ও দাদা, বলি আর কতক্ষণ? (রম্যরচনা)

Western Toilet

জীবন শুরু হয়েছিল ভারতীয় ব্যবস্থায় উবু হয়ে বসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার অভ্যাসে। কিন্তু জীবনের উপান্তে পৌঁছে যে বিলিতি বিনা গতি নাই! হাঁটুর জোর কমেছে, উদর স্ফীত হয়েছে… সমস্যা অনেক। তাহলে উপায়?

মিশনের নিরামিষ থেকে স্কটিশ ডাফের আমিষ

hostel life illustration by Suvomoy Mitra

ওখানে বসে চা খেতে গিয়ে চায়ের কাপের নৃত্য দেখে ভূমিকম্প হচ্ছে ভেবে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে গিয়ে জেনেছিলাম, পাশের ট্রামলাইন দিয়ে ট্রাম গেলে ওখানকার চা নাচে।

রান্নায় ফিউশন জিনিসটা অনেকটা অর্কেস্ট্রেশনের মতো (শেষ পর্ব)

অবশ্যই আমরা কনভেনশনাল। তবে নতুন প্রজন্ম এক্কেবারেই তা নয়। বিরিয়ানি খেতে হলে আমরা বাসমতী চালের বিরিয়ানির বাইরে ভাবতেই পারব না। কিন্তু একটা পঁচিশ বছরের ছেলে স্বচ্ছন্দে গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে রান্না বাংলাদেশী বিরিয়ানি খেয়ে নেবে। ভালো লাগলে আওধি বিরিয়ানি ছেড়ে বাংলাদেশী বিরিয়ানিই খাবে। এই নতুন প্রজন্ম স্মৃতির ব্যাগেজ নিয়ে ঘোরে না রেস্তোরাঁ বা খাবার বাছার সময়। উল্টে তারা মুঠো ফোনের সাহায্য নেয় রেস্তোরাঁর রেটিং জানতে, মেনু জানতে। নতুন কিসিমের খাবার দেখলে নেট খুঁজে সেই খাবারের হাল-হকিকৎ জেনে নেয়।

রান্নায় ফিউশন জিনিসটা অনেকটা অর্কেস্ট্রেশনের মতো (পর্ব ১)

ইলিশের কথাটা স্বতন্ত্র, কারণ সে সমুদ্র থেকে নদীতে এসে আত্মসমর্পণ করে। সেখানেও বাঙালি ইলিশ মাছের স্বাদকে খুন করে সেই মাছকে ভেজে, মাছের তেলের সাথে খাবে বলে।  বরং বাঙালীর কেরামতি হল মাছের রান্নায়। আলাদা আলাদা জায়গায় আলাদা আলাদা অনুপান রান্নার। চট্টগ্রামের মাছ রান্নায় শুকনো লঙ্কার ঝাল, বরিশালের মাছে শুকনো লঙ্কা আর কাঁচা লঙ্কা দু’টোই পড়ে, যশোর-খুলনাতে চুই-ঝাল দিয়ে মাছ, উত্তরবঙ্গে বাটা মশলা দিয়ে মাছ রান্না, মুর্শিদাবাদ-বীরভূম-বর্ধমানে তেঁতুল দিয়ে মাছ।

দুর্জয়বাবুর দুঃসময় (গল্প)

Illustration by Upal Sengupta

এতদিনের ‘ফোনাসঙ্গের’ অভ্যেস থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। তাছাড়া দুর্জয়বাবুর একটা নৈতিক দায়িত্বও তো আছে একাকিনী নারীদের প্রতি! তার সঙ্গে যোগ হয়েছে একটা চোরা ভয়!…