রামানন্দের ‘প্রবাসী’ ও ‘প্রবাসী’র রবীন্দ্রনাথ

রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা ‘প্রবাসী’র সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে এক নিবিড় সখ্য়ে আবদ্ধ ছিলেন রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর বহু লেখার প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল এই বন্ধুতা। লিখছেন পীতম সেনগুপ্ত।
রবীন্দ্রনাথ ও জেমস. বি. পন্ড: এক অসম সম্পর্কের সমীকরণ

ফিরে যাওয়া যাক ১৯১৬ সালে। রবীন্দ্রনাথ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন বক্তৃতা দিতে। তা বক্তৃতার আয়োজন তো করতে হবে। কিন্তু কে বা কারা করবেন সেই বিপুল আয়োজন?
রবীন্দ্রনাথ ও অমিয় চক্রবর্তী: সখা ও সচিব

কবি অমিয় চক্রবর্তী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সচিব এবং তাঁর মনের খুব কাছাকাছি। তাঁর প্রতি কবির স্নেহ ভালবাসা বহুবার প্রকাশ পেয়েছে চিঠিতে, সাহিত্যে। আলোচনা করলেন পীতম সেনগুপ্ত।
কালপুরুষ আর একলা বালকের গান

কালপুরুষ। আশ্চর্য এক চরিত্র। কখনও পুরাণের কখনও জ্যোতির্বিজ্ঞানের কখনও বা শাস্ত্রের। এক এক ধর্মে, এক এক সংস্কৃতিতে তার রূপব্যাখ্যার বদল ঘটে যায়। কিন্তু আসলে কে এই কালপুরুষ? কী তার মনের কথা? লিখলেন ঋভু চৌধুরী।
নিজের রবীন্দ্রনাথ (প্রবন্ধ)

দুর্ভাগ্যবশত, ওই সময় যাঁদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল, পরে বুঝেছিলাম, তাঁরা কেউই রবীন্দ্রনাথকে ভালবাসতে পারেননি। পরবর্তীকালে কোনো কোনো মানুষকে দেখেছি, যাঁরা হয়তো ধুতি পাঞ্জাবিই পরেন, সভা সমিতিতেও হয়তো যান, কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে সত্যিকার ভালবাসেন।
তোমায় আমি দেখিনি (কবিতা)

এমন দিনে, ছল ছেড়ে দিই যত
ভালবাসার আয়াসে বিক্ষত
মেঘ যেরকম আকাশ পেলে ডাকে…
তোমার সাড়া পেয়েছি, তাই জানি
আবার আমায় বদলে দেবে গানই
হঠাৎ কোনও পঁচিশে বৈশাখে!
ঝড়কে পেলেম সাথি

শান্তিনিকেতনে, বলা ভালো গোটা রাঢ়বঙ্গেই কালবৈশাখীর দাপট বাংলার অন্যান্য অংশের চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশিই। তার প্রমাণ তো গুরুদেবের অজস্র গানের ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে রয়েছে। আমি গানের মানুষ, তাই ঝড় উঠলেই মনে হয়, ‘আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার’-এর প্রতিটি মীড়েই কি ধরা নেই লাল মাটির উপর কালবৈশাখীর তাণ্ডব? কিম্বা ‘ওই যে ঝড়ের মেঘের কোলে, বৃষ্টি আসে মুক্তকেশে, আঁচলখানি দোলে’-র সুরের দুলুনিতে তো প্রায় বৃষ্টির ফোঁটা হাওয়ার টানে ছিটকে এসে পড়ে গানের খাতার ওপর! ‘হৃদয় আমার ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড়’ না গাইলে বুঝি কালবৈশাখীর বাউল বাতাসকে শরীরে অনুভব করা যায় না! ‘ওই বুঝি কালবৈশাখী’ গানে যেমন করে কালবৈশাখীর রূপের মধ্যে অরূপের বাণী তুলে আনেন কবি, সে যে জীবনের করালঝড় সামলে চলার শিক্ষা!
বৈশাখী ঝড়ের সন্ধ্যা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এমন সময় দেখতে দেখতে উত্তর-পশ্চিমে ঘনঘোর মেঘ করে এসে সূর্যাস্তের রক্ত আভাকে বিলুপ্ত করে দিলে। মাঠের পরপারে দেখা গেল যুদ্ধক্ষেত্রের অশ্বারোহী দূতের মতো ধুলার ধ্বজা উড়িয়ে বাতাস উন্মত্তভাবে ছুটে আসছে।