সমরেশ মজুমদার ও বাংলা টেলিভিশন

একটু আসি ‘কালবেলা’র শেষটায়। “এখন অনিমেষের দু’হাতে একতাল নরম কাদা, যা নিয়ে ইচ্ছে মতন মূর্তি গড়া যায়।” সেই নরম কাদা, অনিমেষ-মাধবীলতার সন্তান অর্ক যখন বছর পনেরো, তখন শুরু ‘কালপুরুষ’। সেখানে তিন নম্বর ঈশ্বরপুকুর লেনের বস্তির বাসিন্দা অর্ক ঘুমচোখে তার বাবাকে বলছে, “ফোট তো, ন্যাকড়াবাজি করো না।” আবার অর্কই একদিন বস্তির পরিত্রাতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। সেই উত্তরণের গল্পই পরিচালক রাজা দাশগুপ্ত ধারাবাহিক হিসাবে তুলে ধরেছিলেন দূরদর্শনের পর্দায়— ন’য়ের দশকের গোড়ায়, সপ্তাহে একদিন করে।
লিখলেন অভিজিৎ সেন…
হনিমুনে যেমন হয়

বিয়ে হয়েছিল শেষ রাতে। বাসরঘরে যেতে যেতেই আকাশ ফর্সাঁ। মেয়েরা আক্ষেপ করেছিল এই রকম বিয়ের কোনও মানে হয় না। বাসর জেগে বরবউ-এর সঙ্গে রসিকতা করা গেল না, গানবাজনা হল না, এ কেমন বিয়ে! অবশ্য সবাই জানত ওই রাত ছিল মরশুমের শেষ বিয়ের রাত আর তার লগ্ন যদি শেষ রাত্রে পড়ে তাহলে কারও কিছু করার নেই। […]