ভো কাট্টা (কবিতা)

তোমার প্রসাদে মহাবিশ্বের নট-নটি নাচে তাতা থৈথৈ।
আমি তার পর ভরাপেটে আকাশ দেখি
আমার আকাশ, তোমার আকাশ, ওখানে তুমি থাকো ঠাকুর?
সেই প্রভাতে নেই আমি (প্রবন্ধ)

ছায়াছবির জগতে পঙ্কজকুমার মল্লিকের প্রবেশ ত্রিশের দশকের গোড়ায় হলেও, প্রতিষ্ঠা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল অনেকগুলি দিন। বেশ কিছু ছবিতে রাইচাঁদ বড়ালের সঙ্গে যুগ্মভাবে সঙ্গীত পরিচালনা করার পর, ১৯৩৭ সালে, ‘মুক্তি’ ছবির মধ্য দিয়েই একক সঙ্গীত পরিচালকরূপে প্রতিষ্ঠিত হন পঙ্কজকুমার, লাভ করেন অশেষ জনপ্রিয়তা।
দায়মোচন – পাঠ ধ্রুবজ্যোতি নন্দী

রবি ঠাকুরের কবিতা – দায়মোচন। পাঠ করেছেন ধ্রুবজ্যোতি নন্দী। ‘মহুয়া’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত এই কবিতা লেখা হয় ১৯২৮ সালের অগস্ট মাসে। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলের শ্রদ্ধার্ঘ্য। কবিতাপাঠ – ধ্রুবজ্যোতি নন্দী। ভিডিও সম্পাদনা ও আবহ – অরূপ দাশগুপ্ত
নিজের রবীন্দ্রনাথ (প্রবন্ধ)

দুর্ভাগ্যবশত, ওই সময় যাঁদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল, পরে বুঝেছিলাম, তাঁরা কেউই রবীন্দ্রনাথকে ভালবাসতে পারেননি। পরবর্তীকালে কোনো কোনো মানুষকে দেখেছি, যাঁরা হয়তো ধুতি পাঞ্জাবিই পরেন, সভা সমিতিতেও হয়তো যান, কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে সত্যিকার ভালবাসেন।
রবি থেকে সত্যজিৎ: প্রবাহ-পরম্পরা (প্রবন্ধ)

তবে কি ধরে নেওয়া যেতে পারে যে সত্যজিতের মতো বহুমুখী প্রতিভাও রবীন্দ্রনাথের গানকে এমন নবীকরণ করেছিলেন সজ্ঞানেই! যদিও তিনি তাঁর অন্যান্য চলচ্চিত্রেও রবীন্দ্রনাথের অনেক গানের ব্যবহার করেছিলেন সযত্নেই। এই প্রসঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিতে অমিয়া ঠাকুরের কন্ঠে ‘এ পরবাসে রবে কে’ গানটির প্রয়োগ চলচ্চিত্র জগতে একটি মাইলস্টোন হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে।
তোমায় আমি দেখিনি (কবিতা)

এমন দিনে, ছল ছেড়ে দিই যত
ভালবাসার আয়াসে বিক্ষত
মেঘ যেরকম আকাশ পেলে ডাকে…
তোমার সাড়া পেয়েছি, তাই জানি
আবার আমায় বদলে দেবে গানই
হঠাৎ কোনও পঁচিশে বৈশাখে!
ঝড়কে পেলেম সাথি

শান্তিনিকেতনে, বলা ভালো গোটা রাঢ়বঙ্গেই কালবৈশাখীর দাপট বাংলার অন্যান্য অংশের চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশিই। তার প্রমাণ তো গুরুদেবের অজস্র গানের ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে রয়েছে। আমি গানের মানুষ, তাই ঝড় উঠলেই মনে হয়, ‘আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার’-এর প্রতিটি মীড়েই কি ধরা নেই লাল মাটির উপর কালবৈশাখীর তাণ্ডব? কিম্বা ‘ওই যে ঝড়ের মেঘের কোলে, বৃষ্টি আসে মুক্তকেশে, আঁচলখানি দোলে’-র সুরের দুলুনিতে তো প্রায় বৃষ্টির ফোঁটা হাওয়ার টানে ছিটকে এসে পড়ে গানের খাতার ওপর! ‘হৃদয় আমার ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড়’ না গাইলে বুঝি কালবৈশাখীর বাউল বাতাসকে শরীরে অনুভব করা যায় না! ‘ওই বুঝি কালবৈশাখী’ গানে যেমন করে কালবৈশাখীর রূপের মধ্যে অরূপের বাণী তুলে আনেন কবি, সে যে জীবনের করালঝড় সামলে চলার শিক্ষা!
বৈশাখী ঝড়ের সন্ধ্যা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এমন সময় দেখতে দেখতে উত্তর-পশ্চিমে ঘনঘোর মেঘ করে এসে সূর্যাস্তের রক্ত আভাকে বিলুপ্ত করে দিলে। মাঠের পরপারে দেখা গেল যুদ্ধক্ষেত্রের অশ্বারোহী দূতের মতো ধুলার ধ্বজা উড়িয়ে বাতাস উন্মত্তভাবে ছুটে আসছে।