাঙা হলে ভালো)
দারচিনি এক ইঞ্চি টুকরো
লবঙ্গ কয়েক টা
মেথি এক চামচ
নারকেলের দুধ দু’কাপ
নারকেল কোরা দু’চামচ
টমেটো কুচি একটা
পেঁয়াজ মিহিকুচি একটা
এক চামচ আদারসুনবাটা
লঙ্কাকুচি পরিমাণমতো
অল্প ধনেপাতা কুচি

প্রণালী:
দু’চামচ তেল গরম করে তাতে দারচিনি, মেথি আর লবঙ্গ ফোড়ন দিয়ে, হলুদ মুগডাল ভাজতে হবে, যতক্ষণ না গন্ধ বেরোয়। তারপর তাতে টমেটোকুচি, পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভেজে, আদারসুনবাটা আর নুন দিয়ে কষে, চাল দিয়ে দেওয়া। খানিকটা জল দিয়ে ঢেকে রেখে সেদ্ধ করতে হবে, যাতে একদম গলেও না যায় আবার সেদ্ধও হয়। শেষে নারকেল দুধ দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে, আর সঙ্গে যাবে নারকেল কোরাও। রেডি, ব্যাস!
জোলোফ রাইস চিকেন
নাইজেরিয়া ছাড়াও, আফ্রিকার নানা দেশে এই ভাত রান্না করা হয়। ছোটখাটো ভ্যারিয়েশন তাতে থাকেই। স্পেনের পায়েয়া-র সঙ্গে মিল পেতেই পারে কেউ। তবে মশলাগুলো আলাদা। এটা অন্য যে কোনওরকম মাংস দিয়েও করা যেতে পারে।
লাগবে:
লম্বা দানার চাল এককাপ
দু’তিনটে ভিন্ডিকুচি, ভেজে রাখা
গাজর বিনস কুচি এককাপ
টমেটো পিউরি দেড় কাপ
পেঁয়াজ মিহিকুচি একটা
একটা পেঁয়াজ বাটা
রেড বেল পেপার একটা কুচনো
গ্রিন বেল পেপার মিহিকুচি আদ্ধেক
থাইম এক চামচ
তেজপাতা দুটো
ধনেপাতা কুচি
বেশ ঝাল লাল লঙ্কাবাটা কয়েকটা (ওদেশের স্কচর বনেট লঙ্কা তো পাওয়া যাবে না, ওর মতন খানিকটা কিছু)
চিকেন স্টক তিনকাপ

প্রণালী:
তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ভেজে তাতে চিকেন দিয়ে দিতে হবে। কারি পাউডার আর অল্প টমেটো পেস্ট দিয়ে ভালো করে এপিঠ ওপিঠ ভেজে নিতে হবে। বেশ বাদামি হবে। এবার সেই তেলে তেজপাতা দিয়ে ভেজে বাকি টমেটো পেস্ট, পেঁয়াজবাটা, লঙ্কাবাটা দিয়ে কষে, লাল বেল পেপারটাও পেস্ট করে মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর যাবে সবজি, তবে ভিন্ডিটা শেষে।
এরপর চাল আর স্টক ঢেলে দিয়ে ভাত সেদ্ধ করতে দিতে হবে। গলে না যায় খেয়াল রাখতে হবে। শেষে থাইম দিয়ে গরম গরম পরিবেশন। সঙ্গে চিকেন আর কলা ভাজা।
দিনান্তে পৌঁছে, ধর্মের বেড়াজালের বাইরে এইটুকু সারমর্ম যা বুঝেছি, সংযমী স্বল্পাহার ও সুষম আহার হল সুস্বাস্থ্যের কিওয়ার্ড। ওই যে রায়মশাই লিখেছিলেন না, ‘অনাহারে নাহি খেদ, বেশি খেলে বাড়ে মেদ’… সেকথা ব্যঙ্গার্থে বলা হলেও খানিকটা সত্যিও বটে। তাই, উপোস আর উপোস ভাঙার কিছু খাবারের কথা রইল, সঙ্গে থাকল আমাদের এই নীল গ্রহের কাছে দু’মুঠো খাবার যোগানোর জন্য অসীম কৃতজ্ঞতা!
*সমস্ত রান্না ও ছবি সৌজন্য: লেখক
প্রধান ছবি: Indiafoodnetwork
শ্রুতি অনেকদিন ধরে চক ডাস্টার নিয়ে স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডে ফিজিক্স লিখতেই স্বচ্ছন্দ। সামান্য ও এত ক্ষুদ্র মানুষ, যে জীবনেও কখন হাইজে়নবার্গস আনসার্টেনটি প্রিন্সিপল কাজে লেগে গেছে অজান্তে। বর্ধমানে থাকার অবস্থানটি এতটাই সুনিশ্চিত, যে পিএইচডি উত্তর, উচ্চশিক্ষার মোমেন্টাম সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলা শেষ হলেও বাকি থাকে নিশ্চিন্তে আকাশ নদী পাখি আর প্রজাপতির গল্প শোনা।
Respect your culinary research and passion on cooking .
Great post🙏🏻👍❤
Thank you
খুব ভালো লাগল।
Thank you🙏
Di Tumi best..ato valo lage jokhon tomar lekha gulo pori ar chobi gulo dekhi ..ato sundor bornona..vabte pari na ami akjon amon manus ar sathe Kichu ta somy katiyechi.. thanks go..
Hugs love and thanks..
Shruti, ei shob tui nije baniyeochhis? Khawachhish kobe janash. Khub khub bhalo lekha!! Ek doure Durgapurer rastay pounchhe gelam!
Hyan didi nijei banano, chhobi tolar utsahe!
Thank you 🙏