শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১)

illustration by Chiranjit Samanta

রাত আর ঠাণ্ডা দু’টোই বাড়ছে জঙ্গলে। হাতের চিমটে দিয়ে যজ্ঞকুণ্ডের আগুনটাকে ফের একবার খুঁচিয়ে দিলেন জঙ্গলগিরি। করোটিপাত্র থেকে একচুমুক কারণ পান করলেন। চৌরঙ্গা আলখাল্লাটাকে টেনে নিলেন বুকের কাছে। এই চার রঙের আলখাল্লার জন্যই ভক্তদের অনেকে চৌরঙ্গিবাবা নামেও ডাকে ওঁকে। আর সেই থেকেই এই জঙ্গলের নাম হয়েছে নাকি চৌরঙ্গির জঙ্গল। অবিশ্বাসীরা ফুট কাটে ফের। চৌরঙ্গা কম্বল না ছাই। আসলে জঙ্গলের মাঝখানে মেঠো চৌরাস্তার একটা মোড় রয়েছে। সেই থেকেই চৌরঙ্গি। ভক্তদের মুখে এসব শুনে হাসেন জঙ্গলগিরি।

প্রান্তবাসী মনোরোগীদের ‘আইসোলেশন’

mandar mukhopadhyay Illustration

গত আঠারো বছর ধরে আমি যুক্ত এই সংস্থাটির সঙ্গে। নানা অসুবিধে, ঝড়বৃষ্টি, সাইক্লোন বা প্রিয় প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আঙ্কল জনের মৃত্যু- কোনও অবস্থাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়নি কোনও থেরাপি ইউনিট। কর্মকর্তারাই সামলেছেন সব সঙ্কট। এই প্রথম জারি হল এক যুদ্ধকালীন নিষেধ। আপাতত বন্ধ আমাদের শনিবারের ক্লাস- এস্থেটিক থেরাপি ইউনিটও। আবাসিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা ভেবেই। কারণ আমরা, যারা না-আবাসিক এবং বাইরে থেকে যাই, তারা তো না জেনেই বাহক হতে পারি ওই মারণ ভাইরাসের! একজনের বহন তখন শতজনের ত্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সে সঙ্কট সামলানোই যে এক নিদারুণ সঙ্কট হয়ে দেখা দেবে।