ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৮

refugee life Camp Bostir balokbela-18

ভবা চৌকিদার কীভাবে জমিদার হলেন সেটা জানি না৷ বাঙালদের দেশের বাড়িতে বিঘে বিঘে জমি ছিল, বাগান ছিল, পুকুর ছিল বলে কেউ কেউ বিদ্রুপ করে৷ হয়তো তাদের কেউ তাঁকে ‘জমিদার’ বলেছে৷ তাঁর জমিদারসুলভ হাঁকডাক চলাফেরার জন্যও বলতে পারে৷ এটা শুনেছি, জমিদারকে শিবমন্দিরে জায়গা করে দেন গৌরাঙ্গ রায়৷
… মধুময় পালের কলমে পুরনো কলকাতার স্মৃতিভেজা আখ্যান

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৭

Camp Bostir balokbela 17

‘রেডগার্ড’ বলার মধ্যে একটা ঘৃণা আছে৷ কমিউনিস্টদের ঘৃণা করেন৷ রাজনীতির লোকেরা এরকম করে থাকে৷ তবু, লোকটা তেমন মন্দ নয়৷ মাগনায় বিজয়া সম্মিলনে হেমন্ত, শ্যামল, সন্ধ্যা, মানবেন্দ্র, তরুণ, উৎপলা, ইলা বসু, সতীনাথের পুজোর নতুন গান, সিনেমার গান শোনার সুযোগ আর কে করে দেয় ভাই, এই গরিব তল্লাটে?

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৫

Famine on Bengal

ইতিমধ্যে বস্তির ঘর ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে শয়ে শয়ে মানুষ৷ তাদেরও দাবি, গুদাম খোলো৷ দেখব চালের বস্তা আছে কি না৷ চাল না থাকলে দরজা খুলতে ভয় কীসের? মানুষের চিৎকার ক্রমে গর্জন হয়ে ওঠে৷ খবর চলে যায় মণীশের কাছে৷ চ্যালাচামুণ্ডা নিয়ে মণীশ আসে৷ ভিড় দেখে আর ভিড়ের গর্জন শুনে কাছে আসার সাহস পায়নি৷ পুলিশ আসে৷ বিশাল ভ্যানে লোহালাগানো বুট আর বন্দুক আর লাঠির বাহিনী নিয়ে৷ জনতাকে গুদাম থেকে সরে যেতে বলে৷ জনতা পুলিশের হুকুম শুনতে নারাজ, তারা চালের গন্ধ পেয়েছে৷ ভাতের গন্ধ পেয়েছে৷

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৪

India-Pak war Refugees in kolkata

পদ্মপুকুর মাঠে ফৌজি ছাউনি সার সার৷ বাইরে ফৌজি গাড়ি৷ বালকের স্কুলে যাবার বহুদিনের চেনাজানা পথে হঠাৎ হাজির অন্য একটা দেশ৷ কেমন রহস্যময়৷ সবসময় উর্দি পরে বন্দুক হাতে খটখটিয়ে হাঁটে কিছু গাট্টাগোট্টা লোক৷ তারা হাসে না৷ মনে হয় কাছে গেলে তাড়া করবে৷ কখনও দল বেঁধে গাড়িতে উঠে টহলে বেরয়৷
লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১৪।

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৩

Gobra Road

দক্ষিণে গোলামের বিশাল বস্তি৷ মসজিদের ঠিক পরেই৷ ক্রিস্টোফার রোড পর্যন্ত তার বিস্তার৷ তারপর চামড়ার হাট৷ ডানদিকে বেচুলাল রোড৷ লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১৩।

দূরের জলছবি: পর্ব ১

Alolika Mukhopadhyay

রায়পুর স্টেশনে রঘুপতি রাই নামে বাবার অফিসের এক পিওন আমাদের দুই বোনকে নামিয়ে দেবে। তারপর রঘুপতির নেতৃত্বে রামধুন গাইতে গাইতে দূরপাল্লার বাসে চড়ে দণ্ডকারণ্যের জগদলপুর।

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১২

Christopher Road

ভয়-পাওয়া মানুষের বুকের ভেতরটা, মাথার ভেতরটা ভাষায় ধরা কঠিন৷ সাল ১৯৬৪৷ মাস ফেব্রুয়ারি৷ ক্য়াম্পজীবনের নানা চরিত্রের কথা লিখছেন মধুময় পাল। পর্ব ১২।

জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ১৭

Student Life Anecdotes

‘লিয়ার’-এর জন্য মনে আছে ঝাড়া তিনদিন ধরে শুধু সিলেবাস লিখিয়েছিলেন। সেই সিলেবাসের কোন বই থেকে কতটা কী পড়তে হবে তা-ও বলে গেলেন। শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলাম। পর্ব ১৭।