বাঙালির সাল-তামামি

বছর ষোলশো আগে যখন সূর্যসিদ্ধান্ত লেখা হচ্ছে তখন আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে কতটুকুই বা জানতাম আমরা? মাধ্যাকর্ষণ থেকে শুরু করে আহ্নিক গতি বা বার্ষিক গতি নিয়েও বিজ্ঞানভিত্তিক স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। আর্যভট্ট যখন আহ্নিক গতি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন সম্ভবত তার একশ বছর আগেই সূর্যসিদ্ধান্ত লেখা হয়ে গেছে।
দাম্পত্যের কালবৈশাখী

যদি অন্ত্যমিল না থাকে দুজন মানুষের দাম্পত্যে, যদি বৃষ্টি না-নেমে সবকিছু স্নিগ্ধই না-হয়ে যায়, তখন তারা থাকবে কেমন করে পরস্পরের সঙ্গে? মাছ আর পাখির মতো? একজন জলে, অন্যজন আকাশে? সেইভাবে এক ছাদের নিচে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো বসবাসে ভালোবাসা কি বেঁচে থাকে? সফল দাম্পত্যে ওই তীব্র অধিকারবোধের আকাঙ্ক্ষার থেকেও অনেক বেশি প্রয়োজন নির্ভরতা আর বিশ্বাস। যখন দু’টি মানুষের মনের মধ্যে যোজনবিস্তৃত ব্যবধান আলসেমির রোদ্দুর মেখে শুয়ে থাকে… দীঘল কালো চুলের সর্পিল বেণীটির মতো.. তাকেই বলা যেতে পারে বহুব্যবহারে জীর্ণ দাম্পত্য এবং তখনই কালবৈশাখী ঝড় ওঠে আচমকা।
কখন যে ঝড় আসে

কোনও কালবৈশাখীই অকালবৈশাখী নয়। কারণ কালবৈশাখীর মধ্যে একধরনের অনিশ্চয়তা আছে যা নিষ্ঠুর , কিন্তু নিয়তিনির্ধারিত। প্রকৃতির মধ্যে এই সৃষ্টি এবং ধ্বংসের লীলা নিয়ে যে প্রচুর রোমান্টিক এবং আধ্যাত্মিক কাব্য রচিত হয়েছে, তা মনে হয় এখন আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। দুর্গার প্রবল বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার মতো বা জ্বরের মধ্যে পড়ে বাইরে প্রবল ঝড়ের আবহে প্রতি মুহূর্ত সেই অনিশ্চয়তার সঙ্গে দাবা খেলার মতো কালবৈশাখীকে ভিলেন বা অশনির দূত হিসেবে মনে করার পিছনেও সম্ভবত ভুল কিছু নেই।
রুশদের সঙ্গে দিঘা

দিল্লী কিংবা মুম্বই বিমানবন্দরে অনেক বিদেশি বিমান আসে আর এইসব শহরের নামী হোটেলগুলিতে কিছু ঘর এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো সারা বছরের জন্যে নিয়ে রেখেছে। কলকাতার হোটেলগুলোর ভাগ্য এত ভালো নয় তাই সারা বছর ধরে হোটেল ভরানোর কথা ভাবতে হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি অবধি কলকাতার এক প্রস্তুতিকারক কোম্পানির কাজে যখন অনেক রাশিয়ান ইঞ্জিনিয়র আসত, সবকটা হোটেল ঝাঁপিয়ে পড়ত তাদের রাখার জন্যে।
পাখি

পরিযায়ী হোক বা খাঁচাবন্দি, পাখি মানেই ডানামেলা অসীমে উধাও। আবহমান কাল ধরে পাখি নিয়েই যত গান, যত স্বপ্ন, যত কল্পনা! পাখি কখনও হিচককের ভয়-ছবির নায়ক, আবার কখনও বা শাহেনশা বচ্চনের কাঁধে বসা পার্শ্বচরিত্র। বড়ি রোদ্দুরে দিয়ে কাক তাড়ানো পিসিমা থেকে বাইনোকুলার কাঁধে মগডালে চক্ষুস্থির করে বসে থাকা পিন্টুদা পর্যন্ত সকলেই কিন্তু আদতে পাখির মহিমায় ধরা […]