বরফে ঢাকা রাশিয়ার ‘মুরমন্সক’ আর মেরুজ্যোতি: পর্ব ১

Murmansk travel and Arora borealis

মুরমন্সকের প্রথম ভোর। কাচঘেরা বারান্দায় নীলচে আলোর আভা। পাশের পাহাড়টা এখনও টপকাতে পারেননি দিনমণি। তাই যতদূর দেখছি হালকা নীলাভ তুষারে ঢাকা। বাইরে পত্রহীন বৃক্ষ। ডালে ডালে লাইট শেডের মতো নতমুখে ঝুলন্ত একগুচ্ছ ফল। এর ওপর তুষারের স্তূপ, যেন বরফের বৃন্ত থেকে একটি ফুলের স্তবক আমাদের ভোরের অভিবাদন জানাচ্ছে। আর একদল পাখির কণ্ঠস্বর গার্ড অফ অনারের বাজনার মতো।

ঘুরে এসে লিখলেন বিদ্যুৎ দে…

এলোমেলো বেড়ানো: ১২

Karnaphuli or Khawthlangtuipui river

উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত ৩২০ কিলোমিটার দীর্ঘ কর্ণফুলীর ১৫৯ কিলোমিটার ভারতের মিজোরাম রাজ্যের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে। এখানে মিজো ভাষায় নদীর নাম কথলাংতুইপুই (Khawthlangtuipui)।

পাহাড়ের কোলে ঝান্ডি-সুনতালে

Travel story Suntale Jhandi

একটা হেয়ারপিন বাঁকের পর উৎরাই। উপর থেকে গীতখোলাকে দেখা যাচ্ছে। বাকি পথটুকু দুমড়ে মুচড়ে আছে। পাহাড়ের ধার ঘেঁষে গাড়ি থামল। জলে ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পিছল রাস্তা। সাবধানে পা টিপে টিপে ঝোরার সামনে ছোট সেতুটার ওপর এসে দাঁড়ালাম। স্থানীয় লোকজনদের এটাই চলার পথ। সমান্তরালে আরেকটা পরিত্যক্ত সেতু। গীতখোলার পুরনো ব্রিজ, সেবকের করোনেশনের আদলে আর্চ। চারপাশে আগাছা জন্মেছে। ওই ব্রিজের ওপরেই একপাশে শতরঞ্জি পেতে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, আরেক পাশে রান্নাবান্না।

ঝান্ডি-সুনতালে ঘুরে এসে লিখলেন শ্রেয়সী লাহিড়ী

এলোমেলো বেড়ানো: ১১

salt village Ningel

দেশিয় পদ্ধতিতে তৈরি এই নুন সম্পর্কে রয়েছে বেশ কিছু শুভ বিশ্বাস। বিশেষত মণিপুরে এখনও মেয়েদের গর্ভাবস্থায় ও সন্তান প্রসবের পর শরীর সুস্থ রাখতে এবং পুষ্টির জন্য নিঙ্গেলের নুন খাওয়ানো হয়। এই নুন ধন্বন্তরির মতো কাজ করে বলে স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস।

সমুদ্র নেই, খাঁড়ি নেই, নেই নোনা হ্রদও, তাও নুনের গ্রাম নিঙ্গেল, ঘুরে এসে লিখলেন অমিতাভ রায়

পিঁপড়ের ডিমের চাটনি খেতে জঙ্গলমহলের আমলাশোলে

Amlasol Travel story

সাবিত্রী জঙ্গলে যাবে পিঁপড়ে সংগ্রহ করতে। ওর বারো বছরের ছেলে মন্‌সা, আর মন্‌সার পাড়ার বন্ধু অরবিন্দ সঙ্গে যাবে। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার এমন সুযোগ ছাড়া যায়! পিঁপড়ে শিকারীর দলে ভিড়ে গেলাম। সাবিত্রীদের বাড়ির পিছন দিকে কয়েক পা এগোতেই জঙ্গল শুরু। সাবিত্রী, মন্‌সা আর অরবিন্দ আগে আগে যাচ্ছে। আমরা ওদের অনুসরণ করতে লাগলাম। প্রথম দিকে পায়েচলা সরু বনপথ, পরে আর পথ বলতে কিছু নেই। লতা-পাতা সরিয়ে, ঝোপঝাড়ের খোঁচা খেয়ে, কখনও গাছের সরু ডাল ভেঙে এগোতে হচ্ছে।

আমলাশোলের আশ্চর্য অভিজ্ঞতা, লিখলেন শ্রেয়সী লাহিড়ী…

স্বপ্নের গ্রাম: খোয়াব গাঁ

Travel Khoyab Gaon

ছেলেমেয়েরা আমাদের নিয়ে বিভিন্ন দেওয়ালের আঁকা ছবি দেখাতে লাগল। তাদের কে কোনটা এসেছে তাও কলকল করে বলতে লাগল। বড় ভালো লাগল এদের সংসর্গ। আর কী সুন্দর সব ছবি! হনুমান গাছের ডালে ঝুলছে, হাঁস-মুরগির ছবি, টিকিওয়ালা বামুন লাঠি ভর করে হেঁটে যাচ্ছেন, লাউ মাচানের নীচ দিয়ে গিয়ে দেখলাম লাল কাপড় নিয়ে মানুষ আর ষাঁড়ের লড়াইয়ের ছবি, কোথাও করোনা সচেতনতার ছবি…

ঘরের কাছে আরশিনগর ‘খোয়াব গাঁ’, ঘুরে এসে লিখলেন শিখা সেনগুপ্ত

এলোমেলো বেড়ানো: ১০

Kakanmath Temple

বিশাল মন্দিরটি পাথরের তৈরি ২০ ফুট উচ্চতার একটি বর্গাকার ভিত্তির উপর নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটির বিশেষত্ব হল এটি পাথরের ওপর পাথর বসিয়ে নিছক ভারসাম্য বজায় রেখে তৈরি। সিমেন্ট বালির মিশ্রণ তো প্রশ্নই ওঠে না, এমনকি সাবেক কালের ইমারতি মশলা চুন-শাঁখের গুঁড়ো ইত্যাদিও অনুপস্থিত। পেরেক-স্ক্রু-রিভেটেরও বালাই নেই। দুটো পাথর জোড়া লাগাতে আঠা জাতীয় কোনও উপাদানও ব্যবহার করা হয়নি। এক টুকরো পাথরের উপর আরেক খণ্ড পাথর সাজিয়েই গড়ে তোলা হয়েছিল এত বিশাল স্থাপত্য। দেখে মনে হবে একটা ধাক্কা দিলেই পাথরগুলো হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাবে।

কাকনমঠের রহস্যময় মন্দির নিয়ে এবারের পর্ব, লিখলেন অমিতাভ রায়

স্বর্ণলঙ্কা: অন্তিম পর্ব

Swarnalanka 13 Sreyashi Lahiri

সকালে দেওয়াল জুড়ে থাকা জানালাটার পর্দা সরাতেই মনে হল, সিনেমার স্ক্রিনের পর্দা উঠে গেল। অর্ধচন্দ্রাকৃতি সোনালি বালুকাবেলায় নীল জলরাশির রোম্যান্টিক মুগ্ধতা। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখি পর্যটকরা দলে দলে বোটে চেপে রওনা দিচ্ছে স্নরকেলিং আর স্কুবাডাইভিং-এর উদ্দেশ্যে। ইচ্ছে হল সুনীল সাগরে ডুব দিতে। কোনও অ্যাডভেঞ্চার নয়, শুধুই গা ভেজানো…

শ্রীলঙ্কার চেনা-অচেনা প্রান্ত ঘুরে এসে লিখলেন শ্রেয়সী লাহিড়ী, অন্তিম পর্ব।