দুটি কবিতা

স্তনবৃন্তে লেগে থাকা লালা অবহেলা করি/ যেমনটা করেছে ঢেউ নিয়ে খেলা/ পৃথিবীর শেষতম জাহাজের নাবিক… দুই কবিতায় দুই পতঙ্গের দৃষ্টিতে জীবনদর্শন নন্দিনী সঞ্চারী।
কবিতার মুহূর্তে

ধীর-কষ্ট গা সওয়া হলে; অচেনা-অক্ষরে বাধা চেনা-শব্দ জড়িয়ে আসে ঘুম; শরীর নিঙড়ে লেখা তার কাজ সারে, একান্তে।
কবিতা: নির্ভয়া

বাড়িতে হাঁসের বাচ্চা তোলা হ’ত। তখন সবার সে কী আনন্দ। তুরতুর করে রংবেরঙের তুলোর বলগুলো ছুটেছুটে বেড়াতো উঠোনময়।
কবিতা: গুণিনবাবা

বনবিবিরও কোনও ভরসা নেই আজকাল/তাঁর পুজো করে গিয়েও বাঘের খপ্পরে পড়েছে অনেকে -/বলছিল মন্টুদা , সুন্দরবনে ভগবানও থাকেনা
কবিতা: মনখারাপের সিরিজ

একজোড়া পায়রার মতো/বুকের ওপর বসে আছে/আমার বুক, এক ঢালু জমি… যশোধরা রায়চৌধুরীর কবিতায় মনখারাপের জমাট বাঁধা আন্ধকারের কথা।
কবিতা: অনুবাদ

জগতে শুধু উজ্জ্বল তিনদিক ঘেরা কিউবিকগুলো পড়ে আছে। পেপার ওয়েস্ট উপছে ফুটে আছে ব্যবহৃত টিস্যুর ফুল।
কবিতা: ঘূর্ণি

যদি উন্মুক্ত হও, হালকা ফাঁক থেকে ম ম বেরিয়ে আসে জান্তব রশ্মি… এক দুরন্ত ঘূর্ণির সচলতার সমকালীন আখ্যান অমৃতা ভট্টাচার্যের কলমে।
বাঘিনীর ইতিকথা

ডোরাকাটা পশমের মধ্যে অন্ধকার দ্রব হয়ে এলে,/স্পর্শে নিজস্ব ওম নিজেই লেহন করে সে।/গুরু নিতম্বের মতো তার ঘন হয়ে আছে প্রেম,/ইচ্ছেকণাগুলি।