মৃণাল সেন – সময়ের সাক্ষর (প্রবন্ধ)

‘ভুবন সোম’ কোনও বিষণ্ণ চরিত্ররেখা নয়। বরং এক পদস্থ বিদূষক। সত্যজিৎ রায় ছবিটার প্রতি অবিচার করেছেন বলেই আমার ধারণা। কোনও পল্লীবালিকার প্রভাবে কোনও মন্দ আমলার সুপথে প্রত্যাবর্তনের গল্পই নয় ‘ভুবন সোম’।
লিখলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়…
অমরাবতীর বিদূষক: চ্যাপলিন

যেন এক জ্যান্ত রূপকথা, যেমন ‘ঠাকুমার ঝুলি’ থেকে উঁকি দেওয়া সেই ব্যাঙ রাজপুত্তুর। যাকে রোজকার ঘামে আর কান্নায় একটুকরো ময়লা কাগজ মনে হয় অথচ চোখ সরালেই তিনি মহাকাব্য।
স্বপ্নের ফেরিওলা রাজ কাপুর

পরবর্তীকালে ববি, রাম তেরি গঙ্গা মইলি বা সত্যম শিবম সুন্দরম জাতীয় ছবিতে সব সময়েই নারী শরীরকে ব্যবহার করছেন তিনি। খানিকটা রজার ভাদিম যেভাবে ব্রিজিত বার্দোকে ফরাসি নব তরঙ্গের সময় ব্যবহার করেন, সেভাবেই ডিম্পল কপাডিয়া জিনাত আমনকে প্রদর্শনযোগ্য নারীত্বের মডেল হিসেবে প্রয়োগ করছিলেন রাজ কাপুর।
‘মুক্তি’ ছবির হাত ধরে রবিবাবুর গান পৌঁছল বাঙালির ঘরে ঘরে

রবীন্দ্রনাথের কথায় সুর বসালেন পঙ্কজ মল্লিক। কবি তাতে সম্মতিও দিলেন। সেই গান ব্যবহার করা হল প্রমথেশ বড়ুয়ার ‘মুক্তি’ ছবিতে।
গ্রাম-শহরের রূপকথা

বিমল রায়ের ছবিতে যখন ভূমিচ্যুত কোনও গ্রাম্য কৃষক, হাতে টানা রিকশা চালায়, তখন তা আসমুদ্র হিমাচলের আকাশে বিদ্য়ুৎবহ্নি! সামান্য একটা হাতে টানা রিকশা– যা এক কালে ভারত, চিন, দক্ষিণ এশিয়ার নানা শহরে স্থানীয় পরিবহণের অঙ্গ ছিল, তা হয়ে ওঠে গ্রাম-শহরের অন্তর্বর্তী রূপক।