স্টিভি ওয়ান্ডার কলকাতায় আসবেন না

stevie wonder

বছরের শেষ দিনের এলানো রোদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মনে হয়, বছর এক জেদি, তার-কেটে যাওয়া প্রেমিকা, যে একবার গেলে আর ফিরে আসে না কখনও। পার্ক স্ট্রিটের ঝলমলে রাস্তায়, ভিড়ে দাঁড়িয়ে দেখতে পাই, বহুদূরে স্কাইলাইন পেরিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে চলে যাচ্ছে ভুবন সোমের ছায়া…

সেকুলার কেক আর যিশুদিনের গপ্পো

Bow Barracks

মাঝেমাঝে অবাক হয়ে ভাবি এই এক অদ্ভুত জিনিস — কেক। আক্ষরিক অর্থেই যাকে বলে — সেকুলার। ডেভিড নাহুম, মিসেস সালদানহা, স্টিফেন ফার্নান্ডেজ, আলি ভাই, রোশন সিং নেগি, চঞ্চল বড়ুয়া, শিউলাল জয়সওয়াল, হিন্দু, মুসলিম, ক্রিশ্চান, বৌদ্ধ, শিখ, ইহুদি, বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরিজি, গুরুমুখী… সব যেখানে মিলেমিশে একাকার, আমার এই বেজায় ভালবাসা আর অহংকারের শহর কলকাতায়! লিখছেন সুপ্রিয় চৌধুরী।

লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৩ – স্কুলের রাস্তা

memories of Calcutta University

ক্লাস থ্রি-তে উঠে স্কুল ম্যাগাজিনে কবিতা জমা দিতে গেলাম। ভাগ্যিস সঙ্গে ক্লাসের এক বন্ধু ছিল। ক্লাসটিচার ভুরু কুচকে বললেন, তোমার নিজের লেখা? না, মা-বাবা লিখে দিয়েছেন? আমার কান লাল হয়ে উঠেছে। এমন অপমানজনক প্রশ্ন কেউ করতে পারে আমাকে? বন্ধু বলল, না দিদিমণি, ওর খাতা আছে, ও কবিতা লেখে। … শৈশবের কলকাতা ফিরে দেখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।

লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২ – প্রকৃতির পাঠশালায়

memories of Calcutta University

কবিতার খাতাটা এমনভাবে বুকের কাছে ধরা থাকত যে, বড় ছোট যে কেউ জানতে চাইবে, ওটা কী? তখন আমি বিজ্ঞের মতো বলব, জানো আমি কবিতা লিখি এতে। আর এটাও বলতে ভুলব না যে বড় হয়ে আমি লেখক হব।… শৈশবেই চোখে লেগে গিয়েছিল ভবিষ্যতের নেশা। কলমে অনিতা অগ্নিহোত্রী।

লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১ – সম্পাদকের পোস্টকার্ড

memories of Calcutta University

দক্ষিণ কলকাতায় নানা বাসা বদল করতে করতে, কর্নফিল্ড রোড, চন্দ্রমণ্ডল লেন, অনিল রায় রোড ঘুরে বাবা-মা যখন হাজরা রোডের তিনতলার বাসায় এসে পৌঁছলেন, তখন কি জানি, এই বাড়িই হবে আমাদের আগামী দু’দশকের ঠিকানা? — লিখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।

‌তুমি আসবে বলে তাই

Gariahat market during pandemic Sirsho Bandyopadhyay

যত লাখ টাকারই ব্যবসা হোক, গরিব হকার বোধহয় শেষ পর্যন্ত গরিবই থেকে যান। ওঁদের হয়তো একটাই সান্ত্বনা, যে ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে দোকান গুঁড়িয়ে গেলে, বা মাঝরাতের আগুনে সব পুড়ে খাক হয়ে গেলেও, তার আর্থিক ক্ষতির ধাক্কাটা ওঁদের সামলাতে হয় না। কিন্তু ব্যবসা যদি না হয়, বাজার যদি না জমে, তার দায় তো নিশ্চিত ওঁদেরই।

গড়িয়াহাট – এক অলীক মানচিত্র

Gariahat market courtesy railyatri.in

মেয়েদের ঢেউ খেলানো চুল সামনে থেকে সরে গেলে, ফাঁকা দোকানে একটু নজর বোলাতে পারলে দেখা যাবে ঝুমকো কিংবা পাথর বসানো, রূপোলি, সোনালী, কপারিশ, অক্সিডাইসড সমস্ত রকমের দুল। দেখা যাবে উঠতি স্টাইলের কাপড়ের বিডসের গয়না সঙ্গে প্যাঁচা বা দুর্গার মুখ আঁকা পেন্ডেন্ট।