চর্ব্যচূষ্যলেহ্যপেয়: পর্ব ৪- রান্নার ক্ষমতা

কেরির সংলাপ-সংকলনে যা মেয়েদের মুখের ভাষার নমুনা, ঈশ্বর গুপ্তের পদ্যে তা স্মরণযোগ্য সরস পদ। সেখানে এসেছে মেয়েদের রান্নাঘরের কথাবার্তার প্রসঙ্গ– ছবির মতো বিবরণ।… বিশ্বজিৎ রায়ের কলাম। পর্ব ৪।
মণিদীপার টিফিনবাক্স

করোনাতঙ্কে বাচ্চারা সব ঘরবন্দি। ইশকুল ঢুকেছে ল্যাপটপ আর মোবাইলে। সে নাহয় তবুও মানা গেল। কিন্তু ইশকুলের টিফিন ভাগ করে খাওয়ার মজাটা? সে কি চিরতরে মুছে যেতে বসল বাঙালির খাদ্যজগত থেকে? নিজের ইশকুলজীবনের স্মৃতিতে মেদুর হলেন গোপা দত্ত ভৌমিক।
নীহারিকা পিসিমার রসবতী

আগেকার দিনের ঠাকুমা পিসিমা জেঠিমাদের মতো নীহারিকা পিসিমাও ছিলেন রান্নাঘর-কেন্দ্রিক এক নারীচরিত্র। কিন্তু আচমকা ছোট মেয়েটি জেনে ফেলল তাঁর জীবনের এক গোপন অধ্যায়। তারপর? লিখছেন গোপা দত্ত ভৌমিক।
ফেলাছড়ার রান্না আর চারুবালা দাসী

রিষড়ার পিসিমা ছিলেন নিষ্ঠাবতী বিধবা। বৈধব্যজীবনের সব নিয়ম পালন করেও তিনি রাঁধতে পারতেন অপূর্ব সব নিরিমিষ রান্না। স্মৃতির স্বাদকাহন গোপা দত্ত চৌধুরীর কলমে।
আইঢাই: ঝাড়া ঝুড়ি

ঝাড়াঝুড়ির এই যে পর্ব, এর শুরু হত ভাদ্র মাসে – শাল বেনারসি গালচে, সব রোদ খাওয়ানো দিয়ে। তারপর চলত সাফাই অভিযান। সেই অভিযানের ঘাঁতঘোঁত ঘুরে দেখলেন মন্দার মুখোপাধ্যায়।
আইঢাই: বাপের বাড়ি

গিন্নি যাবেন বাপের বাড়ি, সঙ্গে যাবে কে? ছেলেমেয়েরা তো বটেই, তার সঙ্গে ভাইপো ভাইঝি ভাগ্না ভাগ্নির দল ভিড় করে। কর্তার মুখে মেধ জমে। নতুন বৌমার ঘোমটার আড়ালে এক ফালি হাসি ফুটে উঠেই মিলিয়ে যায়! বাঙালিনীর বাপের বাড়ির বেত্তান্ত ব্যাখ্যানে মন্দার মুখোপাধ্যায়।
আইঢাই: সর-পর

‘সম’ বোধটা সংসারে প্রায় থাকেই না। তাই গিন্নিদের হাতের মোক্ষম অস্ত্র ছিল সর-পর। অর্থাৎ কিনা ভালোবাসা কিংবা টাকাপয়সা অনুযায়ী এক অদৃশ্য অলিখিত পক্ষপাত। তাই নিয়েই মন্দার মুখোপাধ্যায়ের এ বারের হেঁশেলিয়ানা!…
আই ঢাই: আরও যা যা হতো

রান্না ছাড়াও আরও কত কী যে এই রান্নাঘরে হতো তা বলতেই না দিন কাবার হয়ে যায়! সকালের ঝোঁকে রান্নার ঝকর ঝকর কিছুটা সামলে গেলে, মানে কর্তাদের আপিস, ছোটদের ইস্কুল কলেজ আর বাকিদের জল খাবার পর্ব শেষ হলেই কাজে কিছুটা ঢিলে পড়তো।