মিথোজীব

আপাতত সমস্যা একটাই। হারমোনিয়ম গলায় ঝুলিয়ে ঘোরার জন্য বেশ কয়েকদিন হল অতুলের ঘাড়ে একটা ব্যথা হচ্ছে। ভারী হারমোনিয়মটা বয়ে বেড়ানো দিন দিন অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
সামান্থা আর সিদ্ধেশ

তৃষ্ণা বসাক লিখছেন – এই ব্যালকনি থেকে আগে দেখা যেত পুরোটা, এই নিমগাছটা তখন কিশোর ছিল। এখন আর দেখা যায় না।
পা (ছোটগল্প)

বিখ্যাত কবির স্ত্রী অদিতি এখন একা। প্রয়াত হয়েছেন কবি। একাকিনী স্ত্রীর দিন কাটে স্মৃতি আঁকড়ে। শুধু নিজের পা-দু’টিকে নিয়েই বড় উদ্বিগ্ন, বড় ব্য়তিব্যস্ত হয়ে থাকেন তিনি। কেন? কাবেরী রায়চৌধুরীর ছোটগল্প…
ছায়াপথ পেরিয়ে (ছোটগল্প)

আসলে সিদ্ধান্তটা আমাদের দু’জনের। আমরা দু’জনেই তো ঠিক করেছিলাম। ভালবেসেছি, তাই ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখব দু’জনে মিলে। সবাই যা করে, সেই বিয়ে বাচ্চা সংসার বাচ্চাকে ডাক্তার বানানো… না, এসব আমরা করব না। তাহলে সেই শেষ পর্যন্ত দু’টো কথাই থাকবে— অ্যাডজাস্টমেন্ট আর কম্প্রোমাইস… ভালোবাসা থাকবে না। খোলা ছাদে পাশাপাশি শুয়ে দু’জনে একসঙ্গে সন্ধেতারা ফুটে উঠতে দেখব না তখন।
পশমিনা (গল্প)

কিংশুক আর শ্রেয়ার বিয়েতে অনুঘটকের কাজ করেছিল কাশ্মীর থেকে আনা পশমিনা শাল। তাদের ডিভোর্সের পর চুরি গেল সেই শালও। তারপর? পড়ুন বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প পশমিনা।…
যত দূরেই যাই (শেষ পর্ব) (বড়গল্প)

দ্যুতিদীপা অসংখ্য মানুষের মুখ দেখতে থাকে। লিফ্টম্যানের তিতিবিরক্ত মুখ, চড়া লিপস্টিক পরা রিসেপশনিস্টের ভাবলেশহীন মুখ, এবং অগণিত নিকটজনেদের উদ্বিগ্ন, সন্ত্রস্ত মুখ। অসুখ, অর্থব্যয়, বিচ্ছেদের ভারে ক্লিষ্ট মানুষেরা অধীর অপেক্ষায় বসে থাকে এইখানে, এই লাউঞ্জে।…
যত দূরেই যাই (প্রথম পর্ব) (বড়গল্প)

বিশ্বের যাবতীয় মুগ্ধতার ঘোর নিমেষে ভেঙে দিতেই বোধ হয় মোবাইল ফোনের জন্ম হয়েছিল। বিতনুর ফোনে গায়ত্রীর ফোন আসে। ডাক্তারখানা থেকে নিরাপদে ফ্ল্যাটে ফেরার পৌঁছসংবাদ। চকিতে সেলফোন হাতে নিয়ে বারান্দায় বেরিয়ে যায় দ্যুতিদীপা।…
গোলকিপার (পর্ব ২৩)

সুজাত একটু ভেবে বললেন, “আজ শিম-পোস্তটা কোরও। বলছিলে না, কুর্চি ভালোবাসে? তার সঙ্গে মটর ডাল আর ঢেঁড়স ভাজা। তারক একটু পরে গলদা চিংড়ি দিয়ে যাবে। চিংড়ি কিন্তু সবাই নাও খেতে পারে। আর একটা মাছ লাগবে। বসন্ত দেখ, বাজারে যদি পাবদা পাও আজ। তাহলে পাবদার তেল-ঝাল। পাবদা না-পেলে একটা ফোন করে জানিও ট্যাংরা, ভেটকি কোনটা পাওয়া যাচ্ছে। মৌরলা পেলেও নিয়ে নিও, তাহলে ঢেঁড়সের বদলে মৌরলা ভাজা। বারো জন খাচ্ছি আমরা, সেই বুঝে মাছ নেবে। পাবে তো?”