লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৩ – স্কুলের রাস্তা

ক্লাস থ্রি-তে উঠে স্কুল ম্যাগাজিনে কবিতা জমা দিতে গেলাম। ভাগ্যিস সঙ্গে ক্লাসের এক বন্ধু ছিল। ক্লাসটিচার ভুরু কুচকে বললেন, তোমার নিজের লেখা? না, মা-বাবা লিখে দিয়েছেন? আমার কান লাল হয়ে উঠেছে। এমন অপমানজনক প্রশ্ন কেউ করতে পারে আমাকে? বন্ধু বলল, না দিদিমণি, ওর খাতা আছে, ও কবিতা লেখে। … শৈশবের কলকাতা ফিরে দেখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
ছাত্র-শিক্ষকের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কোনও নির্দিষ্ট দিবস-কেন্দ্রিক হতে পারে না

শিক্ষক শ্রেনীর হাল এখন ফিরেছে। কিনতু সমাজ কি আজও তাঁদের জীবনযাপনে দারিদ্রের কৌলিন্য খোঁজে?
টুকলি মত টুকলি পথ!

বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলা মালদহে (উত্তর দিনাজপুরের কিয়দংশে) এমতাবস্থা দেখা যায় প্রায় প্রতিটি বোর্ডের পরীক্ষাতেই। প্রশাসন থেকে শুরু করে বিরোধী – গেল গেল রব তোলে সকলে। ব্যবস্থাও নেওয়া হয় কিছু কিছু। কিন্তু টুকলি অপ্রতিরোধ্য। বছরের পর বছর এই একই ছবি দেখে যাচ্ছে পড়ুয়া-অভিভাবক-প্রশাসন। আগে পাঁচিল টপকে, লোকের পিঠে চড়ে টুকলি সাপ্লাই হত। এখন প্রযুক্তির রমরমা। কাজেই কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। সহজ কাজ কঠিন করতে ইন্টারনেট বন্ধ করা হল চলতি বছরে। কিন্তু শেষরক্ষা হল কই?
ক্লাস ঘুম

আজকে যদি পাখি হতুম জামার বগল হাতায় থুই, ইচ্ছে মতন যোজন পাড়ি তুই আর আমি একলা নই। নাই বা গেলাম নাক বরাবর ভাবনাঘরে চুপটি ঘুম, ঘ্যাঁয়াও ঘ্যাঁয়াও ঘ্যাঁঘাসুরের স্বপ্ন জুড়ে হুতুমথুম। স্কুল ফিরতি হিসেব নিকেশ ওগুলো তো আমার নয়! দেওয়াল জুড়ে ছায়াবাজি কিম্বা খাতা গল্প হয়। ক্লাসে বসে কান পেতে রই কখন পড়ে ঘণ্টা ওই… […]