ও শরবতে ভিষ নাই!

তবে হ্যাঁ, শরবতকে জাতে তুলে দিয়েছিলেন মগনলাল মেঘরাজ আর জটায়ু। অমন ঘনঘটাময় শরবতের সিন না থাকলে ফেলুদা খানিক ম্যাড়মেড়ে হয়ে যেত। শরবতও যে একটা দুর্দান্ত চরিত্র হয়ে উঠেছে এই সিনটিতে, তা বোধগম্য হয় একটু বড় বয়সে। শরবতের প্রতি লালমোহন বাবুর অবিশ্বাস, তাঁর ভয়, তাঁর আতঙ্ক আমাদেরও শঙ্কিত করে তোলে নির্দিষ্ট গ্লাসের শরবতের প্রতি।…

আমার বাবা নিমাই ঘোষ

ছবির ব্যাপারে উনি অতি সাবধানী ছিলেন। প্রতিটি ফিল্ম রোলই তার কাছে সন্তান সমান। যদি কোনও দিন ষ্টুডিওতে আগুন ধরে যায় বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, সেই আতঙ্কে কখনও ফিল্ম প্রসেস হওয়ার পর স্টুডিয়োতে রাখতেন না। এই প্রসেস করতে করতে আমার কত কিছু পাওনা হয়েছে বলে শেষ করা যাবে না।

দীর্ঘ ছায়ার স্রষ্টা, পাড়ি দিলেন অনন্তে

নিমাই ঘোষের সম্মানের পাশাপাশি সমালোচনাও কম নয়, অন্তত কলকাতা শহরে। সত্যজিৎ না থাকলে কি আর উনি ‘উনি’ হতে পারতেন? যেহেতু মানিক রায়ের ছত্রছায়ার সিংভাগের দখলদার, অন্যরা সেই অর্থে বঞ্চিত, হয়তো, তাই আক্ষেপ অস্বাভাবিক নয়।

জম জমাট ফেলুদা ৫০-  আয়োজনে প্রয়াস

Feluda 50 Tirthankar Das

গত ২৯শে ফেব্রুয়ারী প্রয়াস আয়োজিত ফেলুদার পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত  উপলক্ষে আমেরিকান সেন্টারে এক অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার
আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সন্দীপ রায়, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং তথ্যচিত্র পরিচালক
সাগ্নিক চ্যাটার্জী।

সত্যজিতের শঙ্কু কাহিনী – ননসেন্স আর বিজ্ঞানের আজব ককটেল

“আজগুবি চাল বেঠিক বেতাল মাতবি মাতাল রঙ্গেতে আয় রে তবে ভুলের ভবে অসম্ভবের ছন্দেতে।” লিখেছিলেন তাঁর বাবা। খেয়ালরসের এমন গভীর ধারায় যাঁর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, সেই সত্যজিৎ রায় তাঁর নিজস্ব ঘরানার অদ্ভুতুড়ে কল্পনাকে ভাষা দিলেন- ছবিতে এবং গল্পে। খাঁটি ননসেন্সে যেমন দুনিয়ার চেনা সব যুক্তি আর অবয়বকে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন সুকুমার রায়, সেই ননসেন্সের জায়গা […]