‘ফায়ার অফ লাভ’ – সেলুলয়েডে পৃথিবীর হৃৎস্পন্দন শোনার গল্প

Movie review Fire of Love

শেষমেশ ১৯৯১। ৩ জুন। জাপানের গ্রে ভলক্যানো মাউন্ট উনজেন। ছবির শুরুতেই ঘটনাস্থলে আগের দিন বাকিদের সঙ্গে ক্রাফট দম্পতি। হাসতে হাসতে মরিস বলছিলেন, ‘দ্য ভলক্যানো ইজ ওয়েটিং ফর আস’। ব্যাকগ্রাউন্ডে মিরান্ডার ন্যারেশন— ‘This is Katia and this is Maurice. Tomorrow will be their last day.’ ৩ জুন বিকেল চারটেয় কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় ক্যামেরা নিয়ে উনজেনের আরেকটু কাছে আরও বিপজ্জনক জায়গায় গিয়ে শ্যুট করার চেষ্টা করলেন মরিস, কাতিয়া। আর তখনই ইরাপশন।

লিখলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য…

‘উই আর নট রিফিউজিস, উই হ্যাভ আ হোম’— উদ্বাস্তু সমস্যা ও ‘দ্য সুইমার্স’

review Netflix Movie The Swimmers

কেন শেষে এসে দুই বোনের পরিণতি স্রেফ স্ক্রল করে বেরিয়ে যাওয়া হল? অলিম্পিক পরবর্তী ইউসরা মারদিনির লড়াই, মেডিকেল ক্যাম্পে সারা মারদিনির দিনরাত এক করা শ্রম— কেন গল্পে সেসব থাকবে না? দিনের শেষে স্রেফ একটি প্রেডিক্টেবল ফিল-গুড স্পোর্টস মুভি হয়ে থেকে যাবে ‘দ্য সুইমার্স’?

লিখলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য…

‘ঘন ঘন চিঠি দিয়ো, সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো’: নরেন্দ্রনাথ মিত্রের স্ত্রীকে লেখা চিঠি

letters of Narendranath Mitra -book review

ঠিক কী পড়া যায় এই বইতে? অভিজিৎ এমনি এমনি বলেননি, এ বই বাবার আত্মজীবনী। শেষ জীবনে আত্মজীবনী লেখার ইচ্ছে অপূর্ণ থেকে গেছিল নরেন্দ্রনাথের। চিঠিগুলি কি সেই অপূর্ণ ইচ্ছেটাই ভরিয়ে দিয়েছে? তার আগে একটু প্রাকবিষয়ে ঢুকে যাই। ফরিদপুরের সদরদি গ্রামের নরেন্দ্রনাথ কলকাতায় এসেছিলেন বঙ্গবাসী কলেজে বি.এ. পড়তে। দুবার ড্রপ। পাশ করতে দেরি হয়ে গেছিল। ওদিকে পিতা মহেন্দ্রনাথের আতিশয্যে গ্রামের নরম সাদাসিধে ছেলে নরেনের বিয়ে ঠিক হল পাশের গ্রাম চোমোরদির ক্লাস এইটে পড়া চোদ্দ বছরের সঙ্গীতপ্রেমী ডাকাবুকো মেয়ে শোভনার সঙ্গে।

নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ব্যক্তিগত চিঠির সংকলন ‘ননামি’ নিয়ে কিছু কথা, লিখলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য

‘অন্দর সে চিলে নিকলকে উড় জায়েঙ্গে’: ‘অল দ্যাট ব্রিদস’, একটি আলোচনা

All That Breathes review

চিল বলতে কালো চিল, এবং তার সঙ্গে কিছু স্পটেড হকসহ অন্যান্য অনেক শিকারী পাখি, যাদের ‘নন-ভেজ বার্ড’-এর আওতায় ফেলে চিকিৎসায় সাহায্য করে না প্রথাগত বার্ড হসপিটালগুলি। অক্লান্ত পরিশ্রমে কুড়ি বছর ধরে প্রায় কুড়ি হাজার অসুস্থ চিল বাঁচানো, আঘাত সারিয়ে আবার আকাশে পাঠানো– “যা, জি লে আপনি জিন্দেগি”। চিলকে খাবার দিলে দোয়া করবে ওদের ঈশ্বর, ‘সওয়াব’ মিলবে, তারপর সেই চিল মনের সব কষ্ট খেয়ে নেবে–‘দিককত খা জায়েগা’।

রিভিউ: রাজা রবি বর্মা: দুজন পরিচালক, দুটি ছবি 

review of 2 movie

যেহেতু দুটি ছবিই একজন চিত্রশিল্পীর জীবন ও কর্মের সঙ্গে যুক্ত, তাই দুটি ছবিতেই রঙের অজস্র বাহার, দৃষ্টিসুখের ছড়াছড়ি। ক্যানভাসের পাশাপাশি জীবন জুড়েও রং, ছবির গোটা পরদাটাই রঙে ভরপুর– যেন সেলুলয়েডে তুলি (ক্যামেরা) দিয়ে ছবি আঁকা হয়েছে। রাজা রবি বর্মা ভারতীয় চিত্রকলাকে বরাবরের মতো বদলে দিয়েছিলেন…

মূল ফিল্ম রিভিউটি হিন্দি ভাষার উল্লেখযোগ্য সমালোচক ড: বিজয় শর্মার লেখা, বাংলায় অনুবাদ করেছেন অমৃতা বেরা…

আমি জগদীশ: নাট্যসূত্রে শিহরণপ্রবাহ

Bengali play on Jagadish Chandra Bose

নিপাট নিটোল প্রযোজনা। ভারী মঞ্চসজ্জা। গাছগাছালিতে বোঝাই। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের আলোকসম্পাত বড়োই ভালো হওয়ায় তেলেজলেমিশ খেয়ে যায়। এমনকি লজ্জাবতী-পতঙ্গভুকের (‘পোকাখেকো’ নামটি আশু বর্জনীয়) ভাব-পাতানোর খেলাটিও মন দিয়ে দেখি আমরা। পিনাকী দত্তর আবহ সংগীতে সেকাল-একালের সেতুবন্ধন কতক অনায়াসেই ঘটে।

বাগেশ্বরী বক্তৃতামালার শতবর্ষ: লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ

Abanindranath Tagore

নন্দনতত্ত্ব আসলে কী? সৌন্দর্যের রূপভেদ? নাকি সাদৃশ্যের অরূপকল্পনা? অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম সার্ধশতবর্ষে তাঁর শিল্পে লাবণ্যবোধ নিয়ে আলোচনা করলেন ভারতীয় দার্শনিক অরিন্দম চক্রবর্তী।

আবার ফুলেরা, আবার ভালোবাসা

Panchayat Season 2

অনায়াস আলস্যের যে নির্মেদ তীক্ষ্ণতা নির্মাতারা প্রথম সিজনে সফলভাবে এনেছিলেন, সেটা একটু ভাবলেই বোঝা যায়, কী দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাই সেটা আরও একবার হবে কিনা, তা নিয়েও বেশ সন্দিহান ছিলুম। … লিখছেন বেদব্রত ভট্টাচার্য।