বীরুদা, শ্রী অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যেমন দেখেছি

দীর্ঘ সময় অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিনা ভাষা ও সাহিত্যে অধ্যাপনা করেছেন অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্র। বহুদিনকার প্রবাসী বাঙালি চন্দনা সরকার খুব কাছ থেকে দেখেছেন তাঁকে। পেয়েছেন তাঁর অনাবিল স্নেহস্পর্শ। বাংলালাইভের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তাঁর অভিজ্ঞতা।
শতবর্ষের পূর্বেই আলোকবর্ষের পথে অমিতেন্দ্রনাথ

অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ঠাকুর পরিবারের সবচেয়ে বর্ষীয়ান সদস্য তথা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্র, ভারতের প্রথম চিনা ভাষা বিশারদ ও শিক্ষক ছিলেন এই মানুষটি। এ বছর ৯ অক্টোবর শতবর্ষে পা দিতেন তিনি। তার আগেই বিদায় নিলেন। তাঁকে নিয়ে লিখছেন অরিজিৎ মৈত্র।
‘যো’ লেখা টিশার্টেই প্রথম মুগ্ধতা

সম্প্রতি যোগেনবাবুকে নিয়ে তথ্যচিত্রটির কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি আমরা। ওঁর কলকাতার বাড়িতে, যেখানে ছবি আঁকার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন উনি, এবং শান্তিনিকেতনের বাড়িতে শুটিং করা হয়।…
ঝড়কে পেলেম সাথি

শান্তিনিকেতনে, বলা ভালো গোটা রাঢ়বঙ্গেই কালবৈশাখীর দাপট বাংলার অন্যান্য অংশের চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশিই। তার প্রমাণ তো গুরুদেবের অজস্র গানের ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে রয়েছে। আমি গানের মানুষ, তাই ঝড় উঠলেই মনে হয়, ‘আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার’-এর প্রতিটি মীড়েই কি ধরা নেই লাল মাটির উপর কালবৈশাখীর তাণ্ডব? কিম্বা ‘ওই যে ঝড়ের মেঘের কোলে, বৃষ্টি আসে মুক্তকেশে, আঁচলখানি দোলে’-র সুরের দুলুনিতে তো প্রায় বৃষ্টির ফোঁটা হাওয়ার টানে ছিটকে এসে পড়ে গানের খাতার ওপর! ‘হৃদয় আমার ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড়’ না গাইলে বুঝি কালবৈশাখীর বাউল বাতাসকে শরীরে অনুভব করা যায় না! ‘ওই বুঝি কালবৈশাখী’ গানে যেমন করে কালবৈশাখীর রূপের মধ্যে অরূপের বাণী তুলে আনেন কবি, সে যে জীবনের করালঝড় সামলে চলার শিক্ষা!