পদব্রজে নেপাল: পর্ব ২

নেপালের বাড়িগুলোর একটা বৈশিষ্ট্য হল প্রত্যেকটা ঘরে একটা ছোট জানলা থাকে যেটা বন্ধ করার কোনও ব্যবস্থা নেই, সে যত ঠান্ডাই পড়ুক! ঠান্ডা হাওয়ায় আমাদের দন্ত্যবাদ্য শুরু হল। যতক্ষণ সম্ভব রান্নাঘরে বসে রইলাম দুজনে। রাতে সোয়েটার চাদর কম্বল কিছুতেই আর ঠান্ডা কমে না। জুতোগুলো যাতে সকালে পরতে পারি, তারা জমে শক্ত না হয়ে যায়, তার জন্য বিছানায় কম্বলের মধ্যেই জুতোগুলো রাখা হল।
…’পদব্রজে নেপাল’ ভ্রমণ নিয়ে লিখলেন বিশাখা ঘোষ
পদব্রজে নেপাল: পর্ব ১

অন্নপূর্ণা রেঞ্জের বরফঢাকা পাহাড় অতন্দ্র প্রহরীর মতো তাকিয়ে আছে! তিনটি আট হাজার মিটার পেরোনো পর্বতচূড়া- ধৌলাগিরি, অন্নপূর্ণা আর মানাসলু- পোখারা থেকে তিরিশ পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরে। সবচেয়ে কাছের চূড়া হল মছপুচ্ছরে, মাছের ল্যাজের আকারে। নেপালিরা পবিত্র বলে মনে করে, তাই উচ্চতায় নিচু হওয়া সত্ত্বেও মছপুচ্ছরে শৃঙ্গ আরোহণ করা বারণ।
‘পদব্রজে নেপাল’ ভ্রমণ নিয়ে লিখলেন বিশাখা ঘোষ
উত্তুরে: নীরবতার সৌন্দর্য শেখায় তাসিগাঁও, উচলুম

তাসিগাঁও, আদমা, উচলুম, লেপচাখাঁ-এ যাঁরা বসবাস করেন, তাঁরা ডুকপা উপজাতি গোষ্ঠীর। নেপালি নয়, ভুটিয়াও নয়। তাসিগাঁওয়ের সঙ্গে সবদিক থেকেই নৈকট্য আছে ভূটানের। তাসিগাঁও পেরিয়ে আর একটু উঁচুতে উঠলে পাহাড় টপকে ভূটান। রাজার দেশ। ড্রাগনের দেশ। ভূটান তাসিগাঁওকে অনেক কিছু দেয়। বাজার করতে হলে ভূটান, মজুর খাটতে হলে ভূটান, এমনকি তাসিগাঁওয়ের ছেলেমেয়েরা পড়তেও যায় ভূটানে। দিগন্ত-বিস্তৃত পাহাড় আর উন্মুক্ত আকাশের তলায় কোথায় বা সীমান্ত, কোথায় বা বিধিনিষেধ।