জীবন থেকে জীবনে: অন্তিম পর্ব

কেন যে এমন আফশোসের সুর ছিল শান্তিদা’র গলায় তার কিছুই বুঝিনি সেদিন। চমকে উঠে আন্দাজটা এল যেদিন সকালে কাগজ খুলে জানলাম শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় আর নেই। মৃত্যুর সংবাদের সঙ্গে বন্ধু সন্তোষকুমার ঘোষের মর্মস্পর্শী স্মৃতিচারণা। বাড়ি যাবার আগে স্বভাবমতন বন্ধুকে বলেও গেছেন, ‘চলি, সন্তোষ।’ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি আনন্দবাজারের যুগ্ম সম্পাদক যে এটাই বন্ধুর শেষ যাওয়া। বাড়ি গিয়ে পরিবার-পরিজনকে বুঝিয়ে বিষ খাবেন তিনি। ভরন্ত সুখের মধ্যেই চলে যাওয়া স্থির করলেন তিনি।
…লিখলেন শংকরলাল ভট্টাচার্য
জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২৪

অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে বাংলার জয়ের পর শেখ সাহেবকে মুক্তি দিল পাকিস্তান এবং তিনি লন্ডন হয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছলেন ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২-এ। পাক বন্দিশালা থেকে লন্ডন হয়ে তাঁর ঢাকা এসে পৌঁছনো একটা রোমাঞ্চকর ঘটনাক্রম। মুজিবকে পাকরা কোথায় সরাচ্ছেন, কোত্থেকে কোথায়, সত্যিই কি তাঁকে মুক্ত করা হচ্ছে, করলে কখন কীভাবে? এহেন শতেক প্রশ্নে সারাদিন সে কী উত্তেজনা!
পিতৃভূমি বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলমে। পর্ব ২8
জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২৩

গাড়ি দাঁড় করানো হল, কিন্তু আমি বাস্তবিকই চলচ্ছক্তিহীন, সিট থেকে বাইরে ফেলতে পাচ্ছি না। ওদিকে ধীরেনবাবু তরতর করে হেঁটে বেল বাজিয়ে ঢুকে গেছেন বাড়িতে। ওঁর দেখাদেখি বরুণও চলে গেছেন ভেতরে। ড্রাইভার বসে আছে স্টিয়ারিঙে। আর দলের ফটোগ্রাফার ফ্ল্যাশ দিয়ে তুলছে আমাদের বাড়ির ছবি। আমি নিশ্চুপ হয়ে বসে বাড়িটাকে শুধু দেখছি, দেখছি আর দেখছি। মনে পড়ছে নীরদচন্দ্র চৌধুরীর স্মৃতিচারণায় ওঁর হারিয়ে যাওয়া পূর্ববঙ্গের বাড়ি ও এলাকার কথা।
পিতৃভূমি বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলমে। পর্ব ২৩
জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২২

গোটলা এবার আমাকে নিয়ে ক্যাম্পের লঙ্গরখানায় গেলেন। অন্তত কুড়িজন রাঁধুনি ক্যাম্পের রান্না সারছে। মুক্তিযুদ্ধের কথা শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলমে। পর্ব ২২।
জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২১

আমার রিক্রুটমেন্টের মাসতিনেক আগে জনা চারেক আনকোরা নতুন সাব এডিটর নিয়োগ করেছিলেন অভীকবাবু। তখনকার স্টেটসম্যানের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য এক নতুন ব্রিগেড। শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলাম।
জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২০

চাকরি যখন হয়েছে তখন তিনটি করণীয় কাজ এখন। প্রথম হল আনন্দবাজার থেকে বেরিয়ে কোনও একখান থেকে ফোনে মা-কে খবরটা দেওয়া। শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলাম। পর্ব ২০।
জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ১৯

প্রুস্তের পরে পরেই আমার নতুন আবিষ্কার হল তাই সিমেনো। ‘মেইঘ্রে ইন এগজাইল’ শেষ হতে পড়া ধরলাম ‘মেইঘ্রে অ্যান্ড দ্য টয় ভিলেজ’, তারপর ‘দ্য ইয়েলো ডগ’, আর এভাবেই চলতে থাকল। লিখছেন শংকরলাল ভট্টাচার্য।
রবীন্দ্রসঙ্গীতের আমির খাঁ

চেনা স্বরই, তবু কীরকম নতুন হয়ে ফিরে আসছে। আর একটু ভারী, আরও যেন নিটোল মধুর। কত স্বল্পশ্রুত, গভীর চেতনার গান তুলে আনছেন! সুবিনয় রায়ের ১০২তম জন্মদিনে লিখছেন শংকরলাল ভট্টাচার্য।