গ্রামের নাম মিম

আমাদের ঘরের জানালা দিয়েই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। কিন্তু আকাশ খুব মেঘলা। তাই কাঞ্চনজঙ্ঘা তো অনেক দূরের কথা, সামনের পাহাড়টাও দেখা যাচ্ছে না। তবু জলখাবার খেয়ে ছাতা নিয়ে তিনজনে বেড়িয়ে পড়লাম। এখন বৃষ্টি হচ্ছে না। চা বাগানের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। অসমান রাস্তা, বোঝা যায় এই অঞ্চলে খুব বেশি গাড়ির যাতায়াত শুরু হয়নি। লোকও বিশেষ আসে না এদিকে, তা আগেই লক্ষ্য করেছি। রাস্তায় আমরা ছাড়া আর ট্যুরিস্ট চোখে পড়ছে না। রাস্তার দুদিকেই চা বাগান, তার মাঝে মাঝে বাড়ি।
ঘুরে এসে লিখলেন অঙ্কিতা দত্ত।
অন্য ভ্রমণ: নোভা স্কটিয়া

হ্যালিফাক্স শহরের অদূরে আর এক বিপর্যয়ের সাক্ষী ফেয়ারভিউ লন সমাধিক্ষেত্র। টাইটানিকের একশো একুশ জন এখানে সমাধিস্থ। অনেকের নাম খোদাই করা দেখলাম পাথরের গায়ে, কেউ আবার শুধুই দেহ উদ্ধারের ক্রমিক সংখ্যা মাত্র। সবচেয়ে বিখ্যাত হল সেই জ্যাক ডসন-এর সমাধি, টাইটানিক ছবির নায়কের চরিত্র যার আদলে তৈরি।
ঘুরে এসে লিখলেন সরিৎ চট্টোপাধ্যায়…
নির্জন একাকী টোডে

সামনে চোখ মেললে দূরে বহু দূরে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড় সারি। বাঁদিকে তুলনামূলক নিকট দূরের পাহাড়েরা ভুটানের। সে পাহাড়ের গায়ে হলুদ ফুলের জলসা। তার পায়ের কাছ দিয়ে বয়ে চলেছে চুমাং নদী। সেই পাহাড় আর নদী-ঘেরা বিপুল সবুজ বিস্তারের মাঝে কয়েকটা তাঁবু বিছানো। ইচ্ছে হলে এখানেও হতে পারে রাত্রিবাস। তলিয়ে গেলাম। ঘোর ঘোর আচ্ছন্নতার থেকে ফিরে এলাম উইলিয়ামের ডাকে।
টোডে ঘুরে এসে লিখলেন স্বাতি নন্দী।
পায়ে পায়ে পঞ্চচুল্লির পায়ের কাছে

জিরো পয়েন্টের রাস্তার বর্ণনা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়, বিভূতিভূষণ হয়তো পারতেন। শুধু এইটুকু বলতে পাড়ি স্বর্গ বোধহয় এর থেকে সুন্দর নয়। দুপাশে ম্যাজেন্টা রঙের রডোডেনড্রনের বাহার, পাইন, ধুপি গাছের সারি, জমে যাওয়া জলধারা আপনাকে মোহাবিষ্ট করে রাখবে। এই জমে যাওয়া জলধারা পার হতে হবে।
পঞ্চচুল্লি ঘুরে এসে লিখলেন প্রদীপ্ত চক্রবর্তী…
বরফে ঢাকা রাশিয়ার ‘মুরমন্সক’ আর মেরুজ্যোতি: অন্তিম পর্ব

এক বুক ধোঁয়া আকাশের পানে ছেড়ে দিলাম। সেই ধোঁয়া নানা বিভঙ্গে ভেঙে ভেঙে মিলেমিশে যাচ্ছে। আর হাওয়ার টানে দ্রুত অন্তর্হিত হয়ে যাচ্ছে। এই ধুম্রজালের রং যদি সবুজ লাল গোলাপি হত তবে তা মেরুপ্রভার মতোই দেখাত। সূর্যের জ্যোতি আর জোনাকির দ্যুতির মিলের মতন। তামাকের মেঘ সরে গেল, তার পিছনেই দেখি এক লম্বা সবুজের পটি, তির তির করে কাঁপছে। ময়ূরের লম্বা পেখমের মত। যেন শিখী তার পেখমের রংটুকু রেখে অদৃশ্য হয়ে গেছে। আমার পায়ের নীচের মাটিটা কি দুলছে দোদুল দুল? আমি কি ঠিক দেখছি? নাকি তামাকের ঘোরে ভ্রান্তিবিলাস! নিজের অজান্তেই চিৎকার করে উঠলাম। গাড়ির বনেট পাগলের মত চাপড়াচ্ছি প্রাণপণে। দুদ্দাড় করে দৌড়ে এল রোমান। তারপর আর সবাই।
রাশিয়ার ‘মুরমন্সক’ ঘুরে এসে লিখলেন বিদ্যুৎ দে…
বরফে ঢাকা রাশিয়ার ‘মুরমন্সক’ আর মেরুজ্যোতি: পর্ব ১

মুরমন্সকের প্রথম ভোর। কাচঘেরা বারান্দায় নীলচে আলোর আভা। পাশের পাহাড়টা এখনও টপকাতে পারেননি দিনমণি। তাই যতদূর দেখছি হালকা নীলাভ তুষারে ঢাকা। বাইরে পত্রহীন বৃক্ষ। ডালে ডালে লাইট শেডের মতো নতমুখে ঝুলন্ত একগুচ্ছ ফল। এর ওপর তুষারের স্তূপ, যেন বরফের বৃন্ত থেকে একটি ফুলের স্তবক আমাদের ভোরের অভিবাদন জানাচ্ছে। আর একদল পাখির কণ্ঠস্বর গার্ড অফ অনারের বাজনার মতো।
ঘুরে এসে লিখলেন বিদ্যুৎ দে…
এলোমেলো বেড়ানো: ১১

দেশিয় পদ্ধতিতে তৈরি এই নুন সম্পর্কে রয়েছে বেশ কিছু শুভ বিশ্বাস। বিশেষত মণিপুরে এখনও মেয়েদের গর্ভাবস্থায় ও সন্তান প্রসবের পর শরীর সুস্থ রাখতে এবং পুষ্টির জন্য নিঙ্গেলের নুন খাওয়ানো হয়। এই নুন ধন্বন্তরির মতো কাজ করে বলে স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস।
সমুদ্র নেই, খাঁড়ি নেই, নেই নোনা হ্রদও, তাও নুনের গ্রাম নিঙ্গেল, ঘুরে এসে লিখলেন অমিতাভ রায়
স্বপ্নের গ্রাম: খোয়াব গাঁ

ছেলেমেয়েরা আমাদের নিয়ে বিভিন্ন দেওয়ালের আঁকা ছবি দেখাতে লাগল। তাদের কে কোনটা এসেছে তাও কলকল করে বলতে লাগল। বড় ভালো লাগল এদের সংসর্গ। আর কী সুন্দর সব ছবি! হনুমান গাছের ডালে ঝুলছে, হাঁস-মুরগির ছবি, টিকিওয়ালা বামুন লাঠি ভর করে হেঁটে যাচ্ছেন, লাউ মাচানের নীচ দিয়ে গিয়ে দেখলাম লাল কাপড় নিয়ে মানুষ আর ষাঁড়ের লড়াইয়ের ছবি, কোথাও করোনা সচেতনতার ছবি…
ঘরের কাছে আরশিনগর ‘খোয়াব গাঁ’, ঘুরে এসে লিখলেন শিখা সেনগুপ্ত