নবারুণ ভট্টাচার্যের উপন্যাস বা আখ্যান

Feature on novelist Nabarun Bhattacharya

তাঁর লেখাতে বারবার বিভিন্ন রকমের ঝুঁকি নিয়েছেন তিনি। চোখের সামনে একদিকে যেমন নকশাল আন্দোলন দেখেছেন, অন্য দিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন। হয়ত তাই নির্মমভাবে বলতে পারেন, ‘যে পিতা তার সন্তানের লাশকে শনাক্ত করতে ভয় পায়, আমি তাকে ঘৃণা করি।’ এই বাংলায় যখন নকশাল আন্দোলন, ঐ বাংলায় তখন সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন চলছে। দুটো ক্ষেত্রেই শাসক ও শোষকের চরিত্র এক। নবারুণ তাঁর নিজের লেখাকে রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিসমের অংশ মনে করতেন।

উপন্যাস: আকাশপ্রদীপ: পর্ব ১

New Bengali Novel

অরুণাভর বাবা মারা গেছেন বছর দু’য়েক হল, তবে মা আছেন৷ অরুণাভ আর সীমন্তিনীর থেকে পাঁচ ঘণ্টার ড্রাইভিং দূরত্বে থাকেন উনি৷ সীমন্তিনী মনে মনে খুব অ্যাডমায়ার করে ওর শাশুড়িকে৷ এই বয়সেও ড্রাইভ করে চলে আসেন ওদের কাছে৷ … শুরু হল অপরাজিতা দাশগুপ্তের পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস। আজ প্রথম পর্ব।

জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমাল ফার্ম’: পর্ব ১১

George Orwell's Animal Farm

তবে একটা কথা বলতেই হবে, পশুরা যেমন দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের কাজ সামলে নিচ্ছে, তাতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও মানুষের মনে তাদের প্রতি কিছুটা সম্ভ্রম জেগেছে। জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাসের অনুবাদ করছেন অর্ক পৈতণ্ডী। আজ পর্ব ১১।

জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমাল ফার্ম’: পর্ব ১০

English novel Animal Farm

ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাস ‘অ্যানিমাল ফার্ম’ লেখা হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। একনায়কতন্ত্রী ফ্যাশিস্ত শাসনে সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা পশুদের রূপক ব্যবহার করে তুলে ধরেছিলেন অরওয়েল। আজও তা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। বাংলায় তর্জমা করলেন অর্ক পৈতণ্ডী। আজ দশম পর্ব।

নন্দিনী আসছে…: পর্ব ১

Bengali novella

বড় টেলিকম কোম্পানির সেলস এগজিকিউটিভ রঞ্জন মজুমদারকে আজ যেন একটু অসংবৃত লাগছে। একা একা অন্যমনে তাকে দেখা যাচ্ছে নাগরিক বটবৃক্ষের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে। তারপর তার দেখা হল এক অপেক্ষমান বয়স্কা নারীর সঙ্গে। চমকে উঠল রঞ্জন। পড়ুন অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ের নতুন নভেলা। আজ প্রথম পর্ব।

বইয়ের কথা: এক অনিঃশেষ দৌড়

Controversial American Novel American Dirt

ড্রাগ পাচারকারী আর ব্যবসাদারদের স্বর্গরাজ্য মেক্সিকো। তাদের হাতেই আত্মীয় পরিজন হারিয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করে বাঁচতে চাইছেন এক নারী ও তাঁর পুত্র। সঙ্গে আরও দুই অনাথ কিশোরী। রুদ্ধশ্বাসে পড়ার মতো বই ‘আমেরিকান ডার্ট’ অনেকদিন ধরেই বিতর্কের শিরোনামে। পড়লেন ডাঃ শুভায়ু বন্দ্যোপাধ্যায়।

দিনের পরে দিন: রমাপদবাবুর স্মৃতি

BENGALI NOVELIST RAMAPADA CHOWDHURY

ফাঁকা ঘর দেখে একদিন বেলাবেলি আনন্দবাজার অফিসে ফোন লাগালাম। অপারেটর ফোনে উত্তর দিলেন। বললাম, “রমাপদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে চাই।” অবিলম্বে লেখক ফোন ধরলেন। বেশ গম্ভীর গলার আওয়াজ। ততক্ষণে আমার সাহস তলানিতে এসে ঠেকেছে। নিজের বুকের ভিতরকার ধুকপুকুনির আওয়াজ নিজের কানে শুনতে পাচ্ছি। জিজ্ঞাসা করলেন আমার পরিচয় এবং ফোন করার কারণ। পরিচয়? বললাম, “আমি কলেজে পড়ি। ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী।” অর্বাচীন প্রশ্নটিও চোখকান বুজে করেই ফেললাম। উত্তরে লেখক মনে হল খুকখুক করে একটু হেসে উঠলেন। তারপরেই সস্নেহে জিজ্ঞাসা করলেন কলেজের নাম এবং কোথায় থাকি।