মহাসিন্ধুর ওপার থেকে: শেষ পর্ব

কৃষ্ণচন্দ্র দে। বাংলা রাগসঙ্গীত এবং রাগাশ্রয়ী গানের জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। এক কিংবদন্তী। শৈশবেই দৃষ্টিহারা হওয়ায় ‘কানাকেষ্ট’ নামে সারা ভারতে পরিচিতি অর্জন করেন। তাঁকে নিয়ে লিখছেন শৌণক গুপ্ত। আজ শেষ পর্ব।
মহাসিন্ধুর ওপার থেকে: প্রথম পর্ব

কৃষ্ণচন্দ্র দে। বাংলা রাগসঙ্গীত এবং রাগাশ্রয়ী গানের জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। এক কিংবদন্তী। শৈশবেই দৃষ্টিহারা হওয়ায় ‘কানাকেষ্ট’ নামে সারা ভারতে পরিচিতি অর্জন করেন। তাঁকে নিয়ে লিখছেন শৌণক গুপ্ত। আজ প্রথম পর্ব।
এই সংখ্যার আলাপচারিতা: বিদূষী শিশিরকণা ধর চৌধুরীকে নিয়ে: পর্ব ১

সম্প্রতি গত মাসে প্রয়াত হয়েছেন ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের এক নীরব সাধিকা বিদূষী শিশিরকণা ধর চৌধুরী। ভারতীয় ধ্রুপদী যন্ত্রসঙ্গীতের দুনিয়ায় এ এক নক্ষত্রপতন। তাঁর স্মৃতিচারণ করলেন তাঁর অনুজ ও ছাত্রছাত্রীরা। সংকলনে টিম বাংলালাইভ।
“ভাবতাম আপনি গানটান পছন্দ করেন না”

এক ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ। এক অবিস্মরণীয় সাঙ্গীতিক আবহ। দুই জগতের দুই মহারথী। মহাত্মা গান্ধী সমীপে সঙ্গীতাচার্য দিলীপকুমার রায়। লিখছেন প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত।
যে গ্রামের আকাশে বাতাসে ভাসে রাগ-রাগিণী

পাঞ্জাবের প্রত্যন্ত এক গ্রাম। সেখানে শিশু জন্মালেই তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় তারই পছন্দের বাদ্যযন্ত্র। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে নিয়ম করে চলে হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা, তালিম। নামধারী শিখ সম্প্রদায়ের বসবাস এই গ্রামে। সেখানকার আশ্চর্য কাহিনি শোনালেন প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত।
বিশ্বজন মোহিছে

রবিশঙ্কর আজীবন ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের প্রতি থেকেছেন শ্রদ্ধাশীল। আর বারে বারে পাশ্চাত্যের উপযোগী করে তাকে পরিবেশন করেছেন। আবার জাপানি সঙ্গীতের সঙ্গে তাকে মিলিয়েও, দুই দেশের বাদ্যযন্ত্রের সম্মিলিত ব্যবহার করে নিরীক্ষা করেছেন। সারাক্ষণ, সব শুচিবায়ু ভেঙে, তিনি মেলানোর, মেশানোর, চেষ্টার, কৌতূহলের রাজ্যের বাসিন্দা হতে চেয়েছেন। এই প্রাণশক্তি আর প্রতিভার মিশ্রণেই, তিনি বিদেশের কাছে ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের মুখ। আর ভারতের কাছে, পাশ্চাত্যের জৌলুসযুক্ত তারকা।
মীড় দিলে নিষ্ঠুর করে…

রবিশঙ্কর তাঁর গুরু আচার্য আলাউদ্দিন খানের তালিম মাফিক শুরু করলেন বিলম্বিত তিনতালে গৎ বাজানো। এবং আজীবন কর্ণাটকী সঙ্গীত পদ্ধতিতে বিশ্বাসী থাকার দরুণ তিনি সেই গতে লয়ের মারপ্যাঁচ, অঙ্কের হিসেব, তেহাই ইত্যাদি নিয়ে এলেন। এতে তাঁর বাজনায় আমরা পেলাম সুরের সঙ্গে তাল-লয়ের অসামান্য সামঞ্জস্য।
রাগরেখা ধরে যতদূর

‘…ভৈরোঁ যেন ভোরবেলার আকাশেরই প্রথম জাগরণ; পরজ যেন অবসন্ন রাত্রিশেষের নিদ্রাবিহ্বলতা, কানাড়া যেন ঘনান্ধকারে অভিসারিকা নিশিথিনীর পথবিস্মৃতি, ভৈরবী যেন সঙ্গিবিহীন অসীমের চিরবিরহবেদনা, মূলতান যেন রৌদ্রতপ্ত দিনান্তের ক্লান্তিনিশ্বাস, পূরবী যেন শূন্যগৃহচারিণী বিধবা সন্ধ্যার অশ্রুমোচন।….’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সঙ্গীতের মুক্তি, সবুজ পত্র, ভাদ্র ১৩২৪ ১ আমি তো মায়ের কুলাঙ্গার ছেলে। ‘মা’ বলতে কড়ি মা বুঝি। বেশ একটু বড় […]