শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২১)

illustration by Chiranjit Samanta

পরদিন মাঝরাতে আটঘড়ার জমিদার বাড়ি ঘিরে ফেলল এক-দেড়শো জনের বিশাল ডাকাতদল। সদর দরজায় বসে ঝিমোতে থাকা কোম্পানির দুই তেলেগু সেপাই, কাঁধ থেকে বন্দুক নামানোর আগেই গুলি খেয়ে লটকে পড়ল মাটিতে। প্রাসাদের মধ্যে থাকা বিশ তিরিশজন পাইক লেঠেল বাহিনী ঝড়ের মুখে খড়কুটোর মত উড়ে গেল বিশ্বনাথের দলের সামনে।

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২০)

illustration by Chiranjit Samanta

গতরাতে আটঘড়া গ্রামে এক জমিদার বাড়িতে জনাপঞ্চাশ মিলে ডাকাতি করতে গিয়েছিল ওরা। তার আগে বিশ্বনাথের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ওখানকার বাবুদের হুমকির চিঠিও পাঠিয়েছিল। পাল্টা চিঠিতে জবাব এসছিল। একটি লাল পয়সাও দেওয়া হবেনা। যা পারো করে নাও।

হীরা মালিনী (শেষ পর্ব)

প্রথমবার খাঁটি এদেশীয় যাত্রার আসর দেখে ভারী আমোদ পেয়েছিলেন উইলিয়ম, পরে বাবু রাধামোহন সরকারের সঙ্গে তাঁর সখ্যও গড়ে ওঠে, যাতায়াত নিয়মিত হয়। সেই বৎসরই পৌষ মাসের শেষে রাধামোহনের বসতবাড়িতে বিদ্যাসুন্দর পালায় হীরা মালিনীর বেশে গোপালকে প্রথম দেখেছিলেন উইলিয়াম হারউড। পালার শেষে গোপালের গান আর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে তার সঙ্গে আলাপও করেছিলেন সাহেব। তারপর কেটে গেছে […]

হীরা মালিনী (পর্ব ২)

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকরি নিয়ে উইলিয়ম হারউড কলকাতা পৌঁছলেন। প্রেয়সী ডোনাকে রেখে এসেছেন দেশে।

হীরা মালিনী (পর্ব ১)

রাধামোহন সরকারের বিদ্যাসুন্দর যাত্রাদলের পালার জন্য সুরেলা কন্ঠস্বর চাই। কোথা থেকে পাবেন যোগ্য অভিনেতা? ও কি? কে যেন মিষ্টি সুরে রাস্তায় কলা ফিরি করছে?

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৩)

illustration by Chiranjit Samanta

বিজয়ার পাল্কি ঘিরে ধরে লুটতে গিয়েছিল বোদের দল। ছিপ নৌকোতে বোদের দলকে ঘিরে ফেলে মারতে মারতে তাকে আধমরা করে ফেলল বিশে ডাকাত। তারপর বিজয়াকে নিয়ে গেল অর্জুন সিংহের গড়ে।…

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১২)

illustration by Chiranjit Samanta

গলুইয়ের ভেতর টিমটিমে আলোয় বসে রয়েছে বিজয়াবালা। গলায় ফিনফিনে একটা মটরমালা। কানে দুল আর দুগাছি চুড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই অঙ্গে। মাথার ঘোমটা ঈষৎ সরে গিয়ে গলুইয়ের আলো এসে পড়ছে ফরসা অপরূপ সুন্দর মুখখানায়। গভীর আয়ত একজোড়া চোখ। এই মুহূর্তে অজানা এক দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগের ছাপ সেই চোখে।

উত্তরাধিকার (গল্প)

Arka Paitandi illustration অর্ক পৈতণ্ডী

“সাহেব, গুড প্রন, ভেরি চিপ। একটু পাঠিয়ে দিই?” কাঠে করাত ঘষার মত গলায় নাসিমের প্রশ্নটা শুনে অ্যালেক্সের চিন্তাজাল ছিঁড়ে গেল। কতক্ষণ এখানে এসেছে সে, কে জানে? বাইরে আবার পিটপিট করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দু চারটে ল্যাণ্ডো বা হ্যাকনির শব্দও শোনা যাচ্ছে। নাকের সামনে ভনভন করে চলা মাছিদুটোকে হাত নাড়িয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করতেই, কে জানে কী বুঝে নাসিম চলে গেল।