চা বাগিচার কড়চা: পর্ব ২- মদেশীয়াদের কথা

Tea Garden of Dooars

চা বাগিচার অন্দরে, আদব কায়দায়, প্রকৃতির কোলে ছেলেবেলা কাটিয়েছেন লেখক। নিজের চোখে দেখেছেন চা-বাগানে শ্রমিকদের দুর্দশা, তাদের দুরবস্থা। তখন প্রশ্ন করতে পারেনি। আজ করছেন। পড়ুন অপূর্ব দাশগুপ্তের কলমে চা-বাগিচার কড়চা। আজ দ্বিতীয় পর্ব।

আসাম থেকে লিংকন

Types of Tea

বাঙালির আড্ডায়, সুখে দুঃখে আনন্দে হাসিতে মজায় সঙ্গী বলতে একটি ধূমায়িত পাত্রে চা। কখনও হাল্কা কমলা, কখনও ঘোর কালো, কখনও দুধ দেওয়া ফোটানো বাদামি… চা ছাড়া বাঙালির জীবন অসম্পূর্ণ, অকল্পনীয়। চা নিয়ে আড্ডা জমালেন পাঞ্চজন্য ঘটক।

চার পুরুষের শরবত!

old drinking jars

এখানেই প্রথম গোলাপের পাপড়ি দেওয়া শরবত খেলাম, বাড়িরই এক মুসলিম পরিচারক- ‘শরবতিয়াঁ’র বানানো। এই বাড়িতে কাঠের ‘আইস বক্সে’ বরফকুচিও থাকতো। যে চায় সে নেবে। বাড়িতেই বানানো, সবুজ, হলুদ আর রানি রংয়ের সিরাপ, লম্বা গলা বোতলে থরে থরে রাখা। চিনির সিরায় সিরাপ মিশিয়ে একটু নেড়ে ঠান্ডা জল মেশানো। অপূর্ব পোরসেলিন গ্লাসে পরিবেশন। ট্রেতে খান ছ’য়েক গ্লাস সাজিয়ে ‘শরবতিয়াঁ’ হল ঘরে ঢুকলেই আমরা গন্ধ পেতাম। এরা ‘গর্মি’ লাগলেই ‘নিম্বু পানি’ আর ‘জলজিরা’ খেত।

ভাড়ের চা আর কিশোর কুমার

Paltanda-TeaStall-Banglalive

ভিড়ে ঠাসা কলেজ স্ট্রিট। এক দিকে পুরনো বইয়ের দোকানে ব্যস্ত দোকানীর হাঁকডাক, অন্য দিকে আবার কলেজ পড়ুয়াদের হই হট্টগোল। শাড়ির দোকান থেকে শুরু করে ব্যান্ড পার্টি, সব আছে উত্তর কলকাতার এই পুরনো পাড়ায়। ওই কথায় আছে না আলপিন টু এলিফ্যান্ট সবই পাওয়া যায় এখানে। আর এই ভিড়ভাট্টা থেকে একটু আড়ালে গলির ভিতর আছে ছোট্ট একটা […]

রূপচর্চায় চা

বাঙালি চা-খোর। শুনতে অপবাদ মনে হলেও কথাটা কিন্তু ঘোর সত্যি। সকালে ঘুম থেকে ওঠা ইস্তক সারাদিনে যে আমরা ক’ কাপ চা খাই তার ইয়ত্তা নেই। অফিস মিটিং থেকে শুরু করে বন্ধুদের আড্ডা, সর্বত্রই তার উপস্থিতি অবাধ। আর চা-র গুণপনাও নেহাত কম নয়। সে নয় আর এক দিন বলব। কিন্তু জানেন কি, শুধু শরীর, মন-মেজাজ চনমনে […]