কারুকথা: মহানিষ্ক্রমণ

স্বভাব কবি বলে ঘরে বাইরে তো আর এমনি এমনি নামডাক হয়নি, সমঝদারো কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হ্যায়। প্রতিবছর দপ্তরের সাংস্কৃতিক সম্মেলনের স্যুভেনিরে তাঁর ছড়া প্রথম পাতায় ছাপা হবেই হবে। এখন সৃষ্টিসুখের উল্লাসে ঘামতে ঘামতেও বেশ টের পাচ্ছিলেন, ছড়াটা টাটকা টাটকা কাউকে শোনাতে না পারলে আত্মার খিদে মিটবে না।
সার্কাস, ট্রেটর ও দ্রোহকাল: পর্ব ৮

তার মানে কিন্তু এই নয় যে প্রতিজ্ঞা ছিল না। আমরা দেখেছি চোয়ালচাপা লড়াই। হারতে হারতেও শেষবারের মত ঘুরে ইয়াহু বলে চিৎকারের বাসনা। অসামান্য সব লিটল ম্যাগাজিন গত দুই দশক ধরে বেঁচে থেকে ও মরে গিয়ে আমাদের পুষ্ট করেছে। দাহপত্র, অনুবর্তন, মাঝি, তীব্র কুঠার, ছাতিমতলা, জিরাফ, অহিরা, সুন্দরবন সংস্কৃতি-পত্র, লোক, নীললোহিত, মল্লার, পর্বান্তর, উবুদশ, একলব্য, দশমিকের মত কাগজ যে আমাদের ভাষায় বেরিয়েছে, এটুকুই গর্বিত হবার জন্য যথেষ্ট।
…শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের কলাম
কারুকথা: নয়নমণি, বৃষ্টি ও সেই মায়া নৌকা

ছোটবেলায় মধুরা পাখি দেখেছেন নয়নমণি। আজকাল মধুরা পাখির কেউ নামই জানে না। দেখা তো দূরের কথা। সব ধরে ধরে খেয়ে ফেলল মানুষ। খেয়ে ফেলল এদিকের সব বইরুই সজারু। খরগোস কচ্ছপ, সবকিছু। সব বৃষ্টিটা ঝুপঝুপ করে পড়ছে তো পড়ছেই। ডুবে আছে পুরো শহর। নয়নমণি কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
পাঠজন্ম (গল্প)

উদ্ভাসিত মিলির শরীর পাশের বাড়ির দোতলা থেকে ছিটকে আসা ম্লান বাল্বের হলদেটে আলোয় নরম মোমের পুতুলের মত গলে যাচ্ছিল, দেখতে দেখতে চোখ বুজে ফেলল ইন্দ্র। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আপন মনে হাসল, যখন মিলি প্যাকেট থেকে ম্যাগগুলো বার করে করে দেখছে, আলগা ভালোলাগা ঝুলছে গালের তরুণী ভাঁজ থেকে। ইন্দ্র তাকে পাশ কাটিয়ে কুয়োতলায় গেল হাত পা ধুতে।
ঘাড় ধরে কিনিয়ে নিল যেসব লিটল ম্যাগাজিন

কলকাতা বইমেলায় প্রতি বছরই কিছু লিটল ম্যাগাজিন বইমেলা সংখ্যা নিয়ে হাজির হয়। তারই কয়েকটার লেখা আঁকা প্রচ্ছদ পরিবেশনা নিয়ে লিখলেন সুস্নাত চৌধুরী।