চাকরি-করা মা

চাকরি-করা মা বা ওয়র্কিং মাদার একটি পরিচিত শব্দ। কিন্তু ওয়র্কিং ফাদার নয়, কারণ বাবারা ওয়র্কিং হবেন, সেটাই স্বাভাবিক। আর কতদিন ‘অ-স্বাভাবিক’ হয়ে থাকবে মায়েদের চাকরি করা? আর কটি নারী দিবস পার করতে হবে আমাদের এ কথা সহজভাবে মানতে? প্রশ্ন তুললেন সিলভা সরকার।
রাত কত হল!

মার্চ মাসের আট তারিখেই সারা বিশ্বে পালিত হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। কিন্তু আজও কেন নারী দিবস পালন করে নারীর সমানাধিকারের কথা মনে করাতে হবে আমাদের? প্রশ্ন তুলছেন নীলার্ণব চক্রবর্তী।
মেয়েরা বুঝি আজীবন ভোগের জোগানদার?

প্রতি বছর বচ্ছরকার এই দিনটায় এ প্রশ্নটা বুড়বুড়ি কাটে মনে। কবে মেয়েরা ভোগের ঊর্ধ্বে উঠে যোগে যোগ দেবে? কবে অভিনেতা, পরিচালক, যাত্রী, পুরোহিত, পাইলট, গাড়ির চালকের আগে ‘মহিলা’ শব্দটি আর বসবে না? সমস্ত সংস্কার ভেঙে মুক্ত জীবনের প্রতীক্ষার অবসান কবে হবে ‘শবরী’দের? আরও আছে। ঋতুস্রাব নিয়ে অকারণ ট্যাবু ভাঙার প্রতীক্ষা। ছেলের বদলে একটা মেয়ে হোক– এই কামনা নিয়ে মায়ের সন্তান কামনার প্রতীক্ষা। কনে যে পণের মতোই পণ্য নয়, সেই অনুভূতির প্রতীক্ষা। মাঝরাতেও কবে মেয়েরা নির্ভয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটবে, তার প্রতীক্ষা। এরকম বহু প্রতীক্ষা বছরভর নানা অনুষ্ঠানে, ঘরে-বাইরে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রতীক্ষার অবসান হয় কই?
ভানুমতী (কবিতা)

নারীদিবসে চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা।