ছাড় বেদয়া পত্র: পর্ব ১০

সে অভিশপ্ত, সংসার আর তার জন্য নয়। তার মায়ের অতীত কালিমা প্রকাশ্যে এসে গেছে। আর সে সংসারে ঠাঁই পাবে না।
ছাড় বেদয়া পত্র: পর্ব ৮

মালিহাটির বিতর্কসভায় আজ ব্রজদেব উপস্থিত। তর্কে উদ্যত হর্ষরথও। হেনকালে এক বৈষ্ণবীর বিদ্যুৎকণ্ঠের যুক্তিজাল সকলকে রূদ্ধবাক করে দেয়। তারপর কী হয়? সেবন্তী ঘোষের পৌরাণিক উপন্যাসের আজ অষ্টম পর্ব।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৩)

বিজয়ার পাল্কি ঘিরে ধরে লুটতে গিয়েছিল বোদের দল। ছিপ নৌকোতে বোদের দলকে ঘিরে ফেলে মারতে মারতে তাকে আধমরা করে ফেলল বিশে ডাকাত। তারপর বিজয়াকে নিয়ে গেল অর্জুন সিংহের গড়ে।…
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১২)

গলুইয়ের ভেতর টিমটিমে আলোয় বসে রয়েছে বিজয়াবালা। গলায় ফিনফিনে একটা মটরমালা। কানে দুল আর দুগাছি চুড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই অঙ্গে। মাথার ঘোমটা ঈষৎ সরে গিয়ে গলুইয়ের আলো এসে পড়ছে ফরসা অপরূপ সুন্দর মুখখানায়। গভীর আয়ত একজোড়া চোখ। এই মুহূর্তে অজানা এক দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগের ছাপ সেই চোখে।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১)

রাত আর ঠাণ্ডা দু’টোই বাড়ছে জঙ্গলে। হাতের চিমটে দিয়ে যজ্ঞকুণ্ডের আগুনটাকে ফের একবার খুঁচিয়ে দিলেন জঙ্গলগিরি। করোটিপাত্র থেকে একচুমুক কারণ পান করলেন। চৌরঙ্গা আলখাল্লাটাকে টেনে নিলেন বুকের কাছে। এই চার রঙের আলখাল্লার জন্যই ভক্তদের অনেকে চৌরঙ্গিবাবা নামেও ডাকে ওঁকে। আর সেই থেকেই এই জঙ্গলের নাম হয়েছে নাকি চৌরঙ্গির জঙ্গল। অবিশ্বাসীরা ফুট কাটে ফের। চৌরঙ্গা কম্বল না ছাই। আসলে জঙ্গলের মাঝখানে মেঠো চৌরাস্তার একটা মোড় রয়েছে। সেই থেকেই চৌরঙ্গি। ভক্তদের মুখে এসব শুনে হাসেন জঙ্গলগিরি।