খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে…

https://www.needpix.com/photo/1584819/global-warming-pollution-environmental-pollution-cars-buildings-warming-global-environment-nature

ব্যাপারটা কী রকম বলুন তো? ধরুন, আপনার মাথায় উকুন আছে। তারা খায় দায় বাঁশি বাজায়। মাঝে মাঝে অল্পস্বল্প উপদ্রব করে। আপনি মাথা চুলকোন, শ্যাম্পু দেন, দু’পাশে দাঁড়াওলা চিরুনি চালিয়ে দু’চারটে বের করে টিপে মারেন। ওরা মরে, কিন্তু বিশেষ চৈতন্য হয় না। এবার বংশবৃদ্ধি করতে করতে এদের উপদ্রব এমন জায়গায় গেল, যে আপনি বিরক্ত হয়ে একদিন পাড়ার নাপিতকে বললেন মাথাটা কামিয়ে জঞ্জাল সাফাই করে দিতে। ফলে উকুনেরা সমূলে উৎখাত হল। মাসখানেক বাদে আপনি যখন ফের টেরি বাগাবেন, উকুনেরা তদ্দিনে ইতিহাস।

অসামাজিকতাই একমাত্র রক্ষাকবচ

Social isolation to prevent coronavirus

আপনি বাঁচলে বাপের নাম— এখন আর নয়। এখন সবাই বাঁচলে নিজের বাঁচার একটা সম্ভবনা আছে। সুতরাং বাধ্য হয়ে সবার কথা ভাবতে হবে। কেবল নিজের হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা পাকা করলেই হবে না। অন্যের জন্য হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক ডজন স্যানিটাইজ়ার কিনে ঘরে মজুত রাখলে বাঁচা যাবে না। অন্যের জন্য দোকানে স্যানিটাইজার ছাড়তে হবে। আবেগে ভেসে গিয়ে থালা বাজিয়ে মিছিল করলে হবে না। মনে রাখতে হবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জানলায় বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে থালা বাজাতে। যে ভাবে অন্যান্য দেশ নিজের মতো করে স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করছে। রাস্তায় বেরিয়ে নয়। ঘরে থেকে।

করোনা: হারানো প্রাপ্তি সংবাদ

Illustration on Coronavirus panic by Upal Sengupta

করোনাভাইরাসের দৌলতে এই শব্দটা দিব্যি শিখে গিয়েছি আমরা। ডব্লুএফএইচ। মানে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। কথা শোনও, হাত ধোও, অফিসেতে যেও না। করোনায় প্রথম করণীয় কী, আঁচ করতে পেরেই একের পর পর এক অফিসে দিন পনেরোর ছুটি হয়ে গিয়েছে দেশের বেশ কয়েকটা শহরে। নামী কোম্পানির দামি সিইও বড় মুখ করে মিডিয়ায় বলছেন, প্রেস নোট দিচ্ছেন, ‘আমরা আমাদের কর্মীদের উপরে পূর্ণ ভরসা রাখি। আমরা জানি, অফিসে বসে তাঁরা দিন রাত এক করে যে কাজ করেন, একই উদ্যমে তাঁরা কাজ করে যাবেন বাড়িতে বসেও।’