মরসুমের প্রথম বরফ পড়েছে আজ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর খানিকটা দেরিতে। ডিসেম্বরের পাঁচ তারিখ, সারা দুপুর অবিশ্রান্ত বরফ পড়ে বাইরেটা এখন ধূসর, বর্ণহীন। প্রথম বরফের সঙ্গে অনেক কিছু জড়িয়ে থাকে: ঘন্টায় ঘন্টায় হেজ়েলনাট কফি, খ্রিস্টমাস ক্যারোল চলতে থাকে দিনভর, ফায়ারপ্লেস জ্বালানো হয় ঝেড়েঝুড়ে, আর লিভিংরুমের উষ্ণতার সঙ্গে মিলিয়ে পিনো নোয়ার বা শার্ডনের গ্লাসে হালকা চুমুক সন্ধেরাতে। প্রথম বরফের সঙ্গে অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা থাকে আরও একটা জিনিস। ঘরে ফেরার টান, শেকড়ের কাছে ফেরার আকুলতা। রাত্রে শোবার সময় মাথার কাছে জ্বালিয়ে দিই ছোট্ট বেতের লণ্ঠন— গতবছর ইকো পার্কের হস্তশিল্প মেলা থেকে কেনা। দোকানি ভদ্রলোক বলেছিলেন, দিদি জুতোর বাস্কোর মধ্যে বসিয়ে নিয়ে যাবেন, কিচ্ছু হবে না। হয়নি কিছু, এক বছর ধরে মাথার কাছে উষ্ণতা দিয়েছে বেতের লণ্ঠন।
বছরের এই সময়টা কলকাতা হাতছানি দিয়ে ডাকে আমাদের মতো “পরিযায়ী পাখিদের“। সেমেস্টারের পড়ানো চুকিয়ে, ফাইনাল গ্রেড জমা দিয়েই প্রায় দৌড়ে প্লেনে ওঠা নান্দীকারের নাট্যমেলা ধরার জন্যে! অ্যাকাডেমি–নন্দন চত্বরে চেনা মুখ “আরে, কবে এলে? চল একদিন বসা যাক।” ঘাড়ের পাশ দিয়ে চেনা গলা “দাদা, দুটো ডেভিল, দুটো কাটলেট, একটু জলদি।” এক বছর কানেকটিং ফ্লাইট মিস করে আটত্রিশ ঘণ্টা জার্নি করে যখন কলকাতায় পৌঁছলাম, বেহালা মিউজিক ফেস্টিভালের প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শুরু হতে তখন মাত্র ঘণ্টা পাঁচেক বাকি। বুধাদিত্যবাবু ইমদাদখানী ঘরানার গায়েকি অঙ্গে বাজালেন ইমন, হায় হায়! কপালে লাল টিপ, নরম শালের ওম গায়ে, পঞ্চাশোর্ধ কিশোরী আমি সেই বাজনা শুনতে শুনতে ভেসে ধুয়ে গেলাম কান্নায়, ঘরে ফেরার আনন্দে।
তিরিশ বছর প্রবাসে, তবু শীতের কুয়াশামাখা আলো–ফুটছে ভোরে প্লেনটা যখন মেঘ কাটিয়ে আমার শহরের বাড়ি, ছাদ, নারকেলগাছগুলোকে ছুঁতে চায়, বুকের মধ্যে তখন দে দোল দোল মাদল। দুই বিনুনি থেকে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত মধ্যবয়সে পৌঁছেছি, এয়ারপোর্টে এখন আর অনেকগুলো চেনামুখ দাঁড়িয়ে থাকে না, তবু ফেরা সেই শহরে। প্লেনের ভেতরে যান্ত্রিক আবাহন “Ladies and gentlemen, we have landed in Netaji Subhash Chandra Bose International Airport….the outside temperature is…..”| এপাশ ওপাশ থেকে টিপটিপ জ্বলে ওঠে সবুজ আলো, আর অন্ধকার ভেদ করে দূরে কার কলার টিউনে বাজে “একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ।” এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি যাওয়ার পথেই রাধারানি, ল্যান্সডাউন রাসবিহারীর মোড়ে। একটু থেমে গরম গরম কচুরি আর জিলিপি—- নাথিং ছাড়ান! তাছাড়া গরম জিলিপি আর ডাল দিয়ে কচুরি পৃথিবীর যে কোনও কারাবাস ভুলিয়ে দিতে পারে, প্রবাস তো সেখানে বাচ্চা! গাড়ি ঘ্যাঁচ করে গ্রিল দেওয়া গেটের সামনে দাঁড়াতেই দৌড়ে এসে কাঠের দরজার ছিটকিনি খোলে বলাইদা। আমার আশি পেরনো নড়বড়ে মা দোতলার বারান্দা থেকে একটু গলা বাড়িয়ে হাসে। বনহুগলির হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরতাম যখন সপ্তাহের শেষে, মা এইভাবেই হাসত।
এক বছর কানেকটিং ফ্লাইট মিস করে আটত্রিশ ঘণ্টা জার্নি করে যখন কলকাতায় পৌঁছলাম, বেহালা মিউজিক ফেস্টিভালের প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শুরু হতে তখন মাত্র ঘণ্টা পাঁচেক বাকি। বুধাদিত্যবাবু ইমদাদখানী ঘরানার গায়েকি অঙ্গে বাজালেন ইমন, হায় হায়! কপালে লাল টিপ, নরম শালের ওম গায়ে, পঞ্চাশোর্ধ কিশোরী আমি সেই বাজনা শুনতে শুনতে ভেসে ধুয়ে গেলাম কান্নায়, ঘরে ফেরার আনন্দে।
সকালবেলাই বেড়িয়ে পড়ি পাড়া বেড়াতে। জেটল্যাগ পাত্তা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের পাড়ায় প্রতিটা প্রহরের একটা শব্দ–গন্ধ–স্পর্শ আছে, সুতরাং কিচ্ছুটি মিস করা চলবে না। রিকশার ঝকর ঝকর, পাশ দিয়ে মাঙ্কি ক্যাপে ঢাকা কিছু চেনা মুখ পেরিয়ে ছায়াকাকিমার বাড়িতে পৌঁছই। ডাকনাম ধরে ডাকার মতো মানুষ তো হাতেগুণে এখন এই ক‘জন। ছায়াকাকিমা মানে আমার ছোটবেলার প্রাণের বন্ধু তুতুন–চন্দনার মা। একসঙ্গে মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার সল্ভ করা থেকে শুরু করে চিত্রাঙ্গদা‘র “বঁধূ, কোন আলো লাগল চোখে” সবই ছিল ওদের সঙ্গে। পুষ্পরানি রেকাব ভরে মুড়ি, নারকেলকোরা দিয়ে যায়, ওপরে অল্প চিনি ছড়ানো। খাটের ওপরে ঠ্যাং ছড়িয়ে বসে চা মুড়ি খেতে খেতে চলে টুকিটাকি আদানপ্রদান— আমেরিকা থেকে আমদানি ভেরা ব্রাডলির হালকা কম্বল, কাকিমার গাঁটের ব্যাথার জন্য গ্লুকোসামিন কনড্রয়টিন, আর ওয়ালমার্টের ডিজিটাল শপ থেকে ছাপানো আমার নিজের ডিজ়াইন করা গ্রিটিং কার্ড। “ওমা, কত বড়ো হয়ে গেছে রে ছেলেমেয়েগুলো!” বলে কাকিমা কার্ড সেটেঁ দেয় আলমারির গায়ে। ফেরার সময় বাগানের মানকচু, চারটি লেবু, আর একফালি পাটালি গুড় সঙ্গে দিয়ে দেয়। জয়নগর থেকে কাকিমার বড় জামাই নিয়ে এসেছে, অনেকটা পথ মোপেড চালিয়ে। সেই গুড়ের ভাগ সঙ্গে নিয়ে, সরু গলি, কচুরিপানা ভরা পুকুর, চায়ের ছাউনির সামনে গুটিশুটি মানুষ এইসব পেরিয়ে ফিরি গ্রিল দেওয়া গেটের সামনে।
শীতের কলকাতা, সন্ধে নামার একটু আগে বড় মেদুর, বিশেষত উবর চাপলে। কসবা থেকে দেশপ্রিয় পার্ক, ওইটুকু যেতেই কত চিত্র, কত চরিত্র! জীবন হাঁটছে পুরোদমে। বিজন সেতুর ওপর থেকে চোখাচোখি হয় ওয়েস্টসাইডের সুন্দরীর সঙ্গে, ব্রিজের নীচে লাফিয়ে টপকে রেল লাইন পার হয় জামেনারা। গড়িয়াহাট মার্কেটের একতলায় কুচো নিমকি, চিঁড়েভাজার স্টপেজ। মার্কেটের ঠিক বাইরে খোকনের হজমির ঠেক— “দিদি, এবার একটা নতুন আম কাসুন্দি এসেছে, টেস্ট করে দেখে নিন আগে কদিন, ভাল লাগলে নিয়ে যাবেন সঙ্গে ওদেশে।” খানিকটা এগিয়ে বাঁ হাতের ফুটপাথে জাঙ্ক জুয়েলারির আড়ৎ। ঘুপচি গলি থেকে মেটালের একটা নেকপিস কিনেছিলাম কয়েকবছর আগে। রীতিমতো শো–স্টপার!! অ্যান আরবরের পার্কিং লটে মার্কিনি এক মহিলা আমাকে থামিয়ে ইতস্তত করে জিজ্ঞেস করেছিলেন নেকপিসটা ডেভিড ইয়ুরম্যান না টিফানি!
এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি যাওয়ার পথেই রাধারানি, ল্যান্সডাউন রাসবিহারীর মোড়ে। একটু থেমে গরম গরম কচুরি আর জিলিপি—- নাথিং ছাড়ান! তাছাড়া গরম জিলিপি আর ডাল দিয়ে কচুরি পৃথিবীর যে কোনও কারাবাস ভুলিয়ে দিতে পারে, প্রবাস তো সেখানে বাচ্চা! গাড়ি ঘ্যাঁচ করে গ্রিল দেওয়া গেটের সামনে দাঁড়াতেই দৌড়ে এসে কাঠের দরজার ছিটকিনি খোলে বলাইদা। আমার আশি পেরনো নড়বড়ে মা দোতলার বারান্দা থেকে একটু গলা বাড়িয়ে হাসে।
একটু এগিয়ে ‘মাড’–এর উল্টোদিকে মনোহরের ব্লাউজ়ের দোকান। সরু সিঁড়ির মাথায় কাচের দরজা ঠেলে কাটের এনসাইক্লোপিডিয়া। গতবার বোট–নেকগুলো ভালই বানিয়েছিল। ২০২০–র জানুয়ারিতে বীভৎস আড্ডা হয়েছিলো ’মাড’-এ আমাদের “Unbeatables” দলের। পঁয়তিরিশ থেকে পঞ্চান্ন বছর বয়সী একদল মহিলা, আমাদের স্লোগান “well-behaved women never made history.” নিজেরাই নিজেদের নাম দিয়েছি “Unbeatables”. সবাই থাকে কলকাতায় সশরীরে, শুধু আমি আর অন্য একজন সিঙ্গাপুরনিবাসী। কলকাতায় না থেকেও আমরা কলকাতাতেই থাকি। আমাদের “বসা“র ঠেলায় মাড–এ সেদিন কাক–পক্ষী বসার জো ছিল না। কলকাতার হালের এই “বসা” কালচারটা বেশ লাগে কিন্তু আমার। কোনওদিন ফার্স্ট ফ্লাশ, কোনওদিন সিয়েনা, কোনওদিন পটবয়লার কাফে। আমাদের ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে “বসা” হত বাড়িতে কিংবা বড়জোর মাসকাবারি ফুচকাওয়ালার ঠেকে। “Stop the count” বলে বলে ফুচকা খেতাম আমরা, আড্ডাটা যত বাড়ানো যায় সেই মতলবে। কে ভেবেছিল সেদিনের ঠেকের ভাষা ২০২০–তে উঠবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে!
একবছর বোন–বন্ধুর সঙ্গে সারারাত জেগে অ্যাকাডেমিতে উরুভঙ্গম দেখলাম। অবিশ্বাস্য প্রযোজনা! ইন্টারভালে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে এসে হি হি কাঁপুনি, কালো চা, আগুনের চারপাশে নাচগান — সবকিছু মিলিয়ে কি মারাত্মক অর্গানিক একটা অনুভূতি! একটি বাচ্চা মেয়ে রামানতা বাজিয়ে রাজস্থানি মান্দ গেয়েছিল, এখনও ভুলিনি। নাটক যখন শেষ হল, তখন ভোর হচ্ছে। অল্প আলোয় দূর থেকে দেখেছিলাম ভিক্টোরিয়ার পরি। আর এক বছর ডোভার লেনে শিশির ঝরিয়ে বেহালায় নীলাম্বরী বাজিয়েছিলেন এন রাজমজি। সেই রাতে আমার কানের একটা ঝুমকো খোয়া গিয়েছিল।
খাটের ওপরে ঠ্যাং ছড়িয়ে বসে চা মুড়ি খেতে খেতে চলে টুকিটাকি আদানপ্রদান— আমেরিকা থেকে আমদানি ভেরা ব্রাডলির হালকা কম্বল, কাকিমার গাঁটের ব্যাথার জন্য গ্লুকোসামিন কনড্রয়টিন, আর ওয়ালমার্টের ডিজিটাল শপ থেকে ছাপানো আমার নিজের ডিজ়াইন করা গ্রিটিং কার্ড। “ওমা, কত বড়ো হয়ে গেছে রে ছেলেমেয়েগুলো!” বলে কাকিমা কার্ড সেটেঁ দেয় আলমারির গায়ে। ফেরার সময় বাগানের মানকচু, চারটি লেবু, আর একফালি পাটালি গুড় সঙ্গে দিয়ে দেয়।
আমার কাছে শীতকালের শহরে ফেরা এই সবকিছু নিয়ে। ভ্যাকসিন পেলেই প্লেনে উঠব, এটা মোটামুটি গোটা অ্যান আরবর জানে। শীত হয়তো তখন চলে যাবে, তবু অপেক্ষা করবে আমার শহর, আমি জানি। গতবার কলকাতা ছাড়ার দুদিন আগে এক ছোট্ট বন্ধু রাগ রাগ গলায় বলেছিল, “তা, আমেরিকা যাচ্ছ যাও, কিন্তু ফিরছ কবে শুনি?” ও বুঝেছিল, এ ঠিক পরিযায়ী পাখি নয়, সিজ়ন টিজ়নের তোয়াক্কা না করেই বাড়ি ফেরে। স্বদেশ বিদেশের সীমারেখা তো বেঁধে দেয় রাজনীতির কারবারিরা, মন কি আর সে সীমারেখার ধার ধারে? মন তো ফিরেই থাকে এই শহরটাতে, শীতের ওমে, করোনার ধ্বংসে, আমফানের ঝড়ে, পুজোর ঢাকে, বেলা অবেলায়।
আসলে ফেরার তাগিদগুলো বাঁধা থাকে অনেকগুলো জায়গায়, অদৃশ্য সুতো দিয়ে। ফেরা মানে প্রিয় মানুষের সঙ্গে রাস্তার ধারে ভাগাভাগি ডাঁসা পেয়ারা, বিটনুন ছড়িয়ে। ফেরা মানে হস্তশিল্প মেলায় ধুলো উড়িয়ে বেতের লণ্ঠন, হাতের গয়না আর লেবুর আচার। ফেরা মানে বারান্দায় মায়ের মুখ, কাঠের দরজায় ছিটকিনি খোলার শব্দ। ফেরা মানে রেকাবি ভর্তি মুড়ি নারকেলকোরা, অল্প চিনি ছড়িয়ে । ফেরা মানে গড়িয়াহাটে হাঁটতে হাঁটতে টিপের পাতা, হজমি, বড়ি। ফেরা মানে সৌমিত্রবাবুর শেষ জন্মদিনে শ্রীজাতর পাঠ “যারা সবথেকে কাছে আসে, তারাই তো সবথেকে দূরে যাবার পরোয়ানা নিয়ে আসে।” ফেরা মানে সরস্বতীপুজোর সকালে কাঁচা হলুদ ছুঁইয়ে স্নান, নির্ভয়ে নারকেলি কুল খাওয়া, আর দিনভর গানবাজনা। ফেরা মানে বইমেলায় আনন্দ পাবলিশার্স–এর তিনটে পাতা, আর মণখানেক বই কিনে সেগুলো সুটকেসে ঢোকাতে না পেরে হৃদয়ের এক একটা টুকরোস্বরূপ রেখে আসা। আর ফেরা মানে কানের একটা ঝুমকো হারিয়ে ফেলা নজরুল মঞ্চে, শিশির ঝরানো রাতে।
আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের বায়োস্ট্যাটিসটিক্স-এর অধ্যাপক ড: মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গবেষণার বিষয়বস্তু ক্যান্সার ডেটা মডেলিং। জন্ম এবং লেখাপড়া কলকাতায়। কর্মসূত্রে বিশ্বনাগরিক। লেখালেখির শুরু কলেজজীবন থেকেই। কবিতার পাশাপাশি ছোটগল্প, মুক্তগদ্য এবং প্রবন্ধ লেখেন। বাতায়ন, পরবাস, বাংলালাইভ, সুইনহো স্ট্রিট, কেয়াপাতা, গল্পপাঠ, সাহিত্য কাফে, TechTouchটক, Antonym ইত্যাদি বহু পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: একলাঘর (যাপনচিত্র প্রকাশনী)।
অসাধারন
Amar priyo manusher kalomey anyotamo priyo lekhoni, aro ekbar jhorey porlo! Ei sheet kaley jarpornai miss korechhi tomay, Amader priyo Sister-guide- philosopher- friend Santa ke! I feel proud to be in the unbeatable girls group too…
lekha ta mon praan chhuye ek narom aador makhiye dilo. Shei awdrishyo shuto, jaa aajo Amader bnedhey rekhechhe, awtoot thaak, mojboot hok agami tey. Aaro onek bnedhey bnedhey thakar ongikarbadhyo hoi, esho!❤️
Tomar lekha porte porte nijei kokhon chele balai pouche gechi.sob chobir moto mone porche.aei vabei tumi likhe cholo ar amra valolagar anonde ga vashia cholte thaki.
Wonderful – what a lyrical presentation – radiates love only love.
Wonderful but too much show off. If you truly love your country, come back and do something here. I know it is impossible for you to avoid the glamourous world in USA with lots and lots of money to come back to your own country. I know that you do not miss anything while in USA, because every little bit that you have mentioned here are all available in USA. So, why show off?
তোমার জন্য মন কেমন করছে। তাড়াতাড়ি দেখা হবে ।
I do not agree with Abhijit at all . I think we all should appreciate how a soul pines for her city and how it is expressed in every small phrase. We all so this. I personally become hungry for Koi-PabdaTangra-Iilish and borir jhhol and also the classical music concerts especially Guruji Girija Deviji,s concerts while she was alive. What Moushumi does for her country and why she is not being able to return now is her personal matter. Criticizing her writing based on her personal matter is rude and uncalled for.
এযে সেই না বদলে যাওয়া পাকা’র সাতকাহন। দিনযাপনের মুগ্ধ স্মৃতির শব্দ ঘেরা কথাগুলো পড়তে পড়তে হারিয়ে গেলাম সেই কোলকাতার বুকে। এমন করে নিজের শহরের ভালোবাসা উজার করে লিখতে কনে পারে !! খুউব ভালো লাগলো মৌ।