মামলেট ভাজা ডিমওলা আর সেই মেয়েটি

গত শতাব্দীর সত্তরের দশক পর্যন্ত উত্তর কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে সন্ধ্যে থেকে ল্যাম্পপোস্টের নীচে ওমলেট গরম গরম ভেজে দেবার জন্য ডিমওলারা সরঞ্জাম গুছিয়ে বসত। মামলেট ভাজার জন্য। লিখছেন গোপা দত্ত ভৌমিক।
যমুনাদি-রাধাদি ও আলুপটলের ২৩ দিন

বড়মার হেঁসেলে ছিল যমুনাদি আর রাধাদির মৌরসিপাট্টা। তাঁরাই সামলাতেন উনুন আর সকলের খাওয়াদাওয়ার পাট। বড়মা বৈধব্যযাপন করে রোজকার রান্নাবাড়ার দিকে খুব একটা মন দিতেন না। কিন্তু একদিন তাল কাটল… লিখছেন গোপা দত্ত ভৌমিক।
বাণীমাসিমার পৌষপার্বণ

মকরসংক্রান্তির দিন পিঠে খাওয়ার রেওয়াজ বাঙালি বাড়ির এক বিশিষ্ট খাদ্যাভাস। সদ্য ওঠা নতুন গুড় দিয়ে নানা রকম পিঠে আর পায়েসের সুঘ্রাণ শীতের শুরুতে মাতিয়ে তোলে বাঙালিকে। তেমনই এক পৌষ পার্বণের গল্প গোপা দত্ত ভৌমিকের কলমে।
বামুনবাড়ির পুজোর ভোগ

সেকালে লক্ষ্মীপুজোয় সব বাড়িতে অন্নভোগ দেবার চল ছিল না। সে খালি বামুনবাড়িতেই হত। আর সেই পেসাদ পেতে পাড়ার কুঁচোকাঁচারা জড়ো হত পাড়ার ব্রাহ্মণ বাড়িটির উঠোনে। স্মৃতিচারণে গোপা দত্ত ভৌমিক।
পটনার শীতসন্ধ্যে ও আন্টিজির রসুই

বাঙালি খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত ছোট্ট মেয়েটি এক অনন্য়তার স্বাদ পেয়েছিল তার বিহারি আন্টিজির রসুইঘরে। এতবছর পরেও সেই গরম রুটির সুঘ্রাণ এতটুকু আবছা হয়নি। লিখছেন গোপা দত্ত ভৌমিক।
মণিদীপার টিফিনবাক্স

করোনাতঙ্কে বাচ্চারা সব ঘরবন্দি। ইশকুল ঢুকেছে ল্যাপটপ আর মোবাইলে। সে নাহয় তবুও মানা গেল। কিন্তু ইশকুলের টিফিন ভাগ করে খাওয়ার মজাটা? সে কি চিরতরে মুছে যেতে বসল বাঙালির খাদ্যজগত থেকে? নিজের ইশকুলজীবনের স্মৃতিতে মেদুর হলেন গোপা দত্ত ভৌমিক।
নীহারিকা পিসিমার রসবতী

আগেকার দিনের ঠাকুমা পিসিমা জেঠিমাদের মতো নীহারিকা পিসিমাও ছিলেন রান্নাঘর-কেন্দ্রিক এক নারীচরিত্র। কিন্তু আচমকা ছোট মেয়েটি জেনে ফেলল তাঁর জীবনের এক গোপন অধ্যায়। তারপর? লিখছেন গোপা দত্ত ভৌমিক।
ফেলাছড়ার রান্না আর চারুবালা দাসী

রিষড়ার পিসিমা ছিলেন নিষ্ঠাবতী বিধবা। বৈধব্যজীবনের সব নিয়ম পালন করেও তিনি রাঁধতে পারতেন অপূর্ব সব নিরিমিষ রান্না। স্মৃতির স্বাদকাহন গোপা দত্ত চৌধুরীর কলমে।