মৃণালদা’র সাক্ষাৎকারটা অ্যারেঞ্জ করতে পেরে বেশ তৃপ্তি বোধ করেছিলাম

এত রকমের গল্প মৃণালদার মুখে শুনতে শুনতে একদিন ভাবলাম, লোকটার তো বয়স বেড়ে যাচ্ছে। এইসব গল্প তো কোথাও ধরে রাখতে হবে। ঠিক হল দূরদর্শনের তরফে ওঁর একটা সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। ভাবা তো হল, কিন্তু কাজটা খুব সহজ ছিল না। একদিকে সরকারি নিয়মের জাঁতাকল, অন্যদিকে মৃণালদার মর্জি।
Mrinal Sen: Centenary Tribute

Sen’s heroines, especially in his later films are everyday workers who could well be typists and saleswomen who came out in droves after partition, gradually replacing the fast dwindling Anglo-Indian secretaries.
অচেনা মৃণাল সেন

তাঁর ছবিজীবনের শুরু থেকে ১৯৬৯ সালে ‘ভুবন সোম’-এর আগে অবধি এমন এক মৃণাল সেনকে আমরা দেখি, যিনি মূলধারার ছবির জগতে মিশে গেছেন বারেবারেই। তা সে পরিচালক বা শুধুমাত্র চিত্রনাট্যকার― যাই হোন না কেন। তখনকার একরাশ জনপ্রিয় ডাকসাইটে অভিনেতা অভিনেত্রীরা অভিনয় করছেন ঐসব ছবিতে। বিখ্যাত সব গীতিকার, সুরকারেরা কাজ করছেন। সবচেয়ে বড় কথা, নিজেকে এক ব্যতিক্রমী চিন্তাধারার অবস্থানে রেখেও এইসব ছবিতে স্বতস্ফূর্ত বাঙালিমনের প্রকাশ ঘটেছে মৃণাল সেনের। যা অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য বলে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়। একইসঙ্গে বলতে হবে, তাঁর এইসব ছবির প্রত্যেকটির ক্ষেত্রেই সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েনের বার্তা আছে গল্প বলার ধাঁচে। কোনওটাই কিন্তু বক্তব্যশূন্য নয়।
চেনা মৃণাল সেনের আড়ালে অন্য আরেক মৃণাল সেন, ফিরে দেখলেন অভীক চট্টোপাধ্যায়…
ভিডিও: শতবর্ষে মৃণাল সেন

মৃণাল সেনের জন্ম ১৪ মে ১৯২৩। জন্মেছিলন অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুরে। পাঁচ দশকের কর্মজীবনে ২৭টি পূর্ণাঙ্গ ছবি, বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র এবং শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছেন। কলকাতা শহর তাঁর একাধিক ছবিতে একটা চরিত্র হয়ে ধরা দিয়েছে। শতবর্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে বাংলালাইভের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
ভিডিও: জীবনস্মৃতি আর্কাইভ মৃণাল মঞ্জুষা

উত্তরপাড়ার জীবনস্মৃতি আর্কাইভের মৃণাল মঞ্জুষা সংগ্রহে রয়েছে মৃণাল সেনের ব্যবহৃত বেশ কিছু বই, তাঁর হাতে লেখা স্ক্রিপ্ট এবং অসংখ্য ছবি। দুর্মূল্য এই সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছেন অরিন্দম সাহা সর্দার। মৃণাল সেন শতবর্ষে বাংলালাইভের বিশেষ প্রতিবেদন।
Mrinal Sen: The Man Who Never Stopped Questioning

Sen sometimes came across as a passionate documentary film maker especially with his use of real-life footage of violence, and montages of newspaper cuttings to convey the problems of the city.
প্রতিদিনের ইতিহাস ও মৃণাল সেনের ছবি

যখনই কোনও ছবি দর্শকের মনে যথেষ্ট প্রশ্ন জাগাতে পারেনি, মৃণাল সেন নিজের ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন। ‘আকালের সন্ধানে’ ছবিতে যে গ্রামের মানুষদের নিয়ে ছবি করলেন, তাদেরকেই যখন পরবর্তীকালে ছবিটা দেখান, তখন মনে এই আশা ছিল যে ছবি দেখে গ্রাম্য কুসংস্কার, দলাদলি, গোঁড়ামি— এসব সম্বন্ধে হয়তো তারা সচেতন হয়ে উঠবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। তিনি দেখলেন প্রশ্ন করা তো দূরস্ত, গ্রামের মানুষ সিনেমার পর্দায় নিজেদের দেখে বরং উচ্ছ্বসিত! এই বিচিত্র অভিজ্ঞতার জন্যই হয়তো জার্মান চলচ্চিত্রকার রাইনহার্ড হফের কাছে তিনি কবুল করেন— সমাজের যে বর্গের মানুষকে নিয়ে উনি ছবিটি করেছেন, তাদেরকে ‘শুধরে দেওয়ার’ কোনও এলেমই ওঁর নেই।
মৃণাল সেনের সিনেমার ভাষ্য আর তার কালচেতনা— লিখলেন অভিষেক রায় বর্মণ…