আম নিয়ে আমোদ

মালদা, মুর্শিদাবাদ জুড়ে আমের এই বৈচিত্র্যময়তার পিছনে বাংলার নবাবকুলের অবদান সুপ্রচুর। আমের নামের সঙ্গেও মিশে আছে নবাবি আমলের ইতিহাস আর চমকপ্রদ কাহিনি। আশরাফ আলির বাগানে ফলেছে এক আম। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। নবাব নাজিম ফেরাদুন জাঁ, যার বাবা হুমায়ুন জাঁ-এর হাতে তৈরি হয়েছিল মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি, তখন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার তক্তে। এই আমের আমেজ নবাবের কাছে পৌঁছনো দরকার। আশরাফ পৌঁছয় দরবারে… আর তারপর?
বিশ্ব আম দিবসে আম নিয়ে কিছু অজানা মজাদার কাহিনি, লিখলেন সপ্তর্ষি রায় বর্ধন
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ২০

দেশটিতে পা রাখার ক’দিনের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলেন জোসেফ ব্যাংকস-এর অনেক তথ্যই ভুল ছিল। ১৭৭০ সালে হয়তো ভালো বৃষ্টির জন্য অঞ্চলটি গাছপালায় ভরা ছিল। ১৭৮৮-এ সম্পূর্ণ অন্য চিত্র। বেশ কয়েকবছরের অনাবৃষ্টির ফলে মাটি রুক্ষ, চাষবাসের অযোগ্য।
প্রথম কয়েক বছর জীবন একেবারেই সহজ ছিল না। নানা সমস্যায় জর্জরিত নবীন উপনিবেশটিকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য ফিলিপকে বহু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সময়ে সময়ে রীতিমত নিষ্ঠুরও হতে হয়েছে।
কেমন ছিল দুশো বছর আগের অস্ট্রেলিয়া, কেমন তার ইতিহাস? কলম ধরলেন সিদ্ধার্থ দে…
শেক্সপিয়র নাটকে অভিনয়ের জন্য সংগীতশিল্পী দান করলেন নিজের মাথার খুলি

মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ ইচ্ছে ছিল ‘দ্য মার্চেন্ট অফ ভেনিস’-এর অপেরাটি যেন একদিন মঞ্চের আলো পায়। প্রাণের নাটককারের মধ্যে দিয়ে তিনি ভাবতেন তাঁর কথাগুলো সুর হয়ে মানুষের শিরায় উপশিরায় পৌঁছে যাবে। এরপর তিনি একটি উইল তৈরি করেন যেখানে তিনি মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য দেহ-দান করবেন, আর মাথার খুলিটা দান করবেন রয়্যাল শেক্সপিয়র কোম্পানিকে।
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৯

১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারী ক্যাপ্টেন আর্থার ফিলিপ এগারোটি জাহাজ নিয়ে সিডনির বন্দরে এসে নোঙর বেঁধেছিলেন। সাথে ছিল সাতশো কয়েদি এবং চারশ সামরিক ও অন্যান্য অফিসার। এই নৌবহরটিকে আজও বলা হয় First Fleet বা প্রথম নৌবহর।
কেমন ছিল দুশো বছর আগের অস্ট্রেলিয়া, কেমন তার ইতিহাস? কলম ধরলেন সিদ্ধার্থ দে…
এলোমেলো বেড়ানো: ১৬

ডাইনে-বামে যেদিকে নজর যায় সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে অর্ধ-গোলাকার মৃত্তিকা স্তুপ। অনেকটা বৌদ্ধ স্তুপের আকারে নির্মিত ঘাসাচ্ছাদিত মাটির স্থাপত্য। প্রতিটি সমাধি-স্তুপের অর্থাৎ মৈদামের অভ্যন্তরে রয়েছে একেকজন রাজার সমাধি।
এলোমেলো বেড়ানো: ৯

বৃত্তাকার প্রাঙ্গণের পরিধি ধরে গড়ে তোলা ঢালাও বারান্দায় একের পর এক সাজানো রয়েছে চৌষট্টিটি ছোটো ছোটো কক্ষ। প্রতিটি কক্ষে রয়েছে এক একটি পাথরের মূর্তি। মূর্তিগুলির ভগ্নদশা দেখে এখন বোঝা যায় না যে, এগুলো আদতে কার মূর্তি। তবে লোকে বলে যে, এগুলি যোগিনী মূর্তি। পাথরের তৈরি স্তম্ভ ধরে রেখেছে কক্ষ এবং অলিন্দের ছাদ। অলিন্দের অন্য পাশে রয়েছে মন্দিরের চবুতরা। আর বৃত্তাকার প্রাঙ্গণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি স্বতন্ত্র বৃত্তাকার ছোটো মন্দির।
এই আশ্চর্য স্থাপত্যের মন্দিরটিই আজ দর্শনার্থীদের কাছে ‘সংসদ মন্দির’ নামে পরিচিত। কেন? লিখলেন অমিতাভ রায়
জেলে বসে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লেখা নেতাজির চিঠি

সময়ে সময়ে আমি মনে না করে পারি না যে, দেশবন্ধুর অকাল-মৃত্যু ও দেহত্যাগের জন্য তাঁর দেশবাসীরা ও তাঁর অনুচরবর্গও কতকটা দায়ী। তাঁরা যদি তাঁর কাজের বোঝা কতকটা লাঘব করতেন, তা’হলে বোধ হয় তাঁকে এতটা পরিশ্রম করে আয়ু শেষ করতে হত না। কিন্তু আমাদের এমনই অভ্যাস যে, যাকে একবার নেতৃপদে বরণ করি, তাঁর উপর এত ভার চাপাই ও তাঁর কাছ থেকে এত বেশী দাবী করি যে কোনও মানুষের পক্ষে এত ভার বহন বা এত আশা পূরণ করা সম্ভব নয়। রাজনীতি-সংক্রান্ত সব রকম দারিত্বের বকলমা নেতার হাতে তুলে দিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকতে চাই।
আঁধার ঘেঁটে কৈলাসে

কৈলাসচন্দ্র ছিলেন ভারত-বিখ্যাত চিকিৎসক, জন্ম ১৮৫০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ১৯২৭-এর ১৯ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু। তাঁকে নাইট উপাধি দিয়েছিল ইংরেজ সরকার। লক্ষ্মী ও সরস্বতী দুইয়ের বরপুত্র ছিলেন স্যর কৈলাস। এই বাড়ির সামনের অংশ হেরিটেজ, বিপরীতের অংশটি মামলা-মকদ্দমা জর্জর, নানা গাছ সে বাড়ির গায়ে গজানো, জড়ানো।