পরিবেশ ও প্রকৃতির ওপর বিশ্বায়নের প্রভাব

কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ, বন ও আবহাওয়া পরিবর্তন মন্ত্রক ‘বন সংরক্ষণ আইন ১৯৮০’-র পরিবর্তন করে জুন, ২০২২-এ ‘বন সংরক্ষণ রুল ২০২২’ নামে একটি সংশোধনীর প্রস্তাব করে। এই প্রস্তাবে যে বিধানগুলি দেওয়া হয়েছে তার প্রায় সবকটিই অরণ্য ধ্বংসের সহায়ক হবে— যে কোনও ধরনের বনভূমিতে যেখানে বনবাসী উপজাতি বা বনবাসী বা আদিবাসীদের পরম্পরাগত অধিকার আছে, সেই অধিকার হরণ করে সরকার বনাঞ্চলকে অধিগ্রহণ করতে পারবে। যেখানে ২০০৬ সালের অরণ্যের অধিকার আইন অনুযায় কোনও বনভূমিতে অন্য কোনও উদ্দেশ্যে— যেমন খনি, কারখানা, বা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, রাস্তা ইত্যাদি তৈরির ক্ষেত্রে আদিবাসী-অরণ্যবাসীদের অনুমতি নেওয়া জরুরি। কিন্তু ‘বন সংরক্ষণ রুল ২০২২’ প্রস্তুত করে এ নিয়ম নস্যাৎ করে দেওয়া হচ্ছে। এই সংশোধনীকে আইনে পরিণত করার জন্য বন সংরক্ষণ বিল ২০২৩ সংসদে পেশ করা হয়েছে।
অন্য জীবন অন্য মনন (৭): লিন্ডা ব্ল্যাক এলক্

আপনারা অনেকেই হয়তো লিন্ডাকে চেনেন, ওর ভালো নাম লিন্ডা ব্ল্যাক এলক্ (Linda Black Elk)। গাছপালা লতাপাতার সঙ্গে ওর নিত্যদিনের যোগ। আর কী আশ্চর্য দেখুন, লিন্ডা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের এসব গাছপালা চিনতে শেখায়। লিখলেন অমৃতা ভট্টাচার্য।
অন্য জীবন, অন্য মনন (৩): শেরিং

পৃথিবীর ছাদের উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একজন মানুষ, একজন মেয়ে কেমন করে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের সাক্ষী থাকছে প্রতিদিন। বদলে যাচ্ছে বৃষ্টি, বদলে যাচ্ছে ঘাসের জোগান, কমে যাচ্ছে ভেড়ার দল, ছাগলের পাল। ওদের লোম, ওদের বর্জ্য, ওদের দুধ থেকে দই মাখন, আর যা যা কিছু মিলেমিশে আছে এই চারণ-ইতিহাসের সঙ্গে সেসব বদলে যাওয়া দেখতে কেমন লাগে শেরিং-এর? ওর মনখারাপ মিলেমিশে যায় ছবির ভাষার। মৃত ছাগশিশুদের দাফন করার ব্যথা ছড়িয়ে যায় ওর মুখে। সেসব ব্যথার পর্দা সরিয়ে ও আবার ঘাস খুঁজতে বেরোয়, জল খুঁজতে বেরোয়।
চেনা পৃথিবীর আড়ালে লুকিয়ে থাকা অন্য জীবন, অন্য মানুষের কাহিনি- লিখছেন অমৃতা ভট্টাচার্য
অরণ্যের দিন

ঝমঝমে বৃষ্টিতে আমরা হাঁটা শুরু করলাম। আমাদের যাত্রাপথে এলোমেলো ঝোপের মধ্যে ফুটে রয়েছে লিলির মতো বেগুনি ফুল। ওগুলো নাকি বুনো হলুদ গাছ। আদিবাসী রান্নার অন্যতম উপকরণ। বৃষ্টির ছাঁটে টপ টপ করে ঝরে পড়তে লাগল ছোট্ট সবুজ ফুটবলের মতো মিষ্টি এক ফল– তার নাকি বারোটা মুখ তাই নাম বারতোন্ডি।
কেন তিনি প্রকৃতিপ্রেমিক

আধুনিক যুগের চেতনা যেখানে আরও মৃত ও মুর্ছিত হয়ে মুক্তি খোঁজে পণ্যের মধ্যে, আরও তলিয়ে যেতে যেতে, সেখানে বিভূতিভূষণের প্রকৃতিচিন্তা কি কোনও পথ দেখায় সাধারণ মানুষকে, ভাসিয়ে রাখতে পারে ডুবতে না দিয়ে? প্রশ্ন তুললেন তৃণাঙ্কুর বন্দ্যোপাধ্যায়।
দাও ফিরে সে অরণ্য

ক্লোরোফিল কণা ধারণকারী রাঁধুনী সবুজ ব্যাকটেরিয়া এবং তাদের কত্তাবাবু ইউক্যারিয়ট কোষের সমন্বয়েই তৈরি হয় ভবিষ্যতের উদ্ভিদ কোষ। প্রাণী কোষ তৈরি হয়েছে এর অনেক অনেক পরে।
ঘাটের কাছে গল্প বলে নদীর জল

‘নদী নদী কোথায় যাও / বাপভায়ের বার্তা দাও’-এর মতো অজস্র ছড়া…, আশ্চর্য সব গান যেগুলোর মধ্যে নদীর ভিন্নভিন্ন এলাকার বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট।
আকাশে মুক্তি মাটিতে পা

প্রকৃতির সম্পদে মানুষের চিরকালের যে অধিকার, তাতে হাত পড়লে তার স্বাধীনতা খর্ব করা হয়। সেই পরাধীনতার থেকে মুক্তি কোথায়? নিজের গ্রাম, সমাজ, সংস্কৃতির থেকে উপড়ে ফেলা, উচ্ছেদ হওয়া মানুষের মুক্তি?