ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৯

Refugee life Camp bostir balokbela 19

এককালে ডিহি শ্রীরামপুর অঞ্চলের একশো শতাংশ বাসিন্দাই ছিল মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের৷ হরেন মুখার্জির পিতৃদেব যখন জমি কিনে বাড়ি করেন, পূর্ব কলকাতার এই এলাকাটি ছিল অনুন্নত ও দীনদরিদ্র মানুষের বসতি৷ হিন্দুরা এখানে বসবাস শুরু করে সম্ভবত দেশভাগের কিছু আগে৷ মুসলমানদের বাড়িগুলো সম্পত্তি বিনিময়ের মাধ্যমে হিন্দু-বাড়ি হতে থাকে৷ এই কারণে এখানে গির্জা ছিল, মসজিদ ছিল, কিন্তু মন্দির ছিল না৷ টিনের ঘরের মন্দির কে কবে বানিয়েছিল তা নিশ্চিত করে বলা যায় না৷ মন্দির বানানোর পেছনে জমিদখলের বুদ্ধি থাকতে পারে৷ হতেই পারে সেই বুদ্ধিধর মানুষটি ইট-বালির কারবারি গৌরাঙ্গ রায়ের আগেকার লোক…
মধুময় পালের কলমে পুরনো কলকাতার ক্যাম্পজীবনের আখ্যান

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৮

refugee life Camp Bostir balokbela-18

ভবা চৌকিদার কীভাবে জমিদার হলেন সেটা জানি না৷ বাঙালদের দেশের বাড়িতে বিঘে বিঘে জমি ছিল, বাগান ছিল, পুকুর ছিল বলে কেউ কেউ বিদ্রুপ করে৷ হয়তো তাদের কেউ তাঁকে ‘জমিদার’ বলেছে৷ তাঁর জমিদারসুলভ হাঁকডাক চলাফেরার জন্যও বলতে পারে৷ এটা শুনেছি, জমিদারকে শিবমন্দিরে জায়গা করে দেন গৌরাঙ্গ রায়৷
… মধুময় পালের কলমে পুরনো কলকাতার স্মৃতিভেজা আখ্যান

দূরবীনে চোখ রেখে দ্যাখো

সেই একটা সময় ছিল যখন শীতের বোরোলিন-হাওয়ায়, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে, লুচি তরকারি খেতে খেতে,পশ্চিমে হাওয়া বদল করতে যেত বাঙালি; গিরিডি, ঘাটশিলা, শিমুলতলা, মধুপুর, হাজারিবাগ , নেতারহাট, ডাল্টনগঞ্জ, ম্যাক্লাস্কিগঞ্জ,পালামৌ, ঘন সবুজ পাহাড়ি টিলা, ফরেস্ট বাংলো, নীল আকাশ, বন্য ফুলের উপত্যকা, পাখিদের নির্জন ঝিল, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-র ব্যাডমিন্টন কোর্ট থেকে উড়ে আসা শর্মিলা ঠাকুরের কালোফ্রেম চশমা-একটা সময় ছিল এ রকম।

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৭

Camp Bostir balokbela 17

‘রেডগার্ড’ বলার মধ্যে একটা ঘৃণা আছে৷ কমিউনিস্টদের ঘৃণা করেন৷ রাজনীতির লোকেরা এরকম করে থাকে৷ তবু, লোকটা তেমন মন্দ নয়৷ মাগনায় বিজয়া সম্মিলনে হেমন্ত, শ্যামল, সন্ধ্যা, মানবেন্দ্র, তরুণ, উৎপলা, ইলা বসু, সতীনাথের পুজোর নতুন গান, সিনেমার গান শোনার সুযোগ আর কে করে দেয় ভাই, এই গরিব তল্লাটে?

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৬

Camp Bostir balokbela 16

‘কল্লোল’-এর গান ও সুর হেমাঙ্গ বিশ্বাসের রচনা৷ শেখর চট্টোপাধ্যায় স্মৃতিচারণায় লিখেছেন, অনন্যসাধারণ গান হেমাঙ্গ বিশ্বাসের— ‘বাজে ক্ষুব্ধ ঈশান কোণে বজ্র বিষাণ’৷ মহারাষ্ট্রের পোয়াজ আর লাউনি সুরে গান তৈরি করলেন তিনি৷ অসাধারণ সুরপ্রয়োগ৷ যেন মেহনতি মানুষের প্রাণের কথাকে সুরে তুলে ধরা৷ ব্যবহৃত হয়েছিল জার্মান, রুশ ও চিনা নৌবিদ্রোহের গান৷ সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সঙ্গীত৷

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৪

India-Pak war Refugees in kolkata

পদ্মপুকুর মাঠে ফৌজি ছাউনি সার সার৷ বাইরে ফৌজি গাড়ি৷ বালকের স্কুলে যাবার বহুদিনের চেনাজানা পথে হঠাৎ হাজির অন্য একটা দেশ৷ কেমন রহস্যময়৷ সবসময় উর্দি পরে বন্দুক হাতে খটখটিয়ে হাঁটে কিছু গাট্টাগোট্টা লোক৷ তারা হাসে না৷ মনে হয় কাছে গেলে তাড়া করবে৷ কখনও দল বেঁধে গাড়িতে উঠে টহলে বেরয়৷
লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১৪।

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৩

Gobra Road

দক্ষিণে গোলামের বিশাল বস্তি৷ মসজিদের ঠিক পরেই৷ ক্রিস্টোফার রোড পর্যন্ত তার বিস্তার৷ তারপর চামড়ার হাট৷ ডানদিকে বেচুলাল রোড৷ লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১৩।

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১২

Christopher Road

ভয়-পাওয়া মানুষের বুকের ভেতরটা, মাথার ভেতরটা ভাষায় ধরা কঠিন৷ সাল ১৯৬৪৷ মাস ফেব্রুয়ারি৷ ক্য়াম্পজীবনের নানা চরিত্রের কথা লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১২।