দিনের পরে দিন: অজানা বৃতানি

ওয়াইনে চুমুক দিতে দিতেই হাজির হল মস্ত আকারের গরম গরম স্বাদের ক্রেপ। শেষ পাতে মিষ্টি খাবার অভ্যেস দুই বন্ধুরই। নোনতা ক্রেপ শেষ করে আমরা তাই খেলাম মিঠা ক্রেপ। যে ফরাসি ক্রেপের খ্যাতি বিশ্বজোড়া তার জন্মও কিন্তু এই বৃতানিতে।
চলিবলি রং তুলি: লাচেনে ইয়াক জবাই

এখানে এসে পর্যন্ত খাতা খোলা হয়নি। চটপট একপাশে বসে পড়লাম গুম্ফা আঁকব বলে। লাচেনপা তো থ। বলল, ‘দেন ইয়ু আর অ্যান আর্টিস্ট! তোমাকে আমাদের পিপন-এর কাছে নিয়ে যাব, হি লাভস আর্ট।’ আগেই শুনেছিলাম এ সব অঞ্চলে সমান্তরাল ভাবে একটা শাসনব্যবস্থা চালু আছে। লোকেরা ইচ্ছেমতো একজনকে বছর চারেকের জন্য তাদের মেয়র হিসেবে বেছে নেয়। এই মেয়রকেই বলা হয় পিপন। তাঁর আদেশই সবাই মেনে চলে। ঠিক হল আজ বিকেলেই যাব পিপন-দর্শনে। লাচেনপা-র দেখলাম এবার একটু ইতস্ততঃ ভাব। বলল, “ওখানে সবার সামনে আমাকে কিন্তু ‘রিংঝিং’ বলে ডেকো, ওটাই আমার নাম।”
চাম্বাকৈলাস মণিমহেশ (পর্ব ১)

রেলগাড়িতে হিমাচল ভ্রমণের সিংদরজা পাঠানকোট। সেখান থেকে বাসে চাম্বা শহর। দূরত্ব ১২০ কিমি। সময় লাগে ঘণ্টা পাঁচেক। বাস ছাড়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই রাস্তা ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী। পথের ধারের গাছপালা বর্ষার জলে স্নান করে ঝকঝকে সবুজ। অনতিউচ্চ টিলাগুলো যেন ঘন সবুজ রঙের বাহারি চাদর মুড়ি দিয়ে উবু হয়ে বসে রয়েছে। অনেক নিচ থেকে উঠে আসা পাইন, ফার, দেবদারুর পাতা আলতো ছোঁয়া দিয়ে যায় বাসের জানালায়।…
চলি বলি রংতুলি: ময়ূর পাহাড়ে সূর্যাস্ত কিংবা মিষ্টি গুলগুলা

আরও কিছুটা পথ এগোতেই দেখি পাগড়ি মাথায় কাঁচাপাকা দাড়িওলা একজন সুঠাম চেহারার লোক এগিয়ে আসছে। কাঁধে ফেলা তরোয়াল গোছের একটা জিনিস, যার আবার দুটো ফলা। লোকটাকে দাঁড় করিয়ে জেনে নিলাম একে দাউড়ি বলে এবং মহাশয়ের নাম পাহাড়ি সিং। জঙ্গলে জঙ্গলে গিয়ে গাছের ডাল কেটে বেড়ায়। নামটা বেশ মানানসই বলতে হবে। চট করে এর একটা স্কেচ না করলেই নয়!
চলি বলি রং তুলি: অযোধ্যা পাহাড় ও লুড়কুর চুল দাড়ি

অযোধ্যা পাহাড়ের মাথায় পৌঁছতে হলে পুরুলিয়া শহর থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস আছে। আমি একা যাব, তাই সেটাই সুবিধের। আগে জয়চন্ডী পাহাড় ঘুরে রঘুনাথপুর থেকে মিনিবাসে চেপে ঘণ্টা দু’য়েক পর এলাম পুরুলিয়া সদরে। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গেছে, ফলে রাতটা এখানেই থেকে গেলাম একটা চলনসই গোছের হোটেলে। বাস ডিপোটা উল্টোদিকেই। পরদিন সাতসকালে উঠে হাজির হয়ে গেলাম।
হিমবাহ আর তুষারশৃঙ্গের খেলাঘর: মাইকতোলি

সাধারণত শীতের শুরুতেই বাইরে যাওয়ার ইচ্ছেটা চাগাড় দেয়। তবে প্রকৃতি যে প্রতিটি মরশুমেই তার অফুরান সৌন্দর্য ভাণ্ডার রঙে-রসে অতুলনীয় করে সাজিয়ে রাখে, আর সেটা উপভোগ করতে গেলে যে প্রতিটি মরশুমেই একবার তার কোলে-পিঠে ঘুরে আসতে হয়, সেটা প্রথম বুঝলাম বছর পঁচিশ আগে মাইকতোলি ঘুরে আসতে গিয়ে। যাত্রাপথে সুন্দরডুঙ্গা পর্বত। তার হাতায় নানান ফুলের মেলা, টলটলে […]