গল্প: জয়কিষণগঞ্জের গল্প (শেষ পর্ব)

Alolika Mukhopadhyay

বাবা নিজেকে ডিভোর্সড বলেছিল। তুমি এখানে আমাদের নিয়ে আলাদা থাকো। বাবা অ্যালিমনির জন্যে ডলার পাঠায়। বাবার মিথ্যে কথাগুলো মেহরীন আন্টি অনেক পরে ধরতে পেরেছিল।

গল্প: জয়কিষণগঞ্জের গল্প (পর্ব ২)

Alolika Mukhopadhyay

মেহরীনের খুব খারাপ লাগছিল। অনিল যে কথা কোনওদিন তার দেশের ফ্যামিলিকে জানতে দেয়নি, আজ মেহরীনকে তাই বলতে হচ্ছে। দেবীর অসহায় মুখ দেখে মায়া হচ্ছিল। তবু ঘটনাটা ওকে বুঝিয়ে বলতে হবে। মেহরীন আগের প্রসঙ্গে ফিরে গেল—“দেবী, তুমি বড় হয়েছ। হয়তো অনেক কিছু বুঝতে পারো। আমেরিকায় আমি তোমার বাবার লিগ্যাল ওয়াইফ। দশ বৎসর আগে আমাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হইছে। এখন তাঁর পক্ষে ইন্ডিয়াতে কাউকে ওয়াইফ হিসাবে স্পনসর করা সম্ভব নয়। তোমার মায়ের তো সেই লিগ্যাল স্টেটাস নাই।”

গল্প: জয়কিষণগঞ্জের গল্প (পর্ব ১)

Bengali immigrant community story

দেবী ওর তেরো বছরের জীবনে কখনও একসঙ্গে এত পেঁয়াজ দেখেনি। আমেরিকায় লোকে এত বেশি বেশি বাজার করে কেন? বরফে জমানো রুই মাছ, ইলিশ মাছ, কই মাছ সবই একদিনে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। টাকা থাকলেও কত খেতে পারে মানুষ? দেবী তো বিয়েবাড়িতে গিয়েও দুটোর বেশি মাছ খেতে পারে না।

এক হয়ে ওঠা নাটকের গল্প- উইংসের আড়াল থেকে

Aleek Rasta - Bengali Theatre in USA

কোভিড মহামারীর কবলে পড়ে গত বছর উৎসবের মরসুমে সম্পূর্ণ গৃহবন্দি থেকেছে সারা পৃথিবীর বাঙালি তথা ভারতীয়রা। এ বছর ভ্যাক্সিনে ভর করে তাই নাটকে মাতলেন মার্কিন প্রবাসী বাঙালিরা। লিখছেন মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায়।

নাপিত ও মনোবিদ

barbershop in London

কাচের দরজা পেরিয়ে ঢুকলেই গত পাঁচবছর ধরে আলবেনিয়া থেকে আসা জনি এক বিরাট হাসির সঙ্গে আমন্ত্রণ জানায় – “হ্যাল্লো ডক্‌তর, হাউ আর ইউ?’

ঘরে ফেরার গান

Flight Take off

বছরের এই সময়টা কলকাতা হাতছানি দিয়ে ডাকে আমাদের মতো “পরিযায়ী পাখিদের”। সেমেস্টারের পড়ানো চুকিয়ে, ফাইনাল গ্রেড জমা দিয়েই প্রায় দৌড়ে প্লেনে ওঠা নান্দীকারের নাট্যমেলা ধরার জন্যে! অ্যাকাডেমি-নন্দন চত্বরে চেনা মুখ “আরে, কবে এলে? চল একদিন বসা যাক।” … ঘরে ফেরার গানের সুরে ভাসলেন ডাঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

দু’টি কবিতা

আলো সরে গেলে
দাগ ছোপ বিবর্ণ কথার
একলা ভাসে
সুসজ্জিত জাহাজ
বড় খিদে পায়
তৃষ্ণা পায়।….

মার্কিনী রান্নাঘরে বাঙালি মশলা

নুন চিনির ব্যবহারের মাপের জায়গায় লেখা আছে -’পরিমাণ মত’। মশলার মাপের জায়গায় লেখা আছে ‘সেইমত পরিমাণ’। জলের পরিমাণ বোঝাতে লেখা আছে ‘আন্দাজমত’!