প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৫

অস্ট্রেলিয়ায় স্বেচ্ছায় অভিবাসী হয়ে আসার শুরুর দিনগুলোতে থেকে থেকে মনে একটা প্রশ্ন জাগত– উদ্বাস্তুদের সঙ্গে আমার মতো স্বল্প পুঁজি আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ছাড়া মানুষদের খুব একটা পার্থক্য আছে কি? ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বেশ কয়েক বছর ধরে অনেক রকম লড়াই করতে হয়েছে পায়ের তলায় মাটি পেতে।
নিজের বিদেশবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে…
জীবন থেকে জীবনে: অন্তিম পর্ব

কেন যে এমন আফশোসের সুর ছিল শান্তিদা’র গলায় তার কিছুই বুঝিনি সেদিন। চমকে উঠে আন্দাজটা এল যেদিন সকালে কাগজ খুলে জানলাম শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় আর নেই। মৃত্যুর সংবাদের সঙ্গে বন্ধু সন্তোষকুমার ঘোষের মর্মস্পর্শী স্মৃতিচারণা। বাড়ি যাবার আগে স্বভাবমতন বন্ধুকে বলেও গেছেন, ‘চলি, সন্তোষ।’ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি আনন্দবাজারের যুগ্ম সম্পাদক যে এটাই বন্ধুর শেষ যাওয়া। বাড়ি গিয়ে পরিবার-পরিজনকে বুঝিয়ে বিষ খাবেন তিনি। ভরন্ত সুখের মধ্যেই চলে যাওয়া স্থির করলেন তিনি।
…লিখলেন শংকরলাল ভট্টাচার্য
ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৮

ভবা চৌকিদার কীভাবে জমিদার হলেন সেটা জানি না৷ বাঙালদের দেশের বাড়িতে বিঘে বিঘে জমি ছিল, বাগান ছিল, পুকুর ছিল বলে কেউ কেউ বিদ্রুপ করে৷ হয়তো তাদের কেউ তাঁকে ‘জমিদার’ বলেছে৷ তাঁর জমিদারসুলভ হাঁকডাক চলাফেরার জন্যও বলতে পারে৷ এটা শুনেছি, জমিদারকে শিবমন্দিরে জায়গা করে দেন গৌরাঙ্গ রায়৷
… মধুময় পালের কলমে পুরনো কলকাতার স্মৃতিভেজা আখ্যান
জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২৩

গাড়ি দাঁড় করানো হল, কিন্তু আমি বাস্তবিকই চলচ্ছক্তিহীন, সিট থেকে বাইরে ফেলতে পাচ্ছি না। ওদিকে ধীরেনবাবু তরতর করে হেঁটে বেল বাজিয়ে ঢুকে গেছেন বাড়িতে। ওঁর দেখাদেখি বরুণও চলে গেছেন ভেতরে। ড্রাইভার বসে আছে স্টিয়ারিঙে। আর দলের ফটোগ্রাফার ফ্ল্যাশ দিয়ে তুলছে আমাদের বাড়ির ছবি। আমি নিশ্চুপ হয়ে বসে বাড়িটাকে শুধু দেখছি, দেখছি আর দেখছি। মনে পড়ছে নীরদচন্দ্র চৌধুরীর স্মৃতিচারণায় ওঁর হারিয়ে যাওয়া পূর্ববঙ্গের বাড়ি ও এলাকার কথা।
পিতৃভূমি বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলমে। পর্ব ২৩
জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ১৩

১৯৬১ সনে মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সে ফানঁ মারা গেলেন। সার্ত্রের ভূমিকা যেমন তাঁর পড়া হয়নি, তিনি দেখে যেতে পারেননি মার্টিন লুথার কিংয়ের নেতৃত্বে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের অভিযান। … ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলমে। পর্ব বারো।
লিখতে লিখতে অথৈ দূর: শেষ পর্ব – পৃথিবীর শেষ স্টেশন

যে মারাঠী যুবক যুগ্ম ভাবে পুরস্কারের প্রস্তাবনা করেছিল, তার বিচার সম্পূর্ণ কবিতা নির্ভর ছিলনা, এই রকমই আমার সন্দেহ। কবিতা টা অবশ্য মন্দ হয়নি। পরে আমার প্রথম কবিতার বই চন্দন গাছ এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। জানলাম ছেলেটি আই আই টি বম্বে থেকে ফিজিক্স এ এম এস সি ও পরিবেশ বিজ্ঞানে এম টেক করছিল। বাড়ি, মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলায়। বড় হয়েছে বিহারের দ্বারভাঙ্গায়।পিএচ ডির কাজ অসমাপ্ত রেখে আই এ এস ইন্টার ভিউতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এসেছে। অনিতা অগ্নিহোত্রীর কলাম। আজ শেষ পর্ব।
চা বাগিচার কড়চা: পর্ব ১১- চা-বাগানের মহিলা শ্রমিকেরা

চা বাগানের কাজের মাঝে খাবারের পুঁটুলি খুলছে নারী শ্রমিকেরা। খাবারের পুঁটুলির সঙ্গে হয়তো শিশুটিকেও বুকে বেঁধে এনেছে। চা বাগানের মহিলা শ্রমিকদের অবস্থার কথা লিখলেন অপূর্ব দাশগুপ্ত।
লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২৬- তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল

এমন একটি মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া ছিল ঝাঁটার কাঠি হাতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে নামার মতন দুঃসাহসিক। সেই কাজের প্রস্তুতিপর্বের কাহিনি আজ, অনিতা অগ্নিহোত্রীর কলমে।