দুটি কবিতা

স্তনবৃন্তে লেগে থাকা লালা অবহেলা করি/ যেমনটা করেছে ঢেউ নিয়ে খেলা/ পৃথিবীর শেষতম জাহাজের নাবিক… দুই কবিতায় দুই পতঙ্গের দৃষ্টিতে জীবনদর্শন নন্দিনী সঞ্চারী।
কবিতা: গর্জ উইন্ড

দুটি খাড়া পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে পথ।/ফেলে আসা পাথরের উপত্যকা বেয়ে/শুকনো ঝাপটা আসছে বাতাসের,/বাতাস না বলে তাকে ল্যাসো বললে ঠিক হয়।
কবিতা: প্রেক্ষিত

রোজ রাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া শিরাগুলো/ পরদিনই জুড়ে গিয়ে
বয়ে নিয়ে চলে মোনোটনি… /অনতিক্রম্য অজুহাতে শীর্ষ ছুঁয়ে আসা হাওয়াদের… রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা।
কবিতাগুচ্ছ

সামনে জানলা-আলোমুখে/ নগ্ন, খুলে আছ/ অসম্ভব/ দীর্ঘ/ ঘন চুল/ পাখি উড়ে বসেছে যেখানে/ কোমরে জরুল… আয়নার দিকে তাকিয়ে কখনও আত্মমুখ কখনও বা প্রিয় নারীকেই দেখছেন কবি, আত্মমগ্নতায়। কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা।
কবিতা: স্মৃতিধার্য নয়

অধিকন্তু নীল/ গোপনে আমাকে ডাকে/ আর দেখে যাই শুধু/ বিষাদমিছিল… প্রেম, ভালোবাসা আর স্মৃতিচারণের আখরমালা পার্থ মজুমদারের কলমে।
কবিতা: চিল

বন্দরের কাটাকুটি বাঁশি– কোন ছায়া অধিবাস/সপাটে গিলেছে চিহ্ন – কোথায় পৌঁছল আয়নারা?–
হারীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় – বিস্মৃত সময়ের পথিক

কাগজে-কলমে তাঁর নাম হরীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। অথচ মুখে মুখে ফিরত ‘হারীন চাটুজ্জে’ নামটাই। তাই সকলে ভাবত, তাঁর পুরো নাম হারীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এক বিস্মৃত প্রতিভার কথা লিখছেন পল্লবী মজুমদার।
কবিতার মুহূর্তে

ধীর-কষ্ট গা সওয়া হলে; অচেনা-অক্ষরে বাধা চেনা-শব্দ জড়িয়ে আসে ঘুম; শরীর নিঙড়ে লেখা তার কাজ সারে, একান্তে।