ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ২২

Gobra Mental Hospital

সম্ভবত ১৯৬৯ সাল৷ বি.এ. ফাইনাল দিয়েছি কোনওক্রমে৷ রাজনীতিতে জড়িয়েছি বেশ৷ চাঁদুদা বললেন, হেমাঙ্গদার বাড়ি থেকে দুপুরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে মেন্টাল হাসপাতালে৷ ঋত্বিক ঘটক আছেন ওখানে৷ একটু ভাবতে হল৷ কারণ পুলিশ নজর রাখছে৷ পুলিশের হয়ে কংগ্রেসের ছেলেরাও৷ দিনের বেলা চলাফেরা করতে হয় সাবধানে৷ তবু রাজি হয়ে গেলাম৷ দু-তিন দিন পৌঁছে দিয়েছিলাম৷ বাকি দিনগুলো অন্যেরা৷ তখনই শুনি ঋত্বিক ঘটক নাটক করছেন হাসপাতালে৷ বিকেলে সন্ধেয় গেটের কাছে দাঁড়ালে রিহার্সাল শোনা যায়৷

মধুময় পালের কলমে পুরনো কলকাতার নস্টালজিয়া.

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৮

refugee life Camp Bostir balokbela-18

ভবা চৌকিদার কীভাবে জমিদার হলেন সেটা জানি না৷ বাঙালদের দেশের বাড়িতে বিঘে বিঘে জমি ছিল, বাগান ছিল, পুকুর ছিল বলে কেউ কেউ বিদ্রুপ করে৷ হয়তো তাদের কেউ তাঁকে ‘জমিদার’ বলেছে৷ তাঁর জমিদারসুলভ হাঁকডাক চলাফেরার জন্যও বলতে পারে৷ এটা শুনেছি, জমিদারকে শিবমন্দিরে জায়গা করে দেন গৌরাঙ্গ রায়৷
… মধুময় পালের কলমে পুরনো কলকাতার স্মৃতিভেজা আখ্যান

দূরবীনে চোখ রেখে দ্যাখো

সেই একটা সময় ছিল যখন শীতের বোরোলিন-হাওয়ায়, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে, লুচি তরকারি খেতে খেতে,পশ্চিমে হাওয়া বদল করতে যেত বাঙালি; গিরিডি, ঘাটশিলা, শিমুলতলা, মধুপুর, হাজারিবাগ , নেতারহাট, ডাল্টনগঞ্জ, ম্যাক্লাস্কিগঞ্জ,পালামৌ, ঘন সবুজ পাহাড়ি টিলা, ফরেস্ট বাংলো, নীল আকাশ, বন্য ফুলের উপত্যকা, পাখিদের নির্জন ঝিল, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-র ব্যাডমিন্টন কোর্ট থেকে উড়ে আসা শর্মিলা ঠাকুরের কালোফ্রেম চশমা-একটা সময় ছিল এ রকম।

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৭

Camp Bostir balokbela 17

‘রেডগার্ড’ বলার মধ্যে একটা ঘৃণা আছে৷ কমিউনিস্টদের ঘৃণা করেন৷ রাজনীতির লোকেরা এরকম করে থাকে৷ তবু, লোকটা তেমন মন্দ নয়৷ মাগনায় বিজয়া সম্মিলনে হেমন্ত, শ্যামল, সন্ধ্যা, মানবেন্দ্র, তরুণ, উৎপলা, ইলা বসু, সতীনাথের পুজোর নতুন গান, সিনেমার গান শোনার সুযোগ আর কে করে দেয় ভাই, এই গরিব তল্লাটে?

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৬

Camp Bostir balokbela 16

‘কল্লোল’-এর গান ও সুর হেমাঙ্গ বিশ্বাসের রচনা৷ শেখর চট্টোপাধ্যায় স্মৃতিচারণায় লিখেছেন, অনন্যসাধারণ গান হেমাঙ্গ বিশ্বাসের— ‘বাজে ক্ষুব্ধ ঈশান কোণে বজ্র বিষাণ’৷ মহারাষ্ট্রের পোয়াজ আর লাউনি সুরে গান তৈরি করলেন তিনি৷ অসাধারণ সুরপ্রয়োগ৷ যেন মেহনতি মানুষের প্রাণের কথাকে সুরে তুলে ধরা৷ ব্যবহৃত হয়েছিল জার্মান, রুশ ও চিনা নৌবিদ্রোহের গান৷ সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সঙ্গীত৷

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৫

Famine on Bengal

ইতিমধ্যে বস্তির ঘর ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে শয়ে শয়ে মানুষ৷ তাদেরও দাবি, গুদাম খোলো৷ দেখব চালের বস্তা আছে কি না৷ চাল না থাকলে দরজা খুলতে ভয় কীসের? মানুষের চিৎকার ক্রমে গর্জন হয়ে ওঠে৷ খবর চলে যায় মণীশের কাছে৷ চ্যালাচামুণ্ডা নিয়ে মণীশ আসে৷ ভিড় দেখে আর ভিড়ের গর্জন শুনে কাছে আসার সাহস পায়নি৷ পুলিশ আসে৷ বিশাল ভ্যানে লোহালাগানো বুট আর বন্দুক আর লাঠির বাহিনী নিয়ে৷ জনতাকে গুদাম থেকে সরে যেতে বলে৷ জনতা পুলিশের হুকুম শুনতে নারাজ, তারা চালের গন্ধ পেয়েছে৷ ভাতের গন্ধ পেয়েছে৷

দূরবীনে চোখ রেখে দ্যাখো

সেই একটা সময় ছিল যখন শীতের বোরোলিন-হাওয়ায়, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে, লুচি তরকারি খেতে খেতে,পশ্চিমে হাওয়া বদল করতে যেত বাঙালি; গিরিডি, ঘাটশিলা, শিমুলতলা, মধুপুর, হাজারিবাগ , নেতারহাট, ডাল্টনগঞ্জ, ম্যাক্লাস্কিগঞ্জ,পালামৌ, ঘন সবুজ পাহাড়ি টিলা, ফরেস্ট বাংলো, নীল আকাশ, বন্য ফুলের উপত্যকা, পাখিদের নির্জন ঝিল, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-র ব্যাডমিন্টন কোর্ট থেকে উড়ে আসা শর্মিলা ঠাকুরের কালোফ্রেম চশমা-একটা […]