শ্রীসদন হস্টেল – এক রহস্যময় ছাত্রীনিবাস

কে জানে কেন আমার মনে হয়েছিল, শান্তিনিকেতনে গেলে পাব অবাধ স্বাধীনতা। মায়ের শাসনমুক্ত একটা খোলা দুনিয়া। ফলে পাশ করার অন্য কোথাও অ্যাপ্লাই না করেই চোখ-কান বুজে ‘উত্তর শিক্ষা সদন’-এ ভর্তি হয়ে গেলাম। ভর্তি হয়ে গেল আমার সেই বান্ধবীটিও। দুজনেই খুব খুশী সেকারণে।

‘আড়াই’ টপকালেই দিলীপদার পরোটা-আলুরদম

হুট্ করে ক্যাম্পাস থেকে বেরতে হলে এই আড়াই ছিল ভরসা| বেশ খানিকটা হ্যাঁচর-প্যাঁচোড় করে পাঁচিলের মাথায় উঠে ধুপ করে অন্যদিকে লাফিয়ে পড়তে হত| ল্যান্ড করার পর এক মুক্ত পৃথিবী — বাঁ দিকে রাজপুর| ডান দিকে কলকাতা| নরেন্দ্রপুর তখনও শহর কলকাতার বাইরে|

টুক-টুক-টুকলি

Tukli illustration Suvranil Ghosh

একটা সময় ট্রেন্ড ছিল পরীক্ষার হল-এ পড়াশুনোয় ভালো ছেলেমেয়েদের কাছাকাছি বসা, যাতে তাদের কাছ থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে পারা যায়। তারা উত্তর বলেও দিত। তবে প্রথমদিকে তাদের বড়ো একটা খোঁচানো যেত না। তারা হেল্প করত ঘণ্টাখানেক পর থেকে, যখন নিজের উত্তরটা ওরা বেশ গুছিয়ে ফেলেছে। প্রথম ঘণ্টার পরে বাথরুমে যেতে দেওয়া হত। এইসময় কোনও ভালো ছেলেকে বাথরুমে দেখতে পেলে তাকে ঘিরে পুরো গোলটেবিল বসে যেত। পকেটে করে যারা প্রশ্নপত্র নিয়ে আসতে পারত, তারা ওর কাছ থেকে জেনে নিয়ে, তাতে পেনসিল দিয়ে ঝটপট লিখে নিতো কিছু উত্তর।