একানড়ে: পর্ব ১৬

কিন্তু টুনু সেসব দেখছিল না। শুধু মনে হল, এত বড় একটা জিনিস তার চোখ এড়িয়ে গেল কী করে!
একানড়ে পর্ব: ১৪

অজগরের মতো পা জড়িয়ে ধরছে লতাপাতা, খচমচ করে ছুঁচো বা কিছু একটা পালিয়ে গেল অন্ধকারে, কিন্তু থামলে চলবে না। একটার পর একটা কক্ষ পেরিয়ে উঠে চলল ওপরের দিকে, যেখানে ছাদ।
একানড়ে: পর্ব ১৩

একটা বড় নিমগাছের ছায়া ভেঙে ছড়িয়ে আছে সমগ্র স্থাপত্যের ওপর, হাওয়াতে সরে সরে যাচ্ছে বারেবারে। তিরতির করে কাঁপছে বেতবন, আর আওয়াজ হচ্ছে সি সি।
একানড়ে: পর্ব ১১

ছোট থেকে ওই ভয়টা পুষতে পুষতে বড় হয়ে উঠেছি। ভয় লাগে যে এক্ষুনি কেউ আমাকে ঠেলে ফেলে দেবে ছাদ থেকে, বা পুকুরের তলায় টেনে নিয়ে যাবে।
একানড়ে: পর্ব ১০

আর কেউ নেই বাগানে। এই লোকটা অচেনা হলেও তার খোঁজ নিতে এসেছে, মনখারাপগুলো ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের মতো সরে যাচ্ছিল, ‘আমি তো ভাল হয়ে গেছি।’
একানড়ে: পর্ব ৯

ঝিমঝিম রাত্রে যখন দিদা-দাদু পাশের ঘরে গভীর ঘুমে, দাদু ঘুমের ওষুধ খায় সে জানে, চট করে জাগবে না, আর পরপর তার ঘরে রাত কাটিয়ে দিদাও ক্লান্ত, নিঃসাড় তন্দ্রায় আচ্ছন্ন এখন, টুনু পা টিপে টিপে উঠল।
একানড়ে : পর্ব ৮

মাথা তুলেছে বুনোকুল বাদাম কাপাস মহানিমের দল, যাদের নামও সে জানে না কিন্তু অদ্ভুতভাবে স্বপ্নে চিনে নিতে কোনও অসুবিধেই হচ্ছিল না, নিঝুম রাতে সেই বেতের জঙ্গল হাওয়ায় দুলছে, বাঁশবনে শিরশির শব্দ হচ্ছে, আর দীর্ঘ গাছের ছায়াগুলি মাঝে মাঝে হাওয়ায় সরে সরে গেলে দেখা দিচ্ছে একটা ভাঙা গম্বুজ।
একানড়ে : পর্ব ৭

সকলেই যেন থম মেরে আছে। কেউ কথা বলছিল না। সবার পেছনে বাপ্পা, তার বুকের ধুকপুকুনি অন্যেরা শুনতে পাবে এই ভয়ে কিছুটা দূরত্ব রেখে হাঁটছিল। বকের ডাকটা অবিকল তার দাদার গলার মতো। এভাবেই কি চিৎকার করেছিল, যখন চাকাটা দাদার মাথার ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল?