এক বাঙালির মিলান কুন্দেরা

Milan Kundera and his impression on a Bengali reader

স্তালিনিস্ট জমানায় রুশ সাম্রাজ্যবাদ চেকোস্লোভাকিয়ায় যখন মানুষের কণ্ঠরোধ করছে, যখন একজন ব্যক্তিমানুষ কী ভাববে বা কী লিখবে, তাও নিয়ন্ত্রণ করছে কমিউনিস্ট পার্টি, তখন মিলান কুন্দেরা তৈরি করলেন ব্যক্তি মানুষের প্রতিরোধ। কিন্তু এই প্রতিরোধ উচ্চকিত নয়, বরং তীব্র শ্লেষাত্মক, তিক্ত রসের। ক্ষমতার সমস্ত রূপভেদ নিয়েই তিনি একপ্রকার সন্দর্ভ তৈরি করলেন তাঁর লেখায়। ১৯৫০ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ৫৬ তে ফিরে আসেন। আবার ৭০ সালে বহিষ্কৃত হন। তাঁর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। তিনি ফ্রান্সে চলে যান। বাকি জীবন আর তিনি তাঁর প্রিয় প্রাগে ফিরে যাননি।

লিখলেন হিন্দোল ভট্টাচার্য…

জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ১২

An array of Indo-Anglian writers

এক প্রতিষ্ঠিত, বিশ্ববিখ্যাত, বিদেশি কবি-ঔপন্যাসিক সরকারের আয়োজিত সফরে বেড়াতে এসেছেন কলকাতা। শহরের এক ইন্দো-অ্যাংলিয়ন কবির বাড়িতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন… লিখছেন শংকরলাল ভট্টাচার্য। পর্ব বারো।

যখন কলম থমকে দাঁড়ায়

কেন হয় রাইটার্স ব্লক? কেন হঠাৎ করে থমকে যায় সৃষ্টিশীলতা? কারণটা শারীরিক না মানসিক? শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ও নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানিয়েছিলেন, আগের মতো লিখতে ‘বল না পাওয়া’-র কথা। ওপার বাংলার প্রবাদপ্রতিম লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লেখালেখি শুরু করেছিলেন গত শতাব্দীর ষাটের দশকে। কিন্তু মাত্র কয়েক বছর লেখার পরেই কলম থামিয়ে দেন তিনি। ফিরে আসেন প্রায় বছর দশেক পরে। গত দশ বছর কি রাইটার্স ব্লকের শিকার হয়েছিলেন তিনি?

মনে মনে ডাকনাম দিলুম নবনীতামাসি

এমন করে বাইরে থেকে ডাকব না! পারি যদি, অন্তরে তার ডাক পাঠাব আনব ডেকে!’ সে ডাক আর পৌঁছল না। ডাক হরকরা চিঠি নিয়ে মাঝপথেই দাঁড়িয়ে রইল। অমল সে চিঠি পেল না। আমার যে ফুলের সাজি নেই নবনীতামাসি।