জেলে বসে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লেখা নেতাজির চিঠি

সময়ে সময়ে আমি মনে না করে পারি না যে, দেশবন্ধুর অকাল-মৃত্যু ও দেহত্যাগের জন্য তাঁর দেশবাসীরা ও তাঁর অনুচরবর্গও কতকটা দায়ী। তাঁরা যদি তাঁর কাজের বোঝা কতকটা লাঘব করতেন, তা’হলে বোধ হয় তাঁকে এতটা পরিশ্রম করে আয়ু শেষ করতে হত না। কিন্তু আমাদের এমনই অভ্যাস যে, যাকে একবার নেতৃপদে বরণ করি, তাঁর উপর এত ভার চাপাই ও তাঁর কাছ থেকে এত বেশী দাবী করি যে কোনও মানুষের পক্ষে এত ভার বহন বা এত আশা পূরণ করা সম্ভব নয়। রাজনীতি-সংক্রান্ত সব রকম দারিত্বের বকলমা নেতার হাতে তুলে দিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকতে চাই।
ক্যালকাটা ফ্যান: এক অক্লান্ত সংগ্রামীর স্বপ্ন

১৯১৯ সালের গোড়ার দিকে ভারতের তৈরি ক্লাইড কোম্পানির প্রথম ইলেকট্রিক ফ্যান দেখা যায় কলকাতার লিন্ডসে স্ট্রিটের শো-রুমে, এবং এই ফ্যানের বাজার-চাহিদা এত বাড়ে যে, বিদেশে তৈরি ফ্যানের বাজার অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এদিকে স্বভাবতই চাহিদা বাড়লে জোগানও বাড়াতে হবে। আর জোগান বাড়াতে দরকার উৎপাদনের বৃদ্ধি। তার জন্য কলকাতার বকুলবাগান অঞ্চলে একটি ট্রেনিং স্কুল খোলেন ক্ষীরোদবিহারী। সেখানে আর্মেচারে তার জড়ানোর কাজে মেয়েদের নিযুক্ত করা হয়।
দ্বিশতবর্ষে রাজা রাজেন্দ্রলাল

ভারত নিয়ে কাজ করেছেন যেসব ইয়োরোপীয় মনীষীরা, তাঁদের নিয়ে বাঙালির গর্বের সীমা নেই। অথচ পস্টেরিটি স্বীকার করে না রাজেন্দ্রলালের মতো মনীষার ঋণ। তাঁর পূর্ণাঙ্গ জীবনী লেখার কাজটি করতে এগিয়ে আসেননি কেউই। দ্বিশত জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে লিখছেন পল্লবী মজুমদার।
যাঁকে কড়ি দিয়ে কেনা যায় না

বিমল মিত্র। একডাকে যাঁকে চেনে তামাম বাঙালি পাঠক। বাংলার বাইরেও তাঁর জনপ্রিয়তা অটুট। কালজয়ী উপন্যাসের লেখক বিমল মিত্রের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে লিখলেন উৎপল চক্রবর্তী।
সরস্বতী একটি নদীর নাম

তাহলে সরস্বতীর কি হলো ? তার অস্তিত্ব আছে ত্রিবেণী সঙ্গমে, যেখানে গঙ্গা, যমুনা (এটি আঞ্চলিক নদী ) ও সরস্বতী ‘মুক্তবেণী’ হয়ে ছুটে চলেছে সমুদ্রের দিকে। এলাহাবাদের প্রয়াগে আমরা দেখতে পাই ‘যুক্তবেণী’, অর্থাৎ যেখানে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী মেশে। ত্রিবেণীতে এর ঠিক উল্টো, এখানে তিনটি নদী জট ছাড়িয়ে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব গ্রহণ করে।
হুগলি নদীর বাঁকে মিনি ইউরোপ (প্রবন্ধ)

এ শহরের ইতিহাস অনেক পুরনো। ফিরিঙ্গিদের আগমনের অনেক আগেই এখানে গড়ে উঠেছিল এক সমৃদ্ধ জনপদ -শ্রীরামপুর। ১৭৫৫ খ্রি নবাব আলীবর্দী খান ফরমান জারি করে ডেনিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে অনুমতি দিলেন বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের। ষাট বিঘা জমির উপর ডেনমার্কের উপনিবেশ স্থাপিত হল, নাম হল ‘ফ্রেডরিক্সনগর’, তাদের রাজা পঞ্চম ফ্রেডেরিকের সম্মানার্থে।