প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১২

সেই অপ্রতুল বৈদেশিক মুদ্রার আমলে কুড়িয়ে বাড়িয়ে শ’পাঁচেক ডলার নিয়ে এসেছিলাম সপ্তাহ তিনেক কোনওরকমে চলার মতো। আশা ছিল ঐ সময়ের মধ্যে কোনও কাজ পেয়ে যাব। ভদ্রমহিলা আমার পুঁজির বহর শুনে প্রায় আঁতকে উঠলেন। এরপর আমার তাজ্জব হওয়ার পালা শুরু। বুঝলাম সেই মুহূর্তে আমি সরকারীভাবে বেকার। সেই জন্য আমার নথিভুক্ত হবার দিন থেকেই দু সপ্তাহ অন্তর কিছু অর্থ প্রাপ্য। সেই ‘বেকার ভাতা’ নাকি সরাসরি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যায়।
… নিজের বিদেশবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখছেন সিদ্ধার্থ দে
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১০

রাশিয়ানদের সঙ্গে ভাষার সমস্যার জন্য কথা বলা যেত না, তবে যেতে আসতে হাসি বিনিময় হত। একজন রীতিমতো সুদর্শন ছিলেন। মহিলারা তাঁর নাম দিয়েছিল জন কেনেডি। রাশিয়ান বৌগুলো মাঝে মাঝে বেলাভূমিতে রোদ পোহাতো। সেই প্রথম সিনেমার পর্দার বাইরে বিকিনি পরিহিতা মহিলা দেখা আমাদের। ফুটফুটে বাচ্চাগুলো ফ্ল্যাটের আশপাশে মনের আনন্দে কাদা মাখত। বুঝলাম শ্বেতাঙ্গরা বাচ্চাদের অনেক বেশী স্বাধীনতা দেয় মাটির সঙ্গে সখ্যতা করার।
… লিবিয়া বাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখলেন সিদ্ধার্থ দে
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ৯

চুনী গোস্বামী এক বিরল প্রতিভা। জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক। সত্তরের দশকে বাংলার ক্রিকেট অধিনায়ক রূপে সেই সময়ের অপরাজেয় বোম্বাই দলকে ঘরের মাঠে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলেন। রীতিমতো ভালো টেনিস খেলতেন।
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ৮

পাঠক নিশ্চয়ই আন্দাজ করছেন, আমি উল্কিপ্রেমী নই। প্রকৃতিদত্ত সুন্দর মানবদেহে এই আঁকিবুকির মধ্যে আমি চেষ্টা করেও কোনও রকম সৌন্দর্য খুঁজে পাইনা। শুধু আজ নয়, কোনওদিনই পাইনি।
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ৭

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলির আর্থসামাজিক অবস্থা, ভূগোল বা ইতিহাস বিষয়ে বিশেষ ধারণা ছিল না সে সময়ে। শুধু জানতাম দুরন্ত ক্রিকেট খেলে। গ্যারি সোবার্স, অ্যান্ডি রবার্টস প্রমুখ কিংবদন্তিদের খেলা চাক্ষুষ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ইডেন উদ্যানে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বলতে বুঝতাম রোহন কানহাই আর আলভিন কালীচরণ। পরবর্তীকালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী বিদ্যাধর নাইপলের নামও শুনিনি তখনও।
সিদ্ধার্থ দে-র স্মৃতিযাপন। পর্ব ৭।
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ৬

১০ কোটি বছর আগে অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন মহাদেশগুলি আজকের পরিচিত জায়গার কাছাকাছি চলে এসেছে। এই continental drift কিন্তু আজও চলেছে। অস্ট্রেলিয়া বছরে সাত সেন্টিমিটার করে উত্তরাভিমুখী। এই গতিতে চললে হয়ত এক কোটি বছরে অস্ট্রেলিয়া চিন মিশে যাবে!
প্রবাসীর নকশা- পর্ব: ৫

৩৫ বছর বয়সে দৈবের বশে ব্র্যাডম্যানের দেশেই নিজের জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলাম ১৯৯০ সালে। এসে কিছুটা আশাহত হলাম। প্রবাসজীবনের কথা সিদ্ধার্থ দে-র কলমে। পর্ব ৫।
প্রবাসীর নকশা- পর্ব: ৪

আমার বারংবার বাহনচালনায় ব্যর্থতার খবর বন্ধুমহলকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে সেই সময়ে। এক সান্ধ্য নিমন্ত্রণে একজন জানালেন, তাঁর স্ত্রীও বার তিনেক ফেল করেছিলেন। শেষে পিটার নামে এক ট্রেনার তাঁকে ঠিকঠাক তালিম দিয়ে উতরে দেন। সিদ্ধার্থ দে-র স্মৃতিযাপন। পর্ব ৪।