চক দে আফিন্দি, আমাদের মোল্লা নাসিরুদ্দিন: পর্ব ২

ফ্রি কচুরি আর লস্যির লোভে ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে বড়বাজারের ধর্ম মহাসভায় ঢুকে পড়েছে আফিন্দি। ঢুকেই ডজন তিনেক কচুরি আর ৫ গ্লাস ঘোল খেয়ে টানটান শুয়ে পড়েছে মেঝেতে। সভায় তখন স্বামী সোমেশ্বর গলা ফাটিয়ে বলছেন, কাকে বলে ভালো আর কাকে মন্দ তাই নিয়ে। কিন্তু বলবেন কী করে! পেছন থেকে শুরু হয়েছে মোল্লার নাক ডাকা। নাক তো নয়, মনে হচ্ছে ৭/৮ টা বাঘ পরিত্রাহি চ্যাঁচাচ্ছে। বিরক্ত স্বামীজি স্টেজ থেকে নেমে ত্রিশূলের এক খোঁচা মারলেন মোল্লার পেটে।
মোল্লা নাসিরুদ্দিনের বহুপরিচিত গল্পগুলোই আরও একবার বাংলালাইভের পাতায়, লিখলেন গৌতম সেনগুপ্ত। আজ শেষ পর্ব।
চক দে আফিন্দি, আমাদের মোল্লা নাসিরুদ্দিন: পর্ব ১

বন্ধুকে মাংস রেঁধে খাওয়াবে মোল্লা। গিন্নিকে দিয়ে রেসিপিটা লিখিয়ে টাঙিয়ে দিয়েছে দেয়ালে। যথাকালে বন্ধু হাজির। খোলা উঠোনে তখন একমনে মাংসের গায়ে আচ্ছাসে পেঁপে মাখাচ্ছে মোল্লা। চারদিকে ছড়ানো রয়েছে বাটা পোস্ত, কাঁচা ডিম, কোরা নারকেল।
করেছিস কী! এ তো এলাহি ব্যাপার! বন্ধু বলে।
এ তো কিছুই না, আগে তৈরি হোক— এই বলে রেসিপি দেখতে গেছে মোল্লা। ব্যাস, মুহূর্তে কোত্থেকে কে জানে একটা চিল এসে মাংস নিয়ে হাওয়া।
মোল্লা নাসিরুদ্দিনের বহুপরিচিত গল্পগুলোই আরও একবার বাংলালাইভের পাতায়, লিখলেন গৌতম সেনগুপ্ত…