হারীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় – বিস্মৃত সময়ের পথিক

কাগজে-কলমে তাঁর নাম হরীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। অথচ মুখে মুখে ফিরত ‘হারীন চাটুজ্জে’ নামটাই। তাই সকলে ভাবত, তাঁর পুরো নাম হারীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এক বিস্মৃত প্রতিভার কথা লিখছেন পল্লবী মজুমদার।
সত্যজিতের খেরোর খাতা

সত্যজিৎ রায়ের ছবির ভাবনার পাশাপাশি হাত চলত খেরোর খাতার পাতায়। স্কেচ, স্বরলিপি, গল্পের টুকরো, আবহ, পোশাক সবকিছু ছবি এঁকে পুঙ্খানুপুঙ্খ সাজিয়ে রাখতেন। সেই খেরোর খাতা এবার ডিজিটাল দুনিয়ায়।
ওঁর ‘আমরা’ উচ্চারণে কোনও ভান ছিল না

স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। সদ্যপ্রয়াত এই অভিনেত্রী সম্পর্কে নানাজনে নানা স্মৃতিচারণ করেছেন, মূল্যায়ণ করেছেন। তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতা-নির্দেশক তথা নাট্যকর্মী বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরণ করলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর এক অনন্যতাকে।
‘এটা কি স্বগতোক্তি, না হলিউড স্টাইল?’: যুগসন্ধিতে ‘নায়ক’

থিয়েটারের অভিনয়শৈলী থেকে চলচ্চিত্রের অভিনয় যে একেবারে বিপরীত মেরুতে, সে কথা গত শতকের ষাটের দশক থেকে জনমনে উত্থিত হতে শুরু করে। সত্যজিৎ রায় ছবি করতে এসে ‘নায়ক’ ছবির মাধ্যমে এই বিতর্কে তাঁর স্পষ্ট পক্ষপাত এবং বক্তব্য ঘোষণা করে দেন। কেন? লিখছেন অংশুমান ভৌমিক।
কাবেরী নদীতে শিবসমুদ্রম জলপ্রপাত

চলচ্চিত্রজগতে তাঁর আগমন স্বল্পকালের জন্য। উপস্থিতি খুবই ক্ষণস্থায়ী। তবু আজও তিনি দর্শকমনে সজীব, সতেজ, জীবন্ত! তিনি, দু’চোখে কাবেরী নদীর জলরাশি নিয়ে আসা কাবেরী বসু। তাঁকে নিয়ে লিখলেন অংশুমান ভৌমিক।
পাহাড়চূড়ার ‘মনীষা’ আর সমতলের অলকনন্দা

ষাট বছরে পা দিল সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’। শৈলশহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো নায়িকা মনীষা ওরফে অলকনন্দা রায় আজ প্রৌঢ়ত্বে। তবু অমলিন তাঁর মনীষা হয়ে ওঠার স্মৃতি। শুনলেন অভিজিৎ সেন।
সিনেমা-পুস্তিকাতেও অনন্য সত্যজিৎ

প্রচ্ছদে অপু-দুর্গার মুখ-সহ বইয়ের ভিতরের যাবতীয় লেখা, ছবি নিজের হাতে লিখে, এঁকে, ডামি-কপি করে ফেলেছিলেন। সামান্য বেশি খরচের কারণে সেই পুস্তিকার প্রস্তাব নাকচ করে দেন প্রযোজকদের পক্ষে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। তখন সত্যজিৎ একটি ফুলস্ক্যাপ কাগজকে চার ভাঁজ করে ‘পথের পাঁচালী’র পুস্তিকাটির লে-আউট করে দেন।
রবি থেকে সত্যজিৎ: প্রবাহ-পরম্পরা (প্রবন্ধ)

তবে কি ধরে নেওয়া যেতে পারে যে সত্যজিতের মতো বহুমুখী প্রতিভাও রবীন্দ্রনাথের গানকে এমন নবীকরণ করেছিলেন সজ্ঞানেই! যদিও তিনি তাঁর অন্যান্য চলচ্চিত্রেও রবীন্দ্রনাথের অনেক গানের ব্যবহার করেছিলেন সযত্নেই। এই প্রসঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিতে অমিয়া ঠাকুরের কন্ঠে ‘এ পরবাসে রবে কে’ গানটির প্রয়োগ চলচ্চিত্র জগতে একটি মাইলস্টোন হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে।